পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা } বিবিধ প্রসঙ্গ—বাণিজ্যে ব্রিটিশ-সাম্রাজ্যকে অধিক সুবিধা দান Ꮌ©Ꮍ مہ’’جمہ**بم۔عی ہند-یے تمیی-= লবণ কড়িয়া লওয়ায় বাধা দেওয়া মহাত্মা গান্ধী বলিয়াছেন, যে, সত্যাগ্রহীরা তাহাদের প্রস্তুত লবণ পুলিসকে যেন সহজে কাড়িয়া লইতে না দেয়, যেন তাহার। তাহা রক্ষা করিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে । ইংরেজদের একখানা কাগজে র্তাহার এই উপদেশকে নিরুপদ্রব ( নন-ভায়োলেণ্ট ) প্রচেষ্টার নূতন পরিবর্তনরূপে প্রতীত করিবার চেষ্ট হইয়াছে । তাহা হইবারই কথা । কিন্তু নিরুপদ্রব বা অহিংস প্রচেষ্টার মানে এ নয়, যে, আমরা নিজেদের জিনিষ রক্ষার চেষ্টা করিব না । ইহার মানে এই, যে, সত্যা গ্রহীরা কাহাকেও আক্রমণ করিবেন না এবং জ্ঞাতসারে ইচ্ছাপূৰ্ব্বক কাহাকেও আঘাত করিবেন না । সত্যা গ্রহীরা যে লবণ প্রস্তুত করিতেছেন, তাহা তাহদের নিজের জিনিষ মনে করিবার ন্যায্য অধিকার আছে । সুতরাং কেহ তাহ কাড়িয়া লইতে আসিলে তাহ প্রাণপণে রক্ষা করিবার চেষ্টা করা র্ত। ছাদের পক্ষে স্বাভাবিক। ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিস ইংরেজরুত বৰ্ত্তমান আইন অনুসারে ঐ লবণ বাজেয়াপ করিতে অধিকারী বটে। কিন্তু সত্যা গ্রহীরা ঐ রুত্রিম ও অন্যায় আইন মানেন না, উহা বিধির বিধান মনে করেন ন। । এই কারণে, যে-কেহ তাহাদের লবণ কাড়িয়া লইতে আসিতেছে, সে র্তাহীদের চক্ষে পরস্বাপহারক বলিয়া প্রতীত হওয়ায় তাহার চেষ্টায় তাহারা বাধা দিতেছেন। ইহা কয়েকদিন পূৰ্ব্বে লিখিত হয়। আজ ২৮শে চৈত্র দৈনিক কাগজে দেখিতেছি, মহাত্মাজীও এই প্রকার ব্যাখ্যা করিয়াছেন । ] - ধস্তাধস্তিতে উত্তেজনা ও তাহা হইতে মারামারি হষ্টতে পারে। সত্যাগ্ৰহীদিগকে শাস্ত ভাবে হাসিমুখে নিজেদের উৎপন্ন ও অর্জিত সম্পত্তি রক্ষা করিতে হইবে । বর্তমান অবস্থায় ছাত্রদের কর্তব্য বর্তমান অবস্থায় দেশের প্রতি কৰ্ত্তব্য সকলেরই আছে । নানা শ্রেণীর বয়সের ও আর্থিক অবস্থার অনেক লোক সেই কৰ্ত্তব্য পালন করিয়া ধন্য হইতেছেন । ছাত্রদের কৰ্ত্তব্য আলোচনা করিবার কারণ আছে । তাহাদের উৎসাহ ও শ্রমশক্তি প্রচুর, এবং সাধারণতঃ তাহাদিগকে রোজগার করিয়া পোস্য পালন করিতে হয় না । এই জন্য সকল দেশেই স্বাধীনতার সংগ্রামে তাহারা যোগ দিয়া থাকে । ছাত্রদের মধ্যে যাহার নাবালক, সাধারণতঃ তাহীদের আইনলঙ্ঘন প্রচেষ্টায় যোগ না দেওয়া বাঞ্ছনীয়। যাহার সাবালক, তাঙ্গদের মধ্যে যাহার নেতার অধীনে বাস্তবিক অহিংস ভাবে আইন লঙ্ঘন করিবে, তাহারা তাহাদের ছাত্রাবস্থার কােজ আপাততঃ ছাড়িতে পারে—স গ্রাম শেষ হইলে এবং সুযোগ পাইলে তাহার আবার শিক্ষালাভে প্রবৃত্ত হইতে পারে। কিন্তু কেবল হুজুক করিবার জন্য এবং কোন একটা অছিলায় লেখাপড়া ছাড়িয়া দিবার জন্য কাহারও শিক্ষালয় ত্যাগ করা উচিত নয় । যাহারা সত্যা গ্ৰহ করিবার পর ৪ ভরণপোষণের জন্য পিতামাত বা অন্য অভিভাবকের উপর নির্ভর করিবেন, র্তাহারা যেন তাহাদের অল্পমতি গ্রহণ করেন । অন্যেরাও গুরুজনের অল্পমতি ও আশীৰ্ব্বাদ সহ সত্যাগঙ্গে প্রবৃত্ত হইতে পারিলে পূর্ণোদ্যমে কাজ করিতে পারিবেন। - বাণিজ্যে ব্রিটিশ-সাম্রাজ্যকে অধিক সুবিধা দান যে কারণেই হউক, পণ্যদ্রব্য প্রস্তুতি ও তাহার বাণিজ্যে ব্রিটেন খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষাৰ্দ্ধ হইতে প্রায় দেড় শত বৎসর পুথিবীর অন্যান্য দেশ অপেক্ষ অগ্রসর ছিল । কিছু কাল হইতে অন্যান্ত দেশ ব্রিটেনের সহিত খুব প্রতিযোগিতা করিতেছে । আমেরিকা, জামেনী, জাপান প্রভৃতি দেশ পণ্যশিল্প ও বাণিজ্যের কোন কোন ক্ষেত্রে ব্রিটেনের সহিত সমকক্ষতা করিতেছে, কিংবা ব্রিটেনকে হারাইয়া দিয়াছে বা দিতে বসিয়াছে। ব্রিটিশ জাতি তাই নিজের শ্রেষ্ঠ পদ রক্ষার জন্য নানা উপায় চিন্তা ও অবলম্বন করিতেছে । ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অস্তগত সব দেশ পরস্পরকে বাণিজ্য বিষয়ে অন্যান্য দেশ