পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوان نم সভানেত্রী শ্ৰীযুক্ত কামিনী রায় ও মন্দিরের শিক্ষয়িত্রীগণ কাছে একটু বিশিষ্টতাসূচক মনে হইয়াছিল, সত্যই ‘নারীশিক্ষ-মন্দির’ নামটির মধ্যে চিন্তা উদ্রেক করিবার জিনিষ আছে । শিক্ষা কি ? বিদ্যা বলিলে চলিত না ? নারীশিক্ষ-মন্দির কি কেবল নারীজাতীয় শিক্ষার্থীর জন্য বলিয়া, অথবা যে শিক্ষা কেবল নারীরই প্রয়োজনীয়, পুরুষের নহে, সেই শিক্ষা এখানে দেওয়া হয় বলিয়া ? সাধারণ শিক্ষা হইতে নারীশিক্ষার পার্থক্য কি ? শিক্ষা বলিলেই কোন কৰ্ম্মের জন্য নিপুণভাবে প্রস্তুত হওয়া, একটা প্রয়োজন সিদ্ধির আয়োজন, একটা লক্ষ্য সম্মুখে রাখিয়া সাধন বুঝায়। মন্দির শব্দটির প্রাথমিক অর্থ সাধারণ গুহ হইলেও আমরা সৰ্ব্বদাই উহার সহিত দেবপূজার কথা স্মরণ করি । ভক্তি, নিষ্ঠ ও পূতাচারের সহিত ইহার association বা স্মৃতিগত যোগ রহিয়াছে। ষেখানে কেনা-বেচা সেখানে নিষ্ঠাভক্তি দাড়ায় না। যেখানে শিক্ষাদান আর দশটা ব্যবসার মত একটা ব্যবসা মাত্র, অর্থাৎ অর্থোপার্জনের একটা উপায়স্বরূপ, সেখানে বিদ্যালয়কে মন্দির বল সঙ্গত হয় না । কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটির নামের পূর্বভাগে একটি বঙ্গমহিলার নাম সংযুক্ত আছে। মাতৃভক্ত পুত্র মাতার নাম স্মরণীয় করিবার জন্য এই মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন। র্তাহার এই মাতুপূজার ভিতর দিয়া নারীসাধারণকে শিক্ষা দান করিয়া তাহাদিগকে ভবিষ্যতে যোগ্য জননী করিয়া তুলিবেন, ইহাই বোধ হয় তাহার উদ্দেশু । প্রকৃত শিক্ষ। কেবল লিখিতে ও পড়িতে সমর্থ হওয়৷ নহে, কেবল স্মরণশক্তির চর্চা নহে, কেবল বিষয়বিশেষের জ্ঞানলাভও নহে। প্রকৃত শিক্ষা (culture) গঠনমূলক ও উহার প্রভাব অতিশয় ব্যাপক । মনন