পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

➢ ዓቕ কে কাজ দিবে ? মোটরলরী ওয়ালাকেই তাহা হইলে মালবহনের একচেটিয়া অধিকার দিতে হয়। ফলে শকটচালকদের অন্ন মারা যায়। বাকৃশক্তিহীন মহিষ ব। অন্য পশুর প্রতি দয়া করিতে নিষেধ করিতেছি না ; কিন্তু মহিষের প্রতি দয়া করিতে গিয়া গরীব দেশী মাহুষের অন্ন মারিয়া বিদেশী মোটর ও লরী বিক্রেতাদের টাকার সিন্ধুক বোঝাই, অনভিপ্রেত ভাবে ও অজ্ঞাতসারে করিলেও, দয়াই কৰ্বাদের কম্মের একমাত্র কারণ কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ হয় । মদি এইরূপ প্রস্তাব করা হয়, যে, ১২ট হইতে ৩টা পৰ্য্যস্ত মালবহনের কাজ মহিষের গাড়ী ও করিবে না, মোটরলরী ও করিবে না, দয়ালু ব্যক্তিরা তাহাতে রাজী হইবেন না। কিন্তু আর এক রকম বন্দোবস্ত নিশ্চয়ই সাধ্যাতীত নহে ৷ ১২ট হইতে তিনট পৰ্য্যস্ত রাস্তার সব গাড়ীর মহিষের মাথ। " পৃষ্ঠদেশ মোট মোট ভিজা চটে ঢাক থাকিবে ও তাহ শুকাইতে দেওয়া হইবে ন}, এবং গাড়ীগুলি এরূপ করিতে হইবে, যে, কেবল মণ্ডিলের পিঠের উপর ছতরী ব৷ ছই থাকিবে । তাহতে পশুগুলি অনেকট ছায়ায় থাকিবে । এই ধাচের গাড়ী তৈরী কর। বিশেষ ব্যয়সাধ্য হইবে না । গুলি দ্বারা চিকিৎসা যে দেশে মাতুবের জীবনের মূলা নাই বা অত্যন্ত কম, সে দেশে গুলিদ্বারা চিকিৎসার প্রসারবৃদ্ধি সহজেই ঘটে । কলিকা তার মহিষের গাড়ীর গাড়োয়ানরা তাহাদের রোজগার কমিয়া যাওয়ায় ১২ট —৩টা বিশ্রামের হুকুম অমান্য করিয়া গাড়ী লইয়া হাবড় পুলের নিকটবৰ্ত্তী রাস্তায় অন্য যানবাহনের চলাচল বন্ধ করিয়া দেয়। তাহার এরূপ করিবার পূৰ্ব্বে তাহদের আবেদন-নিবেদনে কতৃপক্ষ কর্ণপাত করিয়াছিলেন কিনা জানি না । পুলিসের লোকে তাহাদের দ্বারা ও পরে নিজেদের চেষ্টায় গাড়ীগুলি সরাইয়। রাস্ত পরিষ্কার করিবার চেষ্টা করে । ক্রমে পুলিসের উপর গাড়োয়ানরা এবং কোন কোন বাড়ীর ছাদ হইতে অন্য লোকের ইট পাটকেল ঢ়িল ছুড়িতে থাকে। উভয় পক্ষের অনেক লোক আহত হয়। তপন পুলিস গুলি চালায় । তাহাতে কয়েকজন লোকের মৃত্যু হয় । খবরের কাগজে ব্যাপারটি সংক্ষেপে এইরূপ বর্ণিত হইয়াছে। পুলিসকে গাছের মত সহিষ্ণু হইয়া দাড়াইয়া মৃত্যু বরণ করিতে কেহ বলিবে না । কিন্তু গুলি চালান ভিন্ন অন্য উপায় ছিল না, সব সময়ে সব ক্ষেত্রে ইহা বিশ্বাস করা যায় না । অনেক জায়গায় ব্যাটন ও রেগুলেশ্বন প্রবাসা—বৈশাখ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড লাঠি চালাইয়া, রাস্তার জল দিবার হোস দ্বারা জল নিক্ষেপ করিয়া, অবিরাম-অশ্রউৎপাদক গ্যাসের বোমা ( tear gas bomb ) ছুড়িয়া, ফাক আওয়াজ করিয়া, কিংবা সাংঘাতিক ভাবে গুলি না চালাইয়া শরীরের নিম্নাদ্ধের দিকে লক্ষ্য করিয়া গুলি চালাইয়া কেবল জখম করিয়া, দাঙ্গ থামান যায়। এই সব উপায়—বিশেষতঃ অশ্রবোমা—অবলম্বিত হইতে বেশী শোনা যায় না ; আমরা যতদূর জানি আশ্রবোম। ভারতবর্ণের কোথাও ব্যবহৃত হয় নাই । কারণ, পুলিস ও পুলিসের কৰ্ত্তারা দেশের লোকের কাছে জবাবদিহি নহে । অন্য রকমের ধৰ্ম্মঘট বা জনত৷ ভাঙিবারও উপায় গুলি চালান। গ্রেট ইণ্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ের শ্রমিকদের উপর এবং একটি খনির শ্রমিকদের উপর এই ঔষধ প্রয়োগ করা হইয়াছে । মুত ও আহত লোকদের জন্য আমরা দুঃখিত। কিন্তু চিকিৎসকদিগের জান৷ উচিত, ইহাতে সমস্যার সমাপান হইবে না, এবং তাঙ্গাদের লাভ ও শেষ পয্যস্ত হইবে ন} লোকে চিরকাল ভয়ে ভীত থাকে না । বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ফল রায় সাহেব হরবিলাস শারদ মহাশয় তাহার বাল্যবিবাহ নিরোধ বিল পাস করাইয়াছিলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধ করিবার জন্য। কিন্তু তাহ ১লা এপ্রিল ১৮ই চৈত্র হইতে জারী হইবে জানিয়া ভ্রান্ত গোড়া লোকেরা ঐ তারিখের পূৰ্ব্বে এমন সব শিশুরও বিবাহ দিয়াছে যাহাদের বয়সে বিবাহ হইবে বলিয়া রঘুনন্দন স্বপ্নেও কল্পনা করেন নাই । কয়েক দিন মাত্র বয়সের, এক মাসেরও কম বয়সের খুকীর, বিবাহ অনেকগুলি হইয়া গিয়াছে ! ইহা শুনিতে হাসি পায় বটে, কিন্তু ইহা অতি শোচনীয় ও লজ্জাকর ব্যাপার । অপেক্ষাকৃত অধিক বয়সের অথচ চৌদ্দ অপেক্ষ কম বয়সের বালিকার বিবাহ ত হাজার হাজার হইয়া গিয়াছে। যাহা হউক, ১৪ বংসরের কম বয়সের বালিকাদের প্রকাশ্ব বিবাহ এই শেষ বলিয়া মনে করা যাইতে পারে। বয়স লুকাইয়া বা গোপনে অল্প বয়সের বালিকার বিবাহ আরও হইতে পারে। এতগুলি শিশুবলি যে দুই এক মাসের মধ্যে হইয়৷ গেল, ইহা শারদা আইনের কুফল বটে। কিন্তু ভূত পিশাচদের সম্বন্ধে একটা ধারণা আছে, যে, তাহারা কোন জায়গা হইতে তাড়িত হইলে একটা গাছের ডাল বা ঘরের মটকা ভাঙিয়া দিয়া চিহ্ন রাখিয়া যায় । হাজার