পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ایج ها لا প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড বলে একটা স্থানে এসে পৌছুলুম। হাত মুখ ভালো করে ধুয়ে নেবার জন্য, আর কিছু প্রাতরাশ সেরে নেবার জন্য এখানকার পাসঙ্গি,াহানে আমরা সদলে অবতরণ করলুম। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য বেশ গম্ভীর। জায়গাট খুব উচু নয়—প্রায়'স ড়ে পাচ হাজার ফুট হবে ; চারিদিকে পাহাড় ; পূৰ্ব্বে বাতুর শৃঙ্গ, আর দক্ষিণ-পূৰ্ব্বে আবাঙ শুঙ্গ, আর তার দক্ষিণ-পূর্বে আগুঞ্জ শৃঙ্গ। এ সব দেশ চিরবসন্তের দেশ, কিন্তু কিস্তামানিতে আমাদের একটু শীত করতে লাগল। বাতুর আর আবাঙ -এর মাঝে বাতুর কিন্তুামানি হইতে পাহাড়ের দৃষ্ঠা সোজ। দক্ষিণে আবার মধ্য আর দক্ষিণ বলির সমতল ভূমির দুষ্ঠা দেখা যায়, দূরে সমুদ্রও দেখতে পাওয়৷ যায়। জায়গাটা যেমন মনোরম তেমনি নির্জন । ছদশ দিন কাটিয়ে যাবার পক্ষে চমৎকার। দ্বীপময় ভারত আগ্নেয় इंग्लो । গিরির দেশ । যবদ্বীপের কতকগুলি আগ্নেয় গিরি বিখ্যাত। বলিদ্বীপের বাতুর গিরি এক আগ্নেয় গিরিরই শৃঙ্গ। এই বাতুরের কোলে একটা গ্রাম ছিল, বছর ২০১১ পূৰ্ব্বে বাতুর গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়, তাতে অন্য কতকগুলি গ্রামের সঙ্গে বাতুর গ্রামটা একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়, খালি বাতুর হ্রদের ধারে গ্রামের মন্দিরট বেঁচে যায় । কিস্তামানির ডাক-বাঙলার্ট গ্রামের বাইরে একটা মাঝারী আকারের একতালা বাড়ী ; গুটী পাচ ছয় কামরা নিয়ে, কাঠের তৈরী, সাদা রঙ করা । আলাদা জলের কলের ঘর আর রান্নাঘর আর চাকরদের ঘর আছে । মোটর থাকবার জন্য গারাজ ব। আস্তাবল আছে । ডাক বাঙলাগুলি যে খানসামার জিন্মায় থাকে, তাকে এসব দেশে ‘মান্দুর’ বলে । এখানকার মান্দুরট বলিদ্বীপীয় ; অনেক ডাক-বাঙলায় মালাই বা যবদ্বীপীয় মাদুরই পাওয়া যায়। বেচারী আজ একটু বিপদে পড়েছে। অনেক ইউরোপীয় যাত্রী এই ডাক বাঙলার পথ দিয়ে বাঙালির উৎসবে গিয়েছে, এরা এখানে প্রাতরাশ সেরে নিয়েছে,–এর খাবার সব ফুরিয়ে গিয়েছে ; দুচারটা ডিম আর কিছু রুট আর একটু কফী ছাড়া আর কিছু দিতে পারলে না । আমরা কেউ কেউ একটু মাথাটা মুখ হাতের সঙ্গে ধুয়ে নিলুম। যাত্রার পূৰ্ব্বে বাকে, দ্রেউএস্ আর কোপ্যারব্যাগ আমায় ব’ললেন, এ দেশে ব্রাহ্মণের সম্মান খুব বেশী, আপনি ভারতবর্ষ থেকে আসছেন, তায় আপনি ব্রাহ্মণ, ইউরোপীয় পোষাক ছেড়ে ভারতীয় পোষাক, ব্রাহ্মণের পোষাক পরুন, এদের সঙ্গে সহজে মিশতে পারবেন। রবীন্দ্রনাথও এ কথার অতুমোদন ক’রলেন । আমি সাদ কোট-প্যাণ্টলুন টাই হাট সব বদলে মটুকার ধুতি, মুগার পাঞ্জাবী, বহরমপুর রেশমের চাদর আর আগরার নাগর প’রলুম। পোষাকটা অবশ্ব প্রাচীন বা মধ্যযুগের ভারতের ব্রাহ্মণের মতন হ’ল না, কিন্তু ডচেরী এইতেই খুশী । প্রাচীন ভারতের ব্রাহ্মণের যে বেশ ছিল তা এখনকার সভ্য সমাজে আদৃত হবে না, আর আমাদের মতন এ-যুগের জীবের পক্ষে সে-রকম বেশভূষা করাও একটু সময় আর সাহস সাপেক্ষ। সাচীর স্তুপের ভাস্কৰ্য্য থেকে আরম্ভ ক’রে প্রাচীন ভারতীয় শিল্পে, আর সংস্কৃত আর অন্য বইয়ে, ব্রাহ্মণের ষে ছবি আর বর্ণনা পাই, তা থেকে দেখা যায় যে তখনকার দিনে ব্রাগণ লম্বা দাড়ী রাখতেন, মাথার চুলও লম্বা রাখতেন, আর সেই চুলে হয় জট পাকুাতেন, নয় চুল মাথার উপরে চুড়ে ক’রে বেঁধে রাখতেন—শিখেরা এখন যেমন ক’রে থাকে। পরণে হ’ত হয় মোট কাপড়, হাটু পর্য্যস্ত, নয় হরিণের ছড় ; আর গায়ে একখানা উত্তরীয় ; আর পায়ে চামড়ার চাপলি বা কাঠের খড়ম, হাতে লম্বা দণ্ড । চীন জাপান কম্বোজ শু্যাম মধ্য-এশিয়ার শিল্পেও ভারতের ব্রাহ্মণের এই ছবিই পাই, আর বলির ব্রাহ্মণেরাও এই রকম বেশেরই অনুকরণ করে, শ্বামের