পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৮ স্বরূপ ছিলেন। লবণ আইনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহে তিনি নিশ্চয়ই খুব কশ্মিষ্ঠত দেখাইতেন এবং জেলেও তাহাকে যাইতে হইত। কিন্তু সে সত্যাগ্রহ আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বেই তাহার কারাদণ্ড হইয়াছে। কেন তাহাকে জেলে পাঠান হইল, তাহার বর্ণনা করিতে গিয়া বোম্বাই গবন্মেণ্টের একজন মেশ্বর যাহা বলেন, তাহা হাস্যকর। সংক্ষেপে তাহা এই যে, পটেল মহাশয়কে একটি গ্রামে বক্তৃতা করিতে নিষেধ করা হয়। তিনি সেই গ্রামে যান। অনেক লোক একত্র হয় । “তিনি বক্ততা করিবার উপক্রম করেন।” কি উপক্রম করেন, গলপরিষ্কার করেন, না আর কিছু করেন, মেম্বরপুঙ্গব তাহ। বলেন নাই। এইরূপ উপক্রম করায় তাহাকে পুলিসে গ্রেপ্তার করে, এবং পরে এক ম্যাজিষ্ট্রেটের বিচারে তাহার তিন মাস জেল হয়। কিন্তু ঐ গ্রামেই মহাত্মা গান্ধী গিয়া, বক্তৃতার উপক্রম নহে, বক্তৃতা করিয়াছেন এবং তিনি যেখানে যাইতেছেন সেখানেই লোককে আইন লঙ্ঘন করিয়া অহিংস বিদ্রোহ করিতে বলিতেছেন। অথচ ঐ গ্রামে বক্তৃতা করার জন্য র্তাহাকে গ্রেপ্তার করা হয় নাই। ব্রিটিশ আইনের মহিমা অপার। যেখানে বক্তৃত না করিয়া “উপক্ৰম” করিলেই একজনের শাস্তি হয়, সেখানে অন্য একজনের বকৃত করা সত্ত্বেও কিছু হয় না । মানুষকে কোন কাজের জন্য সাজা দেওয়ার একট। উদ্দেশ্ব তাহাকে ও অন্ত লোকদিগকে ভীত করিয়া ঐরূপ কাজ হইতে নিবৃত্ত করা। বল্লভভাই পটেল যে ভীত হন নাই, তাহ বলা বাহুল্য মাত্র। অন্যেরাও যে ভীত হয় নাই, তাহা গুজরাটে সত্যা গ্রহীর দল ক্রমশ: বাড়িয়া চলা হইতেই বুঝা যাইতেছে। مستمد শ্ৰীযতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের “শাস্তি” কলিকাতার মেয়র শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত স্বাস্থ্যলাভের জন্য জাহাজে সিঙ্গাপুর গিয়াছিলেন । যাতায়াতের পথে রেজুন পড়ে। অনুরুদ্ধ হইয়া তিনি সেখানে গোটা দুই বক্তৃতা করেন। তাহার জন্ত, তাহার প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ AMSAMAAASA SAASAASSMSAMAMS SMSMAMAMMASASAMMSAAAAAAASAAAA [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড SSASAS SSAS SSAS SSASAMAMAAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS কলিকাতা প্রত্যাবৰ্ত্তনের পর তাহাকে এখানে গ্রেপ্তার করিয়া রেঙ্গুন লইয়া যাওয়া হয়। কলিকাতায় পুলিস র্তাহাকে অন্য জামিন দিতে বলে নাই, তাহার নিজের জামিনেই তাহাকে বিচারের পূর্ব পর্য্যন্ত ছাড়িয়া দিতে চায়। কিন্তু তিনি জামিননামায় দস্তখত করিতে অস্বীকার করেন। সুতরাং সরকারী ব্যয়ে তাহাকে ঐযতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত জাহাঙ্গে তাহার পদোচিত আরামে রেঙ্গুন লইয়া যাওয়া হয়। রেঙ্গুনে তাহাকে আরামে হাজতে রাখা হয়। বিচারের সময় তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করিতে ও কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে অসম্মত হন এবং বলেন, যে, তদ্বার আদালতের প্রতি কোন রূঢ়ত প্রদর্শন র্তাহার অভিপ্রেত নহে । সরকার-পক্ষ হইতে যে-সব ইংরেজ, বৰ্ম্মী ও বাঙালী সাক্ষী ডাকা হয়, তাহদের কাহারও সাক্ষ্যে সেনগুপ্ত মহাশয়ের কোন বক্তৃতায় সিডীশুন’ প্রমাণিত হয় নাই। তথাপি পুলিসের রিপোর্টারদের রিপোর্টের উপর নির্ভর করিয়া ম্যাজিষ্ট্রেট র্তাহাকে দশ দিনের অশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। ম্যাজিষ্ট্রেট অবগু ন্যায়বিচার করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। নতুবা