পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏనe প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড বায়সংক্ষেপ করিতে হইল মোট বেডনের কর্মচারীদের বেতন কমাইতে হয় ; কিন্তু তাহ কোথাও করা হটতেছে না । পঞ্জাবের ব্যবস্থাপক সভায় একজন সভ্য এই প্রস্তাব করিয়াছিলেন, যে, উচ্চপদস্থ কর্মচারীর স্বেচ্ছায় কম বেতন লউন । ঐ প্রস্তাব অগ্রাহ হইয়া যায়। খববের কাগজে দেখা যায় নিউজীল্যাণ্ডের ব্রিটিশ গবর্ণর-জেনার্যাল লর্ড ব্লেডিক্সে তাহার প্রধান মন্ত্ৰী মিঃ ফর্বসকে স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া লেখেন, যে, তিনি তথাকায় পালেমেণ্টের সভ্য ও সিবিলিয়ানদের মত নিজের বেতনের শতকরা দশ ভাগ কমাইয়া লইতে রাঙ্গী আছেন । নিউজীল্যাণ্ডের সরকারী রাজস্বের অবস্থা ভাল নহে বলিয়া প্রধান মন্ত্রী গবর্ণর-জেনার্যালের প্রস্তাব কৃতজ্ঞতার সহিত গ্রহণ করিয়াছেন । ভারতবর্গের বিদেশী কৰ্ম্মচারীর খুব উচ্চ হারে বেতন পাইয়া থাকেন ; কিন্তু তাহার কেহ এরূপ কৰ্ত্তব্য বু জ্বর পরিচয় দেন নাই। বরং বঙ্গের বাজেট হইতে বিপরীত রকমের দৃষ্টান্ত দেওয়া যায়। যথা— বঙ্গের ১৯২৯-৩০ সালের বাজেটে লাট সাহেবের কৰ্ম্মচারীদের এবং গাহস্থিা ভূত্যাদির বেতন প্রভূতি বাবদে ৫,৭৮,••• টাকা খরচ হইয়াছিল। ১৯২৯-৩• অপেক্ষ ১৯৩১-৩২ জুবৎসর হইবার সম্ভাবনা আছে। অথচ এই বৎসরের জন্য বাজেটে উক্ত বাবঙ্গে ৬,১২,••• টাকা বরাদ্ধ ধরা হইয়াছে অর্থাৎ এই বাবদে ১৯২৯-৩e সাল অপেক্ষ ১৯৩১-৩২ সালে ৩৪,••• টাকা বেশী খরচ • হুইবে । ১৯২৯-৩e . সালে লাট সাহেবের ভ্রমণব্যয় ১,••,৩৮২ হইয়াছিল। কিন্তু ১৯৩১-৩২ সালে এই বাবদে বরাদ্দ ধরা হইয়াছে ১,৩৬,••• টাকা । অর্থাৎ এই দুর্বৎসরেও লাট সাহেবের সফরে ১৯২৯-৩০ অপেক্ষ ৩e,৬১৮ টাকা বেশী খরচ হুইবে । লাট সাহেবের বাদ্যকর, দেহরক্ষী প্রভৃতি বাৰদে অনেক ব্যয় হয়। এই সকল ব্যয়ের কোন হ্রাস হুইবে না। কিন্তু এদিকে অর্থাভাবের অজুহাতে বেসরকারী কলেজ-সমূহের সরকারী चर्थ जांशांश अथनख जारङ् ७श्वर कलिकांड বিশ্ববিদ্যালয়কেও তাহার প্রাৰ্থিত" টাকা দেওয়া हग्न नाहे । সমগ্র বঙ্গের ছাত্র-সম্মেলন সমগ্র বঙ্গের ছাত্র-সম্মেলনের কার্ষ্য আরম্ভ করিবার জন্য সংস্কৃতির (culture-এর) ক্ষেত্রে অন্ধুদেশের বিখ্যাত নেতা স্ত্রীযুক্ত সি. আর. রেডউীর কলিকাতায় শুভাগমন ‘হইয়াছিল । তিনি তাহার বিদ্যাকত্তা এবং শিক্ষা বিষয়ে অভিজ্ঞতার জন্য অন্ধ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইসচ্যান্সেলার নির্বাচিত হইয়া ঐ কাজ অনেক দিন করিয়াছিলেন । সত্যাগ্ৰহ বন্ধ করিবার জন্য গবন্মেণ যে ইযুক্ত কমলাদেৰী চট্টোপাধ্যায় নিগ্ৰহনীতি প্রবর্তিত করেন এবং যাহা আন্থসমূণ কুরিয়া সমস্ত ভারতবর্ষে পুলিসের গুলি ও লাঠি চালান অতিমাত্রায় বাড়িয়া গিয়াছিল, তিনি তাছার প্রতিবাদ-স্বরূপ ভাইস-চ্যান্সেলারের উচ্চ পদ পরিত্যাগ করেন। আমরা কাগজে পড়িয়া প্রীত হইলাম, বে, তিনি কলিকাতায় ষথোচিত সমাদর লাভ করিয়াছিলেন। ছাত্র-সম্মেলনের সভাপতির কাজ করিবার জন্য প্রযুক্ত কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় আস্থত হইয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন। তিনি ভারতবর্ষে শিক্ষিত সমাজে