পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ ՏԳՆ, এঞ্জিনীয়ার নামক একজন পার্সী যুবক ছিলেন । শ্ৰীমান চাউল খুব নৈপুণ্য ও বাহাদুরী দেখাইয়াছেন। তিনি যেরূপ প্রশংসা ও আর্থিক পুরস্কার পাইয়াছেন,তাহা একটুও বেশী নয় । mm. যোগ্য ন্যাসরক্ষক বটে ! ইংরেজ জাতির দাবী এই, যে, তাহারা ভারতীয়দের ষ্ট্রষ্টী অর্থাং ন্যস্তসম্পত্তির রক্ষক ; আমাদের নাবালক অবস্থা বশতঃ তাহারা আমাদের মঙ্গলের জন্য ভারতবর্ষ অধিকার করিয়া আছে ও শাসন করিতেছে । তাহাদের যোগ্যতাও খুব বেশী । বিখ্যাত ইংরেজ সাংবাদিক মিঃ গারভিন অবজার্ভার পত্রে লিখিয়াছেন – “Among the many millions of , our electorato, hardly one in ...a thousand has vaguest knowledge of India.” তাৎপৰ্য্য। “ব্রিটেনে পালে মেণ্টের সভ্যনিৰ্ব্বাচকদের নূতন তালিকায় যে বহু নিযুত নির্বাচকের নাম আছে, তাহাদের মধ্যে হাজারে এক জনেরও ভারতবর্ষ সম্বন্ধে খুব আবছা রকমের জ্ঞান আছে কি না সন্দেহ ।” একটা ন্যকারজনক জঘন্য পুস্তিক আমাদের নিকট একটা হাক্কারজনক জঘন্য পুস্তিক প্রেরিত হইয়াছে। ইহার মলাটে “প্রভুপাদ শ্ৰীকুলসী চন্দ্র গোস্বামী বিরচিত” এবং “পরিবদ্ধিত ২য় সংস্করণ” ছাপা আছে । মলাটে কোন একটি বালিকা-বিদ্যালয়ের বোর্ডিং সম্বন্ধে জঘন্য মিথ্যা কুৎসা রচিত হইয়াছে। এরূপ কোন বোর্ডিঙেই আজকাল শুধু ব্রাহ্ম বা খৃষ্টান সমাজের দেড় শত বালিকা থাকে না। সুতরাং এই কুৎসা হিন্দুসমাজকে স্পর্শ করে নাই মনে করিয়৷ হিন্দুসমাজ নিশ্চিন্ত থাকিতে পারেন না । এরূপ পুস্তিকার ২য় সংস্করণ হওয়া সমগ্র দেশের ও জাতির কলঙ্কের বিষয় । এই চটি বহিখানাতে সমগ্র ব্রাহ্মসমাজের মিথ্যা কুৎসা করা হইয়াছে । কিন্তু নাম করিয়| যে-সকল ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলার কুৎসা করা হইয়াছে, তাহাদের অনেকে ব্রাহ্ম নহেন। র্তাহারা যে সমাজেরই হউন, জীবিত ব্যক্তিরা প্রয়োজন মনে করিলে নিজ নিজ স্বনাম রক্ষা করিবার চেষ্টা করিতে পরিবেন। একজন ভক্তিভাজন পরলোকগত ব্যক্তির সম্বন্ধে যাহা লেখা হইয়াছে, কেবল সে সম্বন্ধে আমাদের কিছু বলা কৰ্ত্তব্য। স্বৰ্গীয় পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় সম্বন্ধে এবং তাহার কল্পিত কোন কন্যা ও জামাতা সম্বন্ধে যাহা লেখা হইয়াছে, তাহার একটি বর্ণও সত্য নহে। তাহীদের সকলকে আমরা বিশেষরূপে না জানিলেও এরূপ গল্প বিশ্বাসের অযোগ্য মনে করিতাম । ᎥlᏀᏉ the প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ ASAAAAS AAAAAMAMMAMAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAAAASA SAASAASSAAAAAAS AA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড ইহাতে হিন্দু ব্রাহ্ম সমুদয় শিক্ষিত “বাবুর দল"কে ও র্তাহীদের বাড়ীর মহিলাদিগকে জঘন্তভাবে আক্রমণ করা হইয়াছে। অনেকগুলি বালিক শিক্ষালয়ের বোর্ডিংয়ের ব্যাপকভাবে মিথ্যা কুৎসা করা হইয়াছে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন গবন্মের্শট কেন পাস করিতে দিয়াছেন, তাহার সম্বন্ধে এই মৰ্ম্মের মিথ্যা কথা লেখা হইয়াছে, বে, মিস্ মেয়োর বহির উত্তরে কোন কোন ভারতীয় পাশ্চাত্য সমাজের দুর্নীতির চিত্র অঙ্কিত করায়, “এরূপে ‘কেচে খুড়িতে সাপ বাহির হইয় পড়ায় গবন্মেন্টের টনক নড়িল-ৰ্তাহার ‘শিখণ্ডি’কে সম্মুখে রাখিয়া অৰ্জ্জুনের ভীষ্মবধের মত রায়সাহেব হরবিলাস সদার দ্বার। আইন সভা হইতে এই আইন পাশ করাইয়া লইলেন—লোকে বলে, ভারতীয় কুমারীদের মধ্যেও এই লাম্পট্য ও ব্যভিচারের সহায়তার জন্য ।” গবন্মেণ্ট সম্পূর্ণ নিৰ্দ্দোম ও হিতকর বহিও কখন কখন বাজেয়াপ্ত করেন, অথচ কলিকাতার রাস্তায় এই ধরণের অনেকগুলি বহি প্রকাশ্যভাবে বিক্রয় হইতেছে। অশ্লীল, দুর্নীতিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ পুস্তকের প্রচার বন্ধ করিবার ভার একজন সরকারী কৰ্ম্মচারীর উপর ন্যস্ত আছে, তাহা আমরা জানি । র্তাহার কার্য্যরীতি কিরূপ এবং তাহার মুনীতি দুর্নীতির আদর্শ কি, তাহ অবশ্ব আমাদের জানা নাই । তবে এই ধরণের পুস্তক-পুস্তিকার অবাধ প্রচার হইতে একটা সিদ্ধান্তে পৌছা যদি নিতান্ত অযৌক্তিক না হয়, তাহা হইলে একথা মনে করিবার কোন কারণ দেখি না, যে, তিনি তাহার কৰ্ত্তব্য পালন করিতেছেন । আমাদের বিবেচনায়, এবিষয়ে গবন্মেন্টের অভিরুচি ও কৰ্ম্মনীতি কি, একথা প্রকাশ্যভাবে জিজ্ঞাসা করিবার সময় আসিয়াছে । কিন্তু এই সকল ব্যাপারে কেবলমাত্র গবন্মেটিকে দোষী করিলে এবং গবন্মেন্টের উপর নির্ভর করিয়া থাকিলেই চলিবে না। এই ধরণের পুস্তক রচনা এবং উহাদের অবধি প্রচার বন্ধ করিবার ক্ষমতা একমাত্র দেশের জনসাধারণেরই আছে । দেশের জনমত যদি এই সকল কুৎসা প্রচারকে নিন্দনীয় মনে না করে, দেশের লোকের যদি নিজেদের কন্যা এবং ভগিনীকে এই সকল জঘন্য কুৎসা হইতে রক্ষা করিবার প্রবৃত্তি ও শক্তি না থাকে, তাহাদের পরোক্ষ সমর্থনের জন্যই যদি এই সকল পুস্তকরচনা একটা লাভজনক ব্যবসা হইয়৷ দাড়ায়, তাহা হইলে শুধু গবন্মেণ্টকে দোষ দিয়া কি লাভ ? আমাদেরই নিদারুণ লজ্জা ও শোচনীয় অধোগতির রচয় । BBBBS BBB BBBBB BBS BBBBS BBB BB BBBBBBB BB BBB Bu i eu