পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سbه وج ফুলে আর ফুলের মালায়—আমাদের চোথের সামনে যে দৃশ্বের পর দৃপ্ত খুলে যেতে লাগল, তাতে আমরা একটা রূপের আর সৌরভের অজ্ঞাত মায়া-রাজ্যের মোহের মধ্যে যেন পড়ে গেলুম। আমাদের গাড়ী অবশেষ এক চৌরাস্তায় উপর এসে থামূল। দেখি, সামনে কাচা বাশের কতকগুলি উচু মঞ্চ, বাশের চাচাড়ীর দেওয়ালের পিছনে আমরা র’য়েছি ব’লে ভিতরের ব্যাপার কিছু দেখতে পাচ্ছি না। ডান দিকে প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড একটা সুন্দর বলির বাস্তুরীতিতে তৈরী বাড়ী। গাড়ী থামতে অতি চমৎকার তালময় বাজনার ধ্বনি কানে এলো । এখানে লোকের ভীড় যেন জমাট বেঁধে গিয়েছে –কোপ্যারব্যাগ সামনে শোফারের পাশেছিলেন, দাড়িয়ে উঠে বললেন—এইবার আমরা বাঙালিতে পৌছুলুম, এখন নামতে হবে। কবি আর অন্য সহযাত্রীর নামলেন, স্বপ্নাবিষ্ট মতন আমিও নামলুম। ( ক্ৰমশঃ ) আমাদের কথা শ্ৰীপ্রফুল্লময়ী দেবী আমাদের ভারতবর্ষের মেয়ের যে-সকল ব্রত পালন করিয়া থাকেন, সেইগুলির মধ্য দিয়া অনেক দিক হইতে র্তাহাদের চরিত্র-গঠনের সহায়তা হইয়া থাকে। পরিবারের সকলের সহিত স্নেহ, মমতা, দয়া, সহিষ্ণুতা ক্ষমার দ্বারা আপনার মনের দুৰ্ব্বলতাকে জয় করিয়া আপনাকে নতভাবে মিলাইয়া দিবার পথনির্দেশের একটি পথ মাত্র, এই ব্রত। এখন ইহা ক্রমশ: বিদেশীয় ভাবের ও শিক্ষার প্রভাবে ধীরে ধীরে লুপ্ত হইয়া আসিতেছে। পারিবারিক সুখশান্তি, কল্যাণ সবই স্ত্রীলোকের উপর পুরুষের অপেক্ষ বেশী নির্ভর করিয়া থাকে ; সস্তান পালন, তাহাতেও স্ত্রীলোকের দায়িত্ব বেশী । মাতা যদি সস্তানদিগকে উত্তমরূপে শিক্ষা দিতে সক্ষম না হত তবে সে সংসার স্বখের হয় না। কত বড় দায়িত্ব এবং সংসারের বন্ধনের দ্বারা স্ত্রীলোকেরা জড়িত রহিয়াছেন, তাহ বোধ করিবার প্রয়োজন ও শক্তি আমাদের পূর্বপুরুষের র্তাহাদের সংকৰ্ম্মের অনুষ্ঠানের স্বারা দেখাইয়া গিয়াছেন। শিশুকাল হইতে এই ব্ৰতপালনের ফলে দেখিতে পাওয়া যায়, যে, কোনও একটা সামাজিক বা নিজেদের সংসারের কায্যের ভিতর ক্রটি বা বিশৃঙ্খলতা আনয়ন করিতে র্তাহারা সহজে সাহস পান না, অকল্যাণের, অমৰ্য্যাদার ভয় তাহাদের মনে প্রথমেই ঘা দেয়, এই কারণে ইহাকে আমরা যতই হীনচক্ষে দেখি না কেন, এখন সমাজের যেরূপ অবস্থা দাড়াইয়াছে তাহার সহিত তুলনা করিয়া দেখা যায় যে, বাল্যকালে এই ব্রতের ভিতর দিয়া তাহারা যে শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রীতি, অর্জন করিতেন এখনকার ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ভিতর সেইটারই বড় অভাব। যে শিক্ষা আমাদের দেশের উপযোগী ও সংসারে কল্যাণ এবং শ্ৰীবৃদ্ধি করিবে, সেই শিক্ষা সস্তানদিগকে দেওয়া কৰ্ত্তব্য, কারণ ভবিষ্যতের চিরমঙ্গল তাহাদেরই উপর নির্ভর করিতুেছে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন ঐরুপ অনেক ব্ৰত করিয়াছি, একটি ব্রত উহার মধ্যে আমার মনে পড়ে তাহাকে “পুণ্যিপুকুর ব্ৰত” বলা হইত। ইহার মধ্যে দশটি শ্লোক আছে, যথা— সীতার মত সতী হবে, দশরথের মত শ্বশুর হবে, কৌশল্যার মত শ্বাশুড়ী হবে, রামের মত পতি হবে, লক্ষণের মত দেওর হবে, কুষ্ঠীর মত পুত্রবর্তী হবে, দুর্গার মত সৌভাগ্যবতী হবে, দ্ৰৌপদীর মত রাধুনী হবে,