পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о о مہیے۔ہبیحسیحی مبہم :۔ আর অন্যান্য অনুষ্ঠান,যাত্রা নাচ গান সব হবে,আমরা গিয়ে সে সব দেখবো ; আর দুপুরে বাঙলির রাজারই অতিথি হবে । তার পরে সারা দুপুর বাঙলিতে কাটিয়ে বিকালে আমরা যাবে পূৰ্ব্ব-বলিতে,- কারাঙ-আসেম ব'লে একটা ছোটো শহরে, সেখানকার রাজার অতিথি হয়ে সেখানে ছ তিন দিন কাটাবো। কারাঙ-আসেম-এর রাজা, আর অন্যান্য অনেক রাজা, আর বিস্তর ডচ কৰ্ম্মচারী,— সকলে বাঙলিতে এসে জমা হবেন । প্রথম দিনেই এই শ্রাদ্ধ সভায় রলিদ্বীপের সভ্যতার আর আচার অনুষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের একটু বেশ পরিচয় হবে। বুলেলেণ্ড থেকে যাত্রা. করলুম। ছোট শহরটা, হু তিন মিনিটের মধ্যেই শহর ছেড়ে মাঠের মধ্যে প’ড়লুম। বুলেলেঙ-এর মাইল দুই দক্ষিণে বলির রাজধানী Singaradja সিংহরাজা শহর ; দুধারে সবুজ ধানের খেত, তার মধ্য দিয়ে পরিষ্কার মোটরের রাস্ত । পায়ে ইটা" চার জন. রাহী ছাড়া, আর লোক চলাচল নেই। অল্প কয় মিনিটে সিংহরাজায় পউছে আমরা এখানকার Pasanggrahan ‘পাসাংগ্রাহান’ বা ডাকবাঙলার সামনে গিয়ে উপস্থিত হ'লুম বলিদ্বীপ আর যবদ্বীপের এই ‘পাসাংগ্রাহান’গুলির সম্বন্ধে পুরে বলবো। সিংহরাজার এই ডাক বাঙলাটি মোটর গাড়ী থামবার একটা আডডা ; এখানে কোপারব্যার্গ তারত্নাক্স-পেটরা রেখেছিলেন, সেগুলি তুলে নিলেন। ইতিমধ্যে দেখি, পাতিমা আমাদের পিছনে পিছনে আর একখানা মোটরে ক’রে এসে হাজির ৷ মোটরগুলির কি ঠিক ক’রে নেবার ছিল, সিংহরাজায় আমাদের ৮১০ মিনিট দেরী হ’ল। পাতিমা আবার ঘটা করে কবির কাছথেকে বিদায় নিলেন–আবার সালামাং জালান’-এর বার বার আবৃত্তি। পাতিমাকে এবার খানিকক্ষণ ধ’রে আমাদের দেখবার অবকাশ ঘটুল। মহিলাটিকে বিশেষ একটু forward বা গায়ে-পাড়া ব’লে বোধ হ’ল । ধরণ ধারণ সম্বন্ধে আমাদের সকলেরই এক মত হ’ল, যেন কতকটা হীরা মালিনীর ভাব—এমন একজন স্ত্রীলোক who has а past that is not yet wholly past. . - সিংহরাজা শহরটা বুলেলেঙ-এর চেয়েও বিরল-বসতি প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ AJAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAAMA SMAMS AMS MSMAAA SAAAAA AAAASMS MAMAMSeAAA AAAA S AAAAAMMA AMMA AAAA AAA SeAJeMMAAMeeMMSAAeAMMAMA AMMMA MMM AMAA AAAA AAAA AAAA SAMAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMAM [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড ব’লে মনে হ’ল । ডচ রাজকৰ্ম্মচারীদের বাঙলা বাড়ী, আর কতকগুলি আপিস, এই নিয়েই যেন শহরট । কিছু বৈশিষ্ট্য নেই। সিংহরাজার পরে খানিকট সমতল ভূমি, তারপরে দক্ষিণ-পূর্বে একটা পাহাড় পেরিয়ে পাহাড়ের ওপারে সমতলভূমিতে আমাদের গন্তব্য স্থল বাঙলি । বলিদ্বীপে ডচেরী হালে অনেকগুলি মুন্দর রাস্ত তৈরী করেছে। সমস্ত দ্বীপট জুড়ে এখন মোটরগাড়ী চলছে, এদেশে রেলের আর সুবিধা হবে না। আগে লোকে হেঁটে বা টাটু করে, ভ্রমণ করত পাহাড় অঞ্চলে যেখানে মোটর চলে না সেখানে টাটুই একমাত্র উপায়। রাজা রাজড়ার ঘরের মেয়েরা চৌদোল বা তাঞ্জাম ক’রে কাছে-পিঠে এখনও যাওয়া আসা করেন, মানুষের র্কাধে এই যান বাহিত হয় । বড়ো লোকেদের নিজের মোটর আছে, সাধারণ লোকের জন্য প্রচুর লরী বা বাস এক শহর থেকে আর এক শহরে যাচ্ছে । সিংহরাজা ছেড়ে, পূব-মুখে আর তার পরে দক্ষিণ-মুখে হ’য়ে খুব ঘন-বসতি বহু গ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা চললুম। প্রথমটা রাস্তায় একটু ধুলো পেলুম, তার পরে সব পরিষ্কার। চমৎকার সবুজে ঢাকা দেশটা ৷ ঠিক দক্ষিণ বাঙলার মত। রাস্তার দুধারে সাধারণ গৃহস্তের বাড়ী । মাটার বা কাচা ইটের দেওয়ালে ঘেরা দেয়ালগুলি সাধারণত: মাস্থ্যপ্রমাণ উচুও নয়। মাটর দেওয়ালের মাথায় আবার বৃষ্টির জল আটকাবার জষ্ঠে খড়ের ছাউনি করা—ঠিক বাঙলাদেশের মতন। অনেকখানি জায়গা নিয়ে এক একটী বাড়ী। বাড়ীর নাছ-দুয়ার বা সদর দরজা বেশ উচু, ছোট দেয়ালের বহু উদ্ধে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে, লাল ইটের দুয়ারে সাধারণতঃ নকৃশ কাটা পাশুটে রঙের পাথরে একটু কাজ করা। বাড়ীর ভিতরে প্রচুর গাছ-পালা, আর উচু রোয়াকের উপরে এক একটি ক’রে ঘর। কলা, স্বপুরী, নারক’ল, বঁাশঝাড়, এই সবই বেশী । বাড়ীর মধ্যে ধানের মরাই, কাঠের তৈরী, খড়ে ঢাকা । বেশ শান্তিময় আর শু্যামলত্রমণ্ডিত, বাড়ীগুলি দেখে বেশ তৃপ্তি হয়। বাঙলাদেশের ছায়াশীতল পল্লীগ্রামে ঠিক এমনটি, আর মালাবারেও এই রকমটিই দেখেছি। মালাবারের বাড়ীর আর নীচু