পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] S AAAAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA S AAAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAAM MASAASAASAASAASAAMMAAA AAAASASASS -- কর্ণাটক রীতির প্রভাব গৌড়ীয় শিল্পে অনুভব করা যায়। মুসলমান-বিজয়ের কিছু পূর্বে গৌড়ীয় শিল্পে পুরাতন গৌড়ীয় রীতি ও নবাগত কর্ণাটক বা দক্ষিণাত্য রীতির একটা সমীকরণ হইয়। গিয়াচিল । ই ই গৌড়ীয় শিল্প-রীতির শেষ উৎকর্ষের যুগ । এই যুগেও গৌড়ীয় শিল্পী নি জর প্রভাবের অপূৰ্ব্ব নিদর্শন রাখিয় গিয়ছে । প্রথম নিদর্শনটি মগধে, ইহা নালন্দার নিকটে আবিষ্কৃত পাষাণময়ী বৌদ্ধ দেবীর পৃদিরবনীতারা। রাজের পুত্র বণি কু জশদেব ( যশোদেব ) খৃষ্টাব্দের দ্বাদশ শতকের কোনও সময়ে এই মূৰ্বট প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । এখনও মূর্বট প্রায় অগণ্ডিত আছে। কাপড়ের ভজের দাগে ক টিক-রীতির প্রভাবের পরিচয় পাওয়া যায়, কিন্তু উরস্থলের অস্বাভাবিক স্ফীতি কমিয়া আসিয়াছে । সেনরাজ কুলের রাজ ত্বকালে গৌড়ীয় শিল্পে যে উৎকর্যের যুগ আসিয়াছিল তাঙ্গর আর একটি নিদর্শন প্রায় বিশ বৎসর পূৰ্ব্বে নদীয়া জেলায় বিক্রমপুর গ্রামে আবিষ্কত হইয়াছিল এবং বৰ্ত্তমান সময়ে বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের চিত্রশালায় রক্ষিত আছে । ইহা একটি অতিক্ষুদ্র বুদ্ধার মূৰ্হ। বুদ্ধা জরাজীর্ণ অস্থিচৰ্ম্মাবশিষ্ট, তাহার দুইখানি তাত এবং তিনি অলঙ্কারহীন । শিল্প-হিসাবে এই বৃদ্ধ রমণীর মূৰ্ত্তি ভারতবর্ণে অতুলনীয়। একটি বৃহৎ ফুল্প কমলের উপরে দেবী উপবিষ্ট। পদ্মের নীচে একদিকে একট ক্ষুদ্র গর্দভ মূৰ্ত্তি আছে বলিয়া মূর্তিটি শীতলাদেবীর মুঠ বলিয়৷ অন্তমিত হয় । খৃষ্টাব্দের দ্বাদশ শতকের শেষভাগে ভগবং প্রেরিত একট। নূতন শক্তি আসিয়া সকল অসমের সমীকরণ করিয়৷ গেল, বৌদ্ধ ও হিন্দুর দ্বন্দ্ব, শৈবের গর্ব, বৈষ্ণবের প্রেম, শাক্তর রৌদ্র, এমন কি জৈনের অহিংসা পয্যন্ত ধূলায় লুটাইয়া সমান হইয় গেল। সেইদিন মথুরায় শক রাজার অভ্র,স্বী বৌদ্ধবিহার, ব্রাহ্মণ্যস্পদ্ধী নীলাম্বরচুম্বী মন্দিরশিখর, প্রয়াগ ও কাণীর অতি-স্ফীত তীর্যরাজ-গৰ্ব্ব, নালন্দা ও বিক্রমশিলার সহস্ৰ সহস্র বর্যের সযত্নসঞ্চিত গ্রন্থরাশি ও বিপুলজানমণ্ডিত পণ্ডিত-সম্প্রদায় সমান হইয়া ধূলায় ফুটাইয়া মানবের জ্ঞান-বীর্যোর খসারতা প্রতিপন্ন করিয়া দিল । সেইদিন সিন্ধুতট গৌড়ীয় শিল্পে দক্ষিণাত্য-প্রভাব Ꮌ☾ SS S SSAAAASA SSASAS SS SAAAAAA AAAA AAAAA میسی হইতে ব্ৰহ্মপুত্র তীর পর্য্যন্ত শিল্পের ইতিহাস শেয হইল । তপনও দেশে বৌদ্ধ ছিল, তখনও হিন্দু ছিল, তখনও বৌদ্ধ বা হিন্দু তীর্থযাত্রায় বাহির হইত। ভারতীয় শিল্পেতিহাসের শেষ অধ্যায় শেষ হইলে শিল্পের কি অবস্থা শীর্ণ নারীমুৰ্বি নদীয়া জেলার বিক্রমপুর গ্রামে প্রাপ্ত হইয়াছিল তাহ এই সমস্ত তীর্থযাত্রীর শেষ উপহারে দেখিড়ে পাওয়া যায়। পাল-বংশের শেষরাজ গোবিন্দ পালের রাজ্যের ৩৮শ বর্ষে মগধ দেশেও পাল-বংশের অধিকার লুপ্ত হইল । এই গোবিন্দ পাল ১১৬১ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনে বসিয়াছিলেন,