পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১০০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা] సాలిసి আগে হইতেই সহজে বিবাদ নিবারণের করিলেন না। ইহাতে আমরা বিস্মিত হই আমাদের উল্লিখিত উক্তরূপ ব্যবস্থা করিলে বিে ইংরেজ ও মুসলমানদের সদাশয়তায় প্রত সার্ভেণ্ট অব ইণ্ডিয়া পত্রিকা আরও বলিতেছে “There seems to be a feeling that the action of the Muslim Minister was more in the nature of an electioneering stunt to secure him a personal victory at tho polls.” তাৎপৰ্য্য । যে, মুসলমান শিক্ষামন্ত্রীর কাজটা কতকটা আগামী নিৰ্ব্বাচন স্বশ্বে জিতিবার একটা চাল ।” সৰ্ব্বশেষে ঐ পত্রিকা বলিতেছেন : “The principle and the procedure of the Bill are both open to grave objection. Primary education should be financed from the general revenues to which all classes contribute according to their ability and not by means of a cess on land alone. It is equally objectionable to make the landlords responsible for the collection of the cess from their tenants. It was impolitic to attempt to rush the Bill through the Council without referring it to a seleq committee. It was equally impolitic to ignore the views of the opposition of the Hindu members and adopt the"methods of the steam rollor particularly ou the question of the spread of primary education on which there can be no difference in principle.” - তাৎপৰ্য্য। “এই বিলের মূলনীতি এবং ইহাকে আইনে পরিণত করিবার পদ্ধতি উভয়ই গুরুতর আপত্তিজনক । প্রাথমিক শিক্ষার ব্যয়নিৰ্ব্বাহ স্ব স্ব সামর্থ্য অনুসারে সকল শ্রেণীর প্রদত্ত সাধারণ রাজস্ব হইতে হওয়া উচিত, কেবল জমীর উপর ধাৰ্য্য কর দ্বার লছে । জমিদারদিগকে তাছাদের প্রজাদের নিকট হইতে এই কর আদায়ের জন্ত দায়ী করাও সমান আপত্তিকর । সিলেক্ট কমিটিকে বিবেচনার জস্ত না দিয়া ইহা কৌন্সিল দ্বারা তাড়াতাড়ি পাস করান রাজনীতির অননুমোদিত হইয়াছে। প্রাথমিক শিক্ষাবিস্তার সম্বন্ধে মূলনীতিগত কোন মতভেদ থাকিতে পারে না । অতএব বিশেষ করিয়া এরূপ একটি বিষয়ে হিন্দুসভ্যদের মতের অস্তিত্ব অস্বীকার করিয়া বিরুদ্ধ মত দলিত করিয়া অগ্রসর হওয়া সমান অসমীচীন হইয়াছে।” জমিদার ও রায়ং ছাড়া, পল্লীগ্রাম অঞ্চলের কারিগর ব্যবসাদারদের উপরও শিক্ষাকর বসিবে বটে ; কিন্তু বেশী টাকা অায়ের কলকারখানা ও ব্যবসা এবং বড় বড় ব্যারিষ্টীর উকীল ডাক্তার পল্লীগ্রামে নাই । সুতরাং জমিদার ছাড়া অন্ত ধনী লোকেরা এই কর দিতে বাধ্য श्रेष्ब न । शांश इफेक, आहेनछै। ऊ श्रृंग ट्हेझ (अंज । গবয়েণ্ট নিজের দায়িত্ব অঙ্কের ঘাড়ে চাপাইয়া দিলেন, "এরূপ একটা ধারণ জন্মিয়াছে বোধ হইতেছে, - এবং যে টাকাটা অন্তে দিবে এবং অস্তে আদায় করিয়াওঁ দিবে, তাহা স্বেচ্ছায় খরচ করিবার স্বর্থটা ভোগ, কৃগ্নিষ্ঠে পারিবেন । কিন্তু এ উপায়ে দেশে স্বশিক্ষার বিস্তার ও সন্তোষ বৃদ্ধি হইবে না নিশ্চিত । বিলাতী সংবাদপত্র ও ঢাকার উপদ্রব রবীন্দ্রনাথ বিদেশে থাকিয়া লক্ষ্য করিয়াছেন এবং বিলাতী কাগজে লিখিয়াছেনও, যে, বিলাতের সব সংবাদপত্র ঢাকার দীর্ঘকালব্যাপী ভীষণ উপদ্রব ও অরাজকতা সম্বন্ধে একেবারে চুপ । ইহা বিন্দুমাত্রও আশ্চর্য্যের বিষয় নহে । জালিয়ানওয়ালাবাগের বাপারের সংবাদ ভারতসচিব মণ্টেগু আটমাস পরে পাইয়াছিলেন । ঢাকার খবরও হয় ত যথাসময়ে বিলাতে পৌছে নাই । খবর পৌছিয়া থাকিলেও, ঢাকা অরাজকতার দ্বারা ব্রিটানিকী শান্তির মহিমা এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাস্তিরক্ষার ক্ষমতা গুমুণিত ন হওয়ায়, বিলাতী কাগজগুলার পক্ষে • সে বিষয়ে বাঙনিষ্পত্তি না করাই ভাল বোধ হইয়া থাকিতে পারে । ঢাকায় যে অরাজকত হইয়াছিল, তাহ চট্টগ্রামের দৌরাত্ম্যের মত ব্রিটেনের সিংহাসন টলাইবার জন্ত হয় নাই, তদ্বারা ব্রিটিশ রাজত্বের ভিত্তি কাচা হইয়া যায় নাই ; তাহ কেবল হিন্দুমুসলমানের ঝগড়া মাত্র। স্বতরাং এদিক্ দিয়াও, বিলাতী কাগজওয়ালাদের মাথাব্যথার কোন কারণ হয় নাই। তাহার হয়ত বরং ভ্রমবশতঃ ভাবিয়া থাকিবে ব্রিটিশ প্রভুত্বের ভিত্তি আরও কিছুদিনের জন্য পাকা হইল । ধানের চাষের উন্নতি কৃষিবিষয়ক গবেষণার সাম্রাজ্যিক কৌন্সিলের অধ্যক্ষ wifuss (“The Governing Body of the Imperial Council of Agricultural Research”) cust 3- on টাকা ব্যয়ের বাইশ রকম কাৰ্য্যপদ্ধতি মঞ্জুর করিয়াছেন। তাহার মধ্যে আসাম বাংলা বিহার ও ব্রহ্মদেশে ধানের চাষের উন্নতির গবেষণার জন্য বার লাখ টাকা মঞ্জুর হইয়াছে। গবেষণা ভাল জিনিষ । কিন্তু সেগুলা কাজে লাগাইতে হইলে চাষীদের শিক্ষার দরকার। সকলের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাবিস্তারের জন্য গবষ্মেন্ট সাধারণ রাজস্ব ব্যয় করিবেন না, অথচ কৃষিসম্বন্ধে গবেষণা চলিবে, এ নীতি ভাল নয়। লিন্‌লিথগে। কমিশন নামে