পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রাহ্মণের ( পরে শ্যামদেশে গিয়ে দেখেছিলুম ) আর সব বিষয়ে পোষাকটা হাল-ফ্যাশানের ক’রে নিলেও মাথার চুলের ঝু টাটা (একে কেবল শিখা বা টিকি বলা চলে না, বাঙলাদেশে আমরা যাকে বলি পুরুষের উড়ে খোপা", বা ‘কৃষ্ণ-চূড়া' খোপা, এ তাই ) এখনও বজায় রেখেছে। যাই হো’ক, কলির ব্রাহ্মণ— কলিযুগেরই বেশভূষা করা গেল। ডচেরা দেখে তো খুব খুশী হ’লেন, বিশেষ ক’রে কোপ্যারব্যার্গ। কোপ্যারবার্গ অল্প কয়েক বছর পূৰ্ব্বে কলকাতায় এসেছিলেন, তখন এর সঙ্গে আমার আলাপ হ’য়েছিল, একে সাহিত্য-পরিষদের সংগ্ৰহ দেখিয়ে দিই, ক'লকাতার পরেশনাথের মন্দিরের সাজসজ্জা আর বাগিচার উৎকট বাহারটাও দেখিয়ে আনি ; তারপর ইনি যবদ্বীপে ফিরে গেলে একটু পত্র-ব্যবহারও এর সঙ্গে করি, ইনি তাই আমায় পরিচিত বন্ধুভাবেই গোড়া থেকে গ্রহণ ক’রে ছিলেন । এইরূপে তৈরী হ’য়ে আমরা আবার আগের মতন খে যার গাড়ীতে চ’ড়লুম। বলিদ্বীপীয় যারা ছিল, তারা আমার এই অদৃষ্ট-পূৰ্ব্ব পোষাক দেখে তো অবাক । কোপ্যারব্যাগকে নিয়ে একবিষয়ে মুস্কিল হ’ল । ইংরেজী ব। আমাদের জ্ঞাত আর কোনও ভাষা ভালো ব’লতে পারেন না, বা জানেন না, আর আমরা ডচ বুঝি না । অল্পস্বল্প ইংরিজি যা জানেন তাতে কোনও রকমে পথের কাজ চালিয়ে নেওয়া যায় মাত্র । এতে হৃদ্যতায়--- খোলাখুলি গভীর আলাপে যে হৃদ্যত জমে—তাতে বাধা পড়ে । ওদিকে কোপ্যারব্যাগ তার এই অক্ষমতা সম্বন্ধে সচেতন ব’লে, নিৰ্ব্বাক সেবা দিয়ে তার পূরণ করতে চান। আমরা এর আন্তরিক স্নেহের নানা নিদর্শন পেয়ে মুগ্ধ হ’য়ে গিয়েছিলুম,—আর ভাষার অভাবে আমাদের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণের বৃদ্ধিতে কোনও বাধা ঘটে নি। কোপারব্যার্গ সম্বন্ধে আমাদের কৃতজ্ঞতা আর আমাদের অরুত্রিম স্নেহ মুক্তকণ্ঠে স্বীকার • করবার বিষয় । এর সাহায্য আর অক্লান্ত চেষ্টা আর পরিশ্রমের ফলেই বহু স্থলে আমাদের বলি আর যবদ্বীপ দর্শন সার্থক আর সম্পূর্ণ হ’তে পেরেছিল। দ্বীপময় ভারত .....ഹാ..-സു.--ു-പസഫ ^ రి లి SeMAAA AAAA AAAASAASAASAASAASAASAASAAeMMAMMAMMMMAMMAAAMMAMMAMMMAMAMMMMMS কিস্তামানির পর উৎরাই পথ। একটু এগিয়ে পাহাড়ের গায়ে পানালোকান ব’লে একটী গ্রাম, সেখান থেকে বায়ে বাতুর হ্রদের চমৎকার দৃপ্ত দেখা গেল। তার পর যত নামতে থাকি তত লোকের বসতি বাড়ে ; পাহাড়ে অঞ্চলের নির্জনতা আর গম্ভীর সৌন্দর্য্য আর নেই। তবে অন্য ধরণের সৌন্দৰ্য্য। দক্ষিণ-মুখে পথ, খানিকটা উত্তর-দক্ষিণ পাহাড়ের পাশ দিয়ে গ দিয়ে চলেছে। সমতল দেশে এলুম। প্রচুর মাঠ, আর ধানের খেত,। পাহাড়ের গায়ে ধানের থেত, থেতগুলি আ'লে ঘেরা, মাঠগুলির চার পাশে হয় পাথরের নোড়ার দেয়াল, নয় গাছের বেড়া। দেশটা বেশ উচুনীচু— কোথাও ঢল, কোথাও উচু । সবুজের ছড়াছড়ি । এখানে লক্ষ্য করলুম, এদেশের গোরুগুলি একটু অন্য ধরণের । দূর থেকে এদেশের গোরু দেখে মনে যেন লাল রঙের হরিণ। লাল রঙটাই বেশী, গোরুর দাবনা গুলি, বিশেষতঃ পিছন থেকে দেখলে, সাদ ; অনেকগুলি আবার পুষতী, গায়ে সাদা সাদা ফোটা আছে—মাথাটা ছোটো, আর গল-কম্বল নেই । ভারী সুন্দর দেখায়। এদেশে গোরুর দুধ খায় না, খালি লাঙলের জন্য আর মাল বইবার জন্যই পোষে । এ একেবারে “হটমালার দেশ’, এখানে গাই বলদে চষে । পাহাড়ের গায়ে থরে থরে ধানের থেত, আর জলের ব্যবস্থা, এগুলি দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। নীচের জমীতে জলের ব্যবস্থাও বেশ । বলিদ্বীপের সম্বন্ধে ‘অনুপ’ ( অর্থাৎ