পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ছত্রসালের দেহান্ত হয়। তিনি মুদক্ষ যোদ্ধা, চতুর রাজনীতিজ্ঞ এবং স্বশাসক ছিলেন । হিন্দু-মুসলমাননিৰ্ব্বিশেষে তিনি প্রজাদিগকে পালন করিতেন । ব্যক্তিগত বিরোধকে তিনি জাতিগত বিবাদ করিয়া তোলেন ছায়া-ছবি אף( নাই। তিনি সেকালে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সেতু দ্বন্ধ হইয়া জাতীয় ভাবের পুষ্টি করিয়াছিলেন। ঠাল বংশধরের আজও পান্ন প্রভৃতি বুন্দেলখণ্ডের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যে রাজত্ব করিতেছেন । ছায়া-ছবি উমা দেবী y সোনার তরী খামাকে সইতে হ’ত শাশুড়ীর শাসন, ননদের বাক্যixণ। আর স্বামীর ঔদাসীন্য । করে কার সাধ্য ? কি স্তু শ্ৰামাকে কাতর তার মনটি অপূৰ্ব্ব ভােবরসে সদাই ম: ; সে ধোপার খাতায় হিসেব লিখতে লিখতে কবিতার পদ লিখে বসে থাকে, নয় তে রান্না-ঘরে রান্না চাপিয়ে বসে গুন গুন করে গান গায় । তার বালিশের •:াচে থাকে একথ গু কাব্য গ্ৰন্থ,- কাপের বাড়া থেকে আসবার সময় দাদার ঘর থেকে চুরি করে এনেছে । ং দের সে বাড়ীর হাওয়া ছিল অন্যরকম ; তার দাদ। মে’ ম্য-তত্ত্ব সম্বন্ধে প্রবন্ধ লিখে তাকে ডেকে ৬েকে .*iনাতেন ; তার ছোট দাদা লিখতেন কবিতা – সে কবিত। যেমনই হোক, খামার কাছে তার আদরের অস্ত fg히 11 খামার স্বামী পণ্ডিত, তার জ্ঞানের ভt গুরি বেদপদন্তে পূৰ্ণ ; কণ্ঠস্থ শাস্ত্রকথ। তার রসনার আনন্দ । পণ্ডিতের মতই সে ব্যাখ্যা করে ; রসিকের আস্তর তার নেই, আছে পাণ্ডিত্যের স্থূল অহঙ্কার। তাম স্বামীকে গুক্তি করতে চায়, কিন্তু তার শুষ্ক নীরস জ্ঞানের পথে *গীতে পারে না, পিছনে পড়ে থাকে । 勢 彎蕊 徽 徽 একদিন খামার ছোট ননদ তুলসী এসে তাকে মুখ " দিয়ে কত অকথ্যই বলে গেল ; ও নীরবে শুনলে, তার পরে বলে, “তুলসী কবিতা শুনৃবি ?” ঝঙ্কার তুলে তুলসী বললে, “আমরণ ! আমার তো খেয়ে-দেয়ে কাজ নেই, তাই শুনতে যাব কবিতা, ভারী পড়ুন হয়েছিস যে ! তবু যদি হতিস্ পণ্ডিতের ঘরের মেয়ে ” দাদার পাণ্ডিত্যে তুলসীর অগাধ ভক্তি । গুণমা তুলসীর হাত ধরে বললে, “কবিতা শুনেছিল কখনো ? আমার মাথা খা, একটা শুনৃবি চল ।” কৌতূহলে তুলসী চললে শুমার সঙ্গে । মলিন ছিন্নপ্রায় কাব্যগ্রন্থখানি বের হ’ল খামার বালিশের তলা হতে। গভীর শ্রদ্ধাভরে তামা বস্লে বই হাতে । একে একে অনেক কবিতা পড়লে, নীরবে তুলসী শুনলে ; সব শেষে স্বরু করলে— "কোথা হতে দুই চক্ষে ভরে নিয়ে এলে জল, হে প্রিয় অামার, হে ব্যথিত, হে অশাস্ত, বল আজি গাব গান কোন সাম্ভনার ?" তুলসী বাধা দিতে চাইলে, পারলে না , তামার গলা কেপে উঠলো, তবু পড়লে, "এক শয্যা রাজধানী অধেক আঁচলখনি, যক্ষ হতে লয়ে টানি পাতিব শয়ন—” তুলসী এগিয়ে এসে বইয়ের উপরে ঝুকে পড়লে, যেন মধুর সন্ধান পেয়েছে অলি । শুাম পড়ে চললো—