পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] দেয়ালে ঘেরা গাছপালার মধ্যে বাড়ী আর ঘরগুলির সমাবেশ, এই বিষয়টাতে বলিদ্বীপের সঙ্গে আশ্চৰ্য্য মিল আছে । 够 - বুলেলেঙ আর সিংহরাজার আশে-পাশে অধিবাসীদের সংখ্যা খুব বেশী। রাস্তায় যেতে যেতে সেটা বেশ উপলব্ধি ক’রতে পারা গেল। ছপা যেতে না যেতেই গ্রাম, আর হাট বাজার। লোকের রাস্তায় খুবই চলা ফেরা ক’রছে--অনেকের কাধে বাকে ক’রে ভারে ভারে জিনিস —তরি-তরকারী, ধান, চাল, ধানের আঁটি, ফল ; মাথায় ঝুড়ি বা মেটে 9 হাড়ী নিয়ে চমৎকার গতিলীলা দেখিয়ে মেয়ের দল চ’লেছে । বাজারে o 激 ফল, আনাজ-কোনাজ, চাল প্রভৃতির • পসর দিয়ে ব’সেছে মেয়ের । K পুরুষদের পরণে রঙীন ছিটের ○ * ঠাট পৰ্য্যস্ত ধুতি—তার কাছ দেয় না ; আর মাথায় একটা রঙীন রুমালের পাগড়ী, গায়ে একটা কোনও রকমের জাম। বলিদ্বীপের এ অঞ্চলে মেয়ের পরে একখানা কাপড়—সাধারণতঃ নীল বা কাল রঙের বা গাছপালার নকশা ছাপা লাল নীল হলদে প্রভৃতি নানান । রঙের, গায়ে থাকে একটা মালাই মেয়েদের ধরণের জামা, আর একখান লম্ব অপ্রশস্ত চাদর, সেট হয় কাধে ফেলা থাকে, নয় কোমরে জড়িয়ে রাখে। গাছের ছায়ায় ছেলে বুড়োর দল, উবু হ’য়ে ব’সে জটলা ক’বৃছে। প্রায় সব বাড়ীর সামনের বড়ে ওড়া বা ঝুড়ির মতন খাচায় ঢাকা লড়াইয়ে মোরগ রয়েছে। এখানে ওখানে সেখানে পথে প্রচুর দেব মন্দির চোখে পড়ল। অনেক মন্দিরে আর বাড়ীর সামনে উচু বাশের খুটিতে তালপাতায় তৈরী চমৎকার মালা ঝুলছে, এ হচ্ছে সমাপ্ত উৎসবের চিহ্ন। আর বলির লোকেরা তাদের সরল স্মিত-বিস্ময়-পূর্ণ চাউনীর দ্বারা আমাদের যেন স্বাগত ক’বৃছে। দেশটা যে স্বন্দরীর দেশ – প্রতি পদে তার পরিচয় পেতে লাগলুম। ' tit్బ్స t'); দ্বীপময় ভারত X o S ാ-സസ്സാ সমতল ভূমি ছাড়িয়ে আমরা পাহাড়ে উঠতে লাগলুম। নবীন থেকে নবীনতর, মনোহর থেকে আরও মনোহর প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য আমাদের চোখের সামনে দৃশ্যপটের মতন খুলে যেতে লাগল। কী চমৎকার এই তাজা সবুজের রঙ ! সকাল বেলার নীল আকাশ সূৰ্য্যালোকে উদ্ভাসিত ; যত উচুতে উঠছি, ততই নীচের দেশটা সবুজ সাগরের মতন খুলে যাচ্ছে। দূরে দু একবার নীল সমুদ্রের ও দর্শন পেলুম। নীচে সবুজের যেন বান ডেকেছে। উপরেও য ৰ দ্বীপ - সা গর بربراهيمالايام 'കണ്ണ് 岔纷" ভারতীয় মহাসাগর বলিদ্বীপ প্রচুর গাছ পাল । ধানের থেত সব জায়গায়। পাহাড়ের গা কেটে কেটে খেত বানিয়েছে। জলের বন্দোবস্ত এমন চমৎকার যে উপরের জল যেটুকু ঝরনা আর পাহাড়ে’ নদী থেকে পাওয়া যায় তার একটুও নষ্ট হয় না, উপরের খেতকে ভিজিয়ে বাড়তি জল আলের মধ্যকার পথ দিয়ে নীচেকার থেতগুলিতে এসে পড়ে । পাহাড়ের গা কেটে এইরূপ সমতল ধান-খেত করে চাষ করা দ্বীপময় ভারতের একটা বৈশিষ্ট্য, যবদ্বীপে এইরকম ধান-খেত কে sawah - ‘সাওয়াঃ’ বলে। এই পাহাড় অঞ্চলটায় দেখে অল্পমান হল যে লোকের বাস একটু কম। বেলা সাড়ে-আটটা আন্দাজ আমরা এই পাহাড়ে’ রাস্তার প্রায় সর্বোচ্চ অংশে Kintamani কিন্তামানি