পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

公8 AASAASAASAA AAAAMAMMMMAMMA AMM AAAA AAAA AMMAAA AAASS তাহাতে অনেক মৃত্তি প্রতিষ্ট করাইয়াছিলেন। এই রামপালদেবের রাজ্যের দ্বিতীয় বংসর হইতে গৌড়ীয় শিল্পে—বিশেষতঃ স্ত্রী-মূৰ্ত্তিতে — দাক্ষিণাত্য-প্রভাবের বিশেষ পরিচয় পাওয়া যায়। এই দাক্ষিণাত্য ব| কর্ণাটক প্রভাব তৃতীয় বিগ্রহপাল অথবা দ্বিতীয় চণ্ড মুক্তি মহীপালের রাজত্বে গৌড়ীয় শিল্পে অনুভূত হইয়াছিল কিন। তাহা স্থির করিয়া বলা যায় না। তবে মিথিলা ও পূৰ্ব্ববঙ্গে কাটক-রাজা প্রতিষ্ঠার অতি অল্প পরেই যে গৌড়দেশের শিল্পে দাক্ষিণাত্য বা কৰ্ণাটক প্রভাব প্রবল হইয়। উঠিয়াছিল তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে । কিন্তু রামপালের রাজ ত্বকালের দ্বিতীয় প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড SSAS SSAS SSAS SSAS SSMSSSMSSSMSSSMA AMA AMMAAA AAAA AAAA AAAAS MAMA MAAS MMAAAA সধংস:রর পূৰ্ব্বে দক্ষিণাত্য-প্রভাব এত স্পষ্ট বুঝা যায় ন। নালন্দায় আবিষ্কৃত ও এই বংসরের প্রতিষ্ঠত তারামূৰ্ত্তিতে উরঃস্থলের অস্বাভাবিক বুদ্ধিতে গৌড়ীয় শিল্পের উপরে দাক্ষিণাত্য রীতির প্রভাব প্রমাণ করিয়া দিতেছে। এই জাতীয় দ্বিতীয় মূৰ্ত্তিতে কোনও লেখ নাই । ইগ উত্তর-বঙ্গের কোনও স্থানে আবিষ্কৃত অৰ্দ্ধনারীশ্বর মূৰ্ত্তি । এই দুইটি মুক্তিতে চালুক্য বা চোল বংশের অমলের শিল্পের মত গৌড়ীয় শিল্পেও অলঙ্কার ও বস্ত্রের প্রতি স্বক্ষ দৃষ্টি ও উরস্থলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখিতে পাওয়া যায়। বাঙ্গাল দেশের পাল-বংশের শেষ রাজ ও রামপালের কনিষ্ঠপুত্র মদনপালের রাজত্বের তৃতীয় বৎসরে প্রতিষ্ঠিত হারীতি মূৰ্ত্তিতেও দক্ষিণাত্য-রীতির প্রভাব স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। কিন্তু উরস্থলের অস্বাভাবিক বিকাশ কমিয়া আসিয়াছে । নিজ বাঙ্গাল দেশে পালরাজ বংশের অধিকার লোপ হইবার পরে সেন-রাজবংশের প্রতিষ্ঠ৷ হইয়াছিল ৷ লক্ষ্মণসেনদেবের রাজ কালের তৃতীয় বর্ষে পূৰ্ব্ববঙ্গে দামোদর নামক একজন রাজকৰ্ম্মচী একটি চণ্ডীমূত্তি প্রতিষ্ট। করিয়াছিলেন । প্রায় বিশ বংসর পূৰ্ব্বে আমি এই মূর্তিটি ঢাকা নগরে ডালবাজারে বুড়িগঙ্গার একটি ঘাটের উপরে আবিষ্কার করিয়াছিলাম । এই মূৰ্ত্তিতেও কর্ণাটক বা দাক্ষিণাত্য রীতির প্রভাব স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। রামপালের সময়ে শিল্পের কথঞ্চিৎ উৎকর্ম হইয়। পাল-রাজবংশের অধঃপতনের সময়ে আবার অবনতি আরম্ভ হইয়াছিল। গয়ায় বিষ্ণুপাদ মন্দিরের প্রাঙ্গণে আবিষ্কৃত স্ত্রীমূৰ্ত্তিতেই এই অবনতির সময়ে গৌড়ীয় শিল্পে দক্ষিণাত্য-প্রভাব দেখিতে পাওয়া যায়। স্ত্রীমূত্তিতে দাক্ষিণাত্য ব কর্ণাটক প্রভাব যে পরিমাণ বুঝিতে পারা যায়, গৌড়ীয় শিল্পের পুরুষমূৰ্ত্তিতে তাহ। পারা যায় না। প্রমাণ চণ্ডীমে গ্রামে আবিষ্কৃত রামপালের রাজত্বকালের ৪১ বর্ষের বোধিসত্ব মৃত্তি । পুরুষ মূৰ্ত্তিতে উরস্থলের স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক বিকাশ বুঝিতে পারা যায় না। কেবল কাপড়ের ভাজের দাগ ও তাহার অঙ্কনের রীতি দেখিয়া শিল্পের প্রগতি বুঝিতে হয়। বরেন্দ্র অতুসন্ধান সমিতির চিত্রশালায় রক্ষিত গরুড়পুষ্ঠে উপবিষ্ট বিষ্ণুমূৰ্ত্তিতেও কাপড়ের ভাজের দাগে