পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা | আমায় বিশেষ ক’রে ডান হাতে ক’রে ধ’রে দিলে, এর পিছনে তোমার মনে আমি একজন মানুষ বলে আর আমি তোমার মাননীয় অধ্যাপক ব’লে আমার সম্বন্ধে তোমার যে সাধারণ আর বিশেষ সম্মান-বোধ আছে, সেটি কেমন স্বন্দর ভাবে ব্যক্ত হ’ল। আর কাগজের গুটি তুমি যে পা দিয়ে শুটু’ না ক'রে হাতে ক’রে তুলে আগুনে ফেলে দিলে, কোনও ইংরেজ ছেলের মনে এরকম করার কথাই আসতে পারত না—এ হচ্ছে আমাদের নিজস্ব ভারতীয় নম্রভাব আর ভব্যতা—ষাতে ক’রে তুচ্ছ প্রাণহীন মাটির ঢেলাটা খড় বুটটি পর্য্যন্তও আমাদের হাতে ভদ্রতার অপেক্ষা করে ব'লে আমরা মনে করি ,--ঘে ব্যক্তি এই প্রকারের জাতীয় সংস্কৃতিগত স্বাভাবিক ভদ্রতায় মণ্ডিত, সে instinctively অর্থাৎ আপন সহজাত বুদ্ধি থেকেই, কারুর দ্বারা বিশেষ বলা-কহার বা চোখে আঙল দিয়ে শিক্ষা দেওয়ার ফলে নয়, সমস্ত বস্তুর সম্বন্ধে একটা পোষণ কবে । আমাদের দেশের সভ্যত এই সব গুণ tenderness অর্থাৎ কোমলভাব এই যে বাপের বা অন্য গুরুজনের সামনে ছেলেরা তামাক খায় না, এটা আমার চোখে ভারী চমৎকার লাগে---গুরুজন ঘরে ঢুকলে তাদের সম্মাননার জন্য উঠে দাড়ানোর মতই এটা সুন্দর আর আমরা এর একট। প্রধান অঙ্গ এই রকম ভব্যতা যা অচেতন বস্তুর কেই অবলম্বন ক’রে । সার্থক । যেন আমাদের ভারতীয় culture সম্বন্ধেও আমাদের ব্যবহারকে একটা tenderness-দ্বারায় মণ্ডিত ক’রে দেয়, সেটাকে যেন আমরা না ভুলি, সেকেলে ধরণ ব’লে যেন সেটকে আমরা অবজ্ঞা না করি।” পার্সিভাল সাহেবের এই সুদীর্ঘ উপদেশের যাথার্থ্য বলিদ্বীপে উপলব্ধি ব’ল্ম। ডচ বন্ধুরা যে ইচ্ছা ক’রে তাচ্ছল্য দেখানোরই মনোভাব নিয়ে পা দিয়ে জিনিসগুলি দেখাচ্ছিলেন, তা নয় ; কিন্তু পার্সিভাল সাহেবের কথিত tenderness-টুকু এদের ছিল না । ছেলে বেলায় দেখেছি, ছোটো থাটে। বিষয়ে আমাদের গুরুস্থালীয়ের কতটা না লক্ষ্য রাখতেন । এখন আমরা আর Gi-ng fastų szfęs aš i Noblesse oblige ; শ্ৰীধাণ-সস্তান ব’লে কত বিষয়ে আমাদের সংযত দ্বীপময় ভারত ぬ> AMMMeAAAASASASS হয়ে থাকতে আমার ঠাকুরদাদা আর ঠাকুরম আমাদের উপদেশ দিতেন । আর আমাদের হিন্দু সমাজের মধ্যে tradition বা গতানুগতিক রীতি হিসাবে আর আনুষ্ঠানিক ধৰ্ম্মের অঙ্গ হ'য়ে কত না স্বন্দর প্রথ। আমাদের মধ্যে ছিল, এখনও আছে,-কিন্তু আমরা - আলস্যের জন্য আর ফ্যাশনের ধাক্কায় পড়ে সেগুলিকে অনাবশ্বক আর superstitious অর্থাৎ কুসংস্কারাত্মক ক’লে মনে ক’রতে আরম্ভ ক’রেছি। এই রকম রীতির মধ্যে একটা রীতি আমার কাছে এখন চমৎকরে লাগে — বইয়ে পা লাগলে বইখানিকে তুলে মাথায় ঠেকানো। মা সরস্বতী জ্ঞানের আধার বইয়ে অধিষ্ঠান করেন, ইচ্ছায়ু অনিচ্ছায় পা লাগালে বইয়ের অসম্মানে তারই অসম্মান, বই মাথায় ঠেকিয়ে এই অসম্মানের প্রতীকার করতে হয়— ছেলেবেলায় আর সকলকে দেখে এই শিক্ষা আমরা পেয়েছিলুম। এখন এর অন্তনিহিত ভাবটার মাধুৰ্য্য আর ঔচিত্য, এই পা দিয়ে শিল্পীর স্বষ্টিগুলির অসম্মান করা হচ্ছে দেখে পূর্ণভাবে আমার মনে প্রতিভাত হ’ল । আরও মনে হ’ল, মুসলমান তুর্কদেশে আর পারস্যে সেকালে একটা রীতি ছিল—লেথ কাগজের অসম্মান কেউ ক’রত না---কারণ কে জানে কোন কাগজে ভগবানের নাম বা কোনও সাধু কথা লেখা আছে ; অনেকে এই রকম কাগজ পেলে তাকে অজ্ঞানপ্রস্থত অবমাননা থেকে রক্ষা করবার জন্তু আগুনে পুড়িয়ে ফেলত। অবাস্তুর প্রসঙ্গ যাকৃ। উত্তরে উবুদের উৎসব দেখতে আমরা যাত্রা করলুম, দুখান গাড়ী করে, বেলা তিনটেয় । অাজকে সকালে কবি অত্যন্ত অসুস্থ বোধ করেছিলেন . পরে একটু ভাল থাকলেও, তিনি আমাদের সঙ্গে ধত পারলেন না। উবুদের পুঙ্গব ঐযুক্ত চকদে সুখবর্তীর গৃহে আমরা পউছুলুম। ডাক্তার প্রযুক্ত শ্বে রম আমাদের প্রদর্শক হ’লেন, শ্ৰীযুক্ত মুখবর্তী নিতে বড়ই ব্যস্ত। এদের বাড়ীটা মস্ত বড়ো। তারই তিনটী : ঔদ্ধদৈহিক ক্রিয়ার আয়োজন চলেছে। মান শ্লেয় মধ্যে হউগোল ভীড় হৈ চৈ-এর মধ্যে জামাদের ঘুরে ঘূহ দেখতে হ'ল। সমস্ত ব্যাপারটর পারস্পৰ্য ভালে "বুঝতে