পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

XJురి অপেক্ষ সুবিধা দিবে, এই নীতি অবলম্বন অন্যতম উপায় । এই সব দেশের খাদ্য শস্য, কাচা মাল ও কারখানায় প্রস্তুত পণ্যদ্রব্য সাহা দরকার হইবে, তাহা তাহার যথাসম্ভব সাম্রাজ্যের অন্তর্গত অন্যান্য দেশ হইতে লইবে । যদি ঐ রকম কোন জিনিস সাম্রাজের বহি ভূত কোন দেশ হইতে লইতে হয়, তাহ হইলে তাহার উপর আমদানী শুল্ক বসাইতে হইবে, যাহাতে তাহা ব্রিটিশ সাম্রাজের অন্তর্গত কোন দেশ হইতে আমদানী জিনিষ অপেক্ষ মহাধ হয়। কোন জিনিষ রপ্তানী করিবার সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত দেশে উহা বিন রপ্তানী শুল্কে বা অল্প রপ্তানী শুল্ক চালান করিতে হইবে, কিন্তু অন্য দেশে চালান করিবার সময় কিছু রপ্তানী শুল্ক বা অধিকতর রপ্তানী শুস্ক বসাইতে হইবে । সাম্রাজ্যের অন্তর্গত দেশসমূহের পরম্পরকে বাণিজ্যবিষয়ক অধিকতর সুবিধা দানের অর্থ এই রূপ । ভারতবর্ষকে ঐ নীতি অবলম্বন করিতে হইলে কি করিতে হইবে, তাহ বিবেচনা করা যাক। ভারতবর্ষ হইতে পাদ্য শস্ত্য চাল, গম ইত্যাদি বিদেশে চালান হয়। সামাজ্যিক সুবিধাদান নীতি অহুসারে চাল ও গম সাম্রাজ্যের অন্তর্গত দেশ সকলে বিনা রপ্তানী শুন্ধে চালান দিতে হইবে, এবং অন্যান্য সব দেশে চালান দিবার সময় রপ্তানী শুল্ক বসাইতে হইবে ; কিংবা সাম্রাজ্যের অন্তর্গত দেশে চালান দিবার সময় মৃত রপ্তানী শুল্ক বসাইতে হইবে, বাহিরের দেশে চালান দিবার সময় তদপেক্ষ বেশী শুল্ক বসাইতে হইবে । তুলা প্রভূতি. রপ্তানীর সময়ও ঐরূপ নিয়ম করিতে হইবে। আমদানীর সময়ও ঐ রকম নিয়ম করিতে হইবে । দুষ্টান্ত স্বরূপ, লোহা ইস্পাতের কোন জিনিষ বিলাত হইতে আমদানী করিলে ভারতবর্ষের বাজারে তাহা বিনা শুল্কে বা অল্প শুন্ধে আসিতে পারিবে, কিন্তু জামেনী বা অন্য কোন ব্রিটিশসাম্রাজ্যবহি’ভূত দেশ হইতে আসিলে তাহার উপর অল্প বা অধিক শুষ্ক লাগিবে, এবং তাহার ফলে সাম্রাজ্যবহির্ভূত দেশ হইতে আগত সেই দ্রব্য বিলাতী জিনিষ অপেক্ষ ভারতবর্থে হুমূল্য হইবে । ইহাতে ভারতবর্ষের লাভ ক্ষতি কিরূপ, বিবেচনা প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ SAASAASAASAASAASAASAASAA AAAA SAAAAA ASAS A SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড করিতে হইবে। বেশী পরিমাণে ভারতবর্ষ হইতে রপ্তানী হয়, এরূপ জিনিষের মধ্যে কেবল পাটই ভারতবর্ষ ভিন্ন আর কোথাও উৎপন্ন হয় না । সুতরাং যদি সাম্রাজ্যবহিভূত দেশগুলি দেখে, যে, ভারতবর্ষ হইতে জিনিষ কিনিতে হইলেই তাহারা শুদ্ধসমেত অধিক দামে কিনিতে বাধ্য হইবে, তাহ হইলে তাহাম ঐ সব জিনিষ ভারতবর্ষে ন৷ কিনিয়া অন্য কোন দেশ হইতে কিনিবে যেখানে রপ্তানীশুস্ক নাই । তাহাতে ভারতবর্ষের রপ্তানী বাণিজ্য কমিবে । পাট ও যে চিরকাল ভারতবর্ষের একচেটিয় মাল থাকিবে, এরূপ সম্ভাবনা কম ; অন্য কোন কোন দেশে ইহা বা ইহার সমতুল্য কোন জিনিষ কালক্রমে উৎপন্ন হইবার বিশেষ সম্ভাবনা আছে। রপ্তানী বাণিজ্যে ভারতবর্ষের ক্ষতির বিষয় বলিলাম । আমদানী বাণিজ্যেও ভারতবর্ষের ক্ষতি হইবে। কারণ, এখন যে সব লোহা ইস্পাতের বিলাতীর সমান উৎকৃষ্ট বা বিলাতী অপেক্ষ উংকৃষ্ট জিনিষ আমরা বিলাতী অপেক্ষ কম দামে অন্য বিদেশ হইতে পাই, আমদানী শুল্ক বসাইলে তাহ পাইব না । ভারতবর্ষের সাম্রাজ্যিক ও অসাম্রাজ্যিক বাণিজ্য আমরা আমাদের আমদানী বিদেশী জিনিষের যত অংশ বিলাত হইতে লই, ব্রিটেন যদি আমাদের রপ্তানী জিনিষের তত অংশ লইত, তাহা হইলে বরং আপাততঃ কেবল বাণিজ্যিক হিসাবে ব্রিটেনকে বাণিজ্যিক সুবিধা প্রদানে ভারতবর্যের আর্থিক ক্ষতি হইত না । কিন্তু আমাদের আমদানী পণ্যের অধিকাংশ আমরা বিলাত হইতে কিনি বা নানা পরোক্ষ কারণুে কিনিতে বাধ্য হই, অথচ আমাদের রপ্তানী দ্রব্যের অধিকাংশের ক্রেতা ব্রিটেন নহে, সাম্রাজ্যের বাহিরের নানা দেশ অধিকাংশের ক্রেতা। স্থতরাং ভারতবর্ষ ব্রিটেনকে আমদানী রপ্তানী বিষয়ে অধিকতর সুবিধা দিলে ভারতবর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হইবে । নীচের তালিকাদ্বয়ে ভারতবর্ষের আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যের শতকরা কত অংশ ব্রিটেনের সহিত ও