পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] স্বপরিচিত । সত্যাগ্ৰহ উপলক্ষ্যে তিনি বোম্বাই শহরে বিশেষ দক্ষতা ও পরিশ্রমের সহিত কাজ করিয়াছিলেন । তাহার পুরস্কারও পাইয়াছিলেন। গবন্মেণ্ট তাহাকে গ্রেপ্তার করিয়া সেইদিনই বিচার করাইয় তাহাকে নয় মাসের জন্য জেলে পাঠাইয়াছিলেন । সভানেত্রী মনোনীত হইবার কয়েক দিন পূৰ্ব্বে তাহার কারামুক্তি হয়। যে-দিন তাহার জেল হয়, সেই দিন সাংবাদিকদিগের কনফারেন্স উপলক্ষ্যে আমরা বোম্বাইয়ে ছিলাম। র্তাহার গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ডে বোম্বাইয়ে উত্তেজনা লক্ষিত হইয়াছিল। ইণ্ডিয়ান সোশাল রিফর্মারের সম্পাদক নটরাজন মহাশয়ের কন্যা কমলা দেবীর বন্ধু, তাহার বিচার দেখিয়া আসিয়া নটরাজনছুহিতা অশ্রুসজলচক্ষে যখন পিতাকে তাহার শাস্তির ংবাদ দিলেন,তখন সেই মুহূৰ্ত্তের বিষাদগাম্ভীৰ্য্য ও গৌরব আমরা অনুভব করিলাম। তাছার পর আজাদ ময়দানে সৰ্ব্বসাধারণের সভায় নটরাজন মহাশয় কমলাদেবীর কারাদণ্ডের উল্লেখ করিয়া গবন্মেণ্টের দমননীতির তীব্র সমালোচনা করেন । কমল দেবী মান্দ্রাজ প্রেসিডেন্সীর কন্যা। দাক্ষিণাত্যের হায়দরাবাদের কবি হারীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সহিত র্তাহার বিবাহ হওয়ায় তিনি চট্টোপাধ্যায় পদবী পাইয়াছেন। তিনি অধুনা রাজনীতিক্ষেত্রে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন বটে, কিন্তু ইহা তাহার খ্যাতির একমাত্র কারণ নহে। নানা প্রদেশে নারীজাগৃতির কারণ ও ফল ষে প্রাদেশিক ও সমগ্র ভারতীয় নানা নারীশিক্ষা কনফারেন্স প্রচেষ্ট, কমলাদেবী তাহার অন্যতম অতি কশ্মিষ্ঠ নেত্নী। তাহার যেরূপ বাগ্মিতা আছে, কৰ্ম্ম ব্যবস্থা করিবার ক্ষমতাও সেইরূপ আছে। তিনি বিদুষী এবং তাহার স্বামীর স্থায় অভিনয়ে তাহার দক্ষতা আছে । আমরা আশা করি, বঙ্গের ছাত্রছাত্রীরা ঐযুক্ত সি আর. রেডিড এবং শ্রীযুক্ত কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়ের বকৃত দ্বারা ও সংস্পর্শে আসিয়া উপকৃত হইয়াছেন। ভারতবর্ষের সকল প্রদেশের লোকদের সকল প্রদেশের অগ্রণীদিগকে সম্মান করিতে পারা স্থশিক্ষার লক্ষণ। বিবিধ প্রসঙ্গ—মুসলমান বাঙালীদের শিক্ষা ছাত্র-সম্মেলনের . హిసెS علي يجي سي ميستي کيسه عنی = - যদিও অমুসলমান বাঙালীর দুর্ভিক্ষ জলপ্লাবন মহামারী ঝড় ভূমিকম্প প্রভৃতিতে বিপন্ন মুসলমান বাঙালীদিগকে তাহাদের স্বধৰ্ম্মীদের চেয়ে অধিক সাহায্য করিয়া আসিতেছে, এবং যদিও অমুসলমান বাঙালীদের স্থাপিত শিক্ষালয়-সমূহে মুসলমান বাঙালীরাও শিক্ষা পাইয়া আসিতেছে, তথাপি মুসলমান বাঙালীদের অনেক নেতা অমুসলমান বাঙালীদিগকে তাহাদের অহিতকামী মনে করেন—অন্ততঃ হিতকামী মনে করেন না। আমরা যে মুসলমান বাঙালীদের হিতৈষী সেরূপ দাবি করিতেছি না। তাহার বিচার অন্যেরা করিবেন। কিন্তু নিজেদেরই হিতের এবং বাংলা দেশের কল্যাণসাধন ও শক্তিবৃদ্ধির জন্ত মুসলমান বাঙালীদের মধ্যে শিক্ষার উন্নতি ও বিস্তৃতি চাই, এই দাবি করিতেছি । আমাদের এই স্বার্থপরতা সত্য বলিয়া আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট মুসলমান বাঙালীরাও হয়ত স্বীকার করিতে পারেন । লেফটেন্যান্ট-কর্ণেল হাসান স্বহাওয়াদী এখন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলার। তিনি উহার গত কনভোকেশ্যান অর্থাৎ উপাধিদান সভায় মুসলমান বাঙালীদের শিক্ষায় অনগ্রসরতার উল্লেখ করিয়া দুঃখ প্রকাশ করেন । এ বিষয়ে তাহার সহিত আমাদের সহানুভূতি আছে। আমাদের মনে হয়, মুসলমান বাঙালীদের শিক্ষায় অনগ্রসরতার জন্ত তাহার, নিজে—বিশেষতঃ তাহাদের সমাজের নেতা ও ধনী লোকেরা—প্রধানতঃ দায়ী। বাংলা দেশের সব শিক্ষালয়ের খবর আমরা রাখি না ; কিন্তু মোটামুটি বলিতে পারি, কলেজগুলির মধ্যে কলিকাতার সংস্কৃত কলেজ এবং বিদ্যাসাগর কলেজ এবং স্কুলগুলির মধ্যে কলিকাতার হিন্দু স্কুল এবং সম্ভবতঃ মফস্বলের দুই একটি স্কুল ছাড়া আর সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী স্কুল কলেজে অমুসলমানদের পড়িবার ষেরূপ অধিকার আছে, মুসলমানদেরও সেইরূপ আছে। তভিন্ন • হিন্দুদের জন্য যেমন সরকারী একটি কলেজ ও একটি স্কুল আছে, তেমনি মুসলমানদের জন্যও একটি একটি সরকারী