পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎽᏬ সুতরাং ১১৯৯ খৃষ্টাব্দে তাহার রাজ্য লুপ হইয়াছিল । মুসলমান ঐতিহাসিকদের মতে এই সময়ে অথব সাত আট বৎসর পূৰ্ব্বে পত্রিয়ারুদ্দীন মহম্মদ বিন বখতিয়ার বিচার শরীফ ব নালন্দার বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিহার ধ্বংস করিয়া সমস্ত মগধ দেশ বা দক্ষিণ-বিহার প্রদেশ জয় করেন। তখনও বৌদ্ধতীর্থে যাত্রী আসিত । বুদ্ধগয় ব| মঙ্গবোধি বৌদ্ধতীর্থের মধ্যে তীর্থরাজ । বৌদ্ধের তপন লুকাইয়। চুরি করিয়া মহাবোধি বা বুদ্ধগয়ায় আসিত । আগে আগে তীর্থযাত্রীরা মহাবোধিতে আসিয়া যেমন বড় বৃদ্ধ মূৰ্ত্তি বা স্তপ প্রতিষ্ঠা করিয়া ঘাটত তখনও সে রীতি ছিল, কিন্তু মুসলমানদের ভয়ে যাত্রীর বেশ দিন তীর্থে বাস করিতে ভরসা করিত না, সুতরাং শিল্পীর আর পাথর হইতে মূৰ্ত্তি কুঁদিয়া বাহির করিবার অবসর চষ্টত না, সে তাড়াতাড়ি পাথরের গায়ে আঁচড় কাটিয় বোধিবৃক্ষতলে বৌদ্ধমূর্তি তাকিয় দিত। দশ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড বার বংসর পূর্বে মহাবোধি বা বুদ্ধগয়ার নিকটে জানিবিঘা গ্রামে এরকম একটা আঁচড়-কাট৷ বুদ্ধমূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছিল । ইহ। লক্ষ্মণসেনের প্রতিষ্ঠিত অব্দের ৮৩ সঙ্গৎসরে, অর্থাং ১২০২ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। এই মূৰ্ত্তি হইতে বুঝিতে পারা যায় যে, নালন্দা-ধ্বংসের তিন বৎসর পরে গৌড়ীয় শিল্পের একটা দুরবস্থ৷ হঠয়ছিল । ধবলেশ্বরী, শীতললক্ষ ও মেঘনার তীরে সেনরাজবংশ তখনও স্বাধীন ছিলেন, কিন্তু শিল্পের উৎস শুষ্ক হইয়া আসিয়াছিল। পূৰ্ব্ববঙ্গে পাথর দুষ্পাপ্য, সুতরাং শিল্পীকে বাধ্য হইয়। মাটি অথবা কাঠের মূৰ্ত্তি গড়িতে হইত। ঢাকা জেলার মাণিকগঞ্জ মহকমায় এবং কুমিল্লায় মুরাদনগরে অনেক হিন্দু ও বৌদ্ধ কাঠের মূৰ্ত্তি বাহির হইষাছে এবং তাঙ্গার অনেক গুলি ঢাকার সরকারী চিত্রশালায় রক্ষিত আছে । কোথায় পঞ্চজন ? শ্ৰীবৈদ্যনাথ কাব্য-পুরাণতীর্থ মরণ ভীতুর আশা মিটানোর সময় নাহিক আlর । সম্মপে হের গজেন্স ভীষণ মৃত্যুর পারাবার । মরণ ডাকিছে আয়,— শীদ সাধক ছোট খেলোয়াড় মরণের ইসারায় । মৃত্যুর পারে মরণের দ্বারে ওই যে অরূপ আলো— চক্ষে ধরালে বিষম ধান্ধ, বক্ষে লাগিল ভালে । কুরুক্ষেত্রে রক্তোৎসবে মাতুমের মাতামাতি ; পাঞ্চজন্যে নর-নারায়ণ ফুলান বুকের ছাতি । ঠে মোর পৌর সন্ন্যাসী স্বধী, তোরাই পঞ্চজন । তোমাদের লাগি যুগ যুগ জাগি কঁাদিছেন নারায়ণ । কিসের জীবন ? কোথা তার রূপ ? ফুল ফোট৷ ? ফুল ঝরা ? হে দরদী, কেন দরদ এমন— ? কেন এই বেঁচে মরা ? —জীবনের হাসি খুসি ، ه কি দিয়েছে তোমা ? বঞ্চনা কি এ নিজেরে নিজেই তুষি । সন্তোষ ? সে ত ভাল কথা ভাই ; আকাঙ্ক্ষা দুৰ্দ্দম— জীবন-যুদ্ধে সহজ নয় সে—নয় তাসে মনোরম। হাসির উৎস রুদ্ধ বন্ধু ; কোথা হাসি ? কোথা গান ? ক্ষুধাতুর ধোকে ক্ষুধারি জালায়, ব্যথাতুর কাদে প্ৰাণ । এই স্কসময়, আর দেরি নয় কোথায় পঞ্চজন ? ক্ষীরোদ-সাগরে সমধি-মগ্ন নর লাগি নারায়ণ । বোপনের শাপ বুথ বেজে যায় ঐ ত রে সাহানায় । পাঞ্চজন্যে হের নারায়ণ ডাকিছেন আয়, আয়! তোদেরি অস্থি দিয়! পাঞ্চজন্য তৈরি সে কি রে ভুলেছে তোদের হিয়া । পুথুল পার্থ পুথিবী কি তোরে করে নাই আবাহন ? কেন তবে ঐ আগমনী-স্বরে বোধনে বিসর্জন ? এই রূপ-রস-মোহন মাধুরী তোরি লাগি—তোরি লাগি । ওরে শাশ্বত ভিখারী তবুও ফিরিছ কি ধন মাগি । কিছু বৃথা নয়, এই স্বসময়, কোথায় পঞ্চজন ? এমনি কি করি যুগ যুগ ধরি ফিরিবেন নারায়ণ ?