পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و سb< হৃষ্টমনে সনাতন গৃহে ফিরিয়া এই আসন্ন মঙ্গল-সংবাদ ঘোষণা করিয়া দিলেন । গৃহিণী জিজ্ঞাসিলেন,-মেয়ে দেখতে কেমন ? সনাতন বলিলেন,—মন্দ নয়, গৃহস্থ ঘরের উপযোগী । —রং ফরসা,—লা কালো,--না তামবৰ্ণ ? কৰ্ত্তা বলিলেন,–খুব ফরসা নয়, রংটা একটু চাপ । এই তোমারই গায়ের রং । গৃহিণী নিজের মসীবর্ণ দেহের পানে চাহিয়৷ বলিলেন—উজ্জল শু্যামবর্ণ ! গড়ন-পেটন ? কৰ্ত্ত উত্তর দিলেন,—তাও বোধ হয় তোমার মত। গৃহিণী একটু ক্ষুন্ন হইয় আপন খৰ্ব্বাকৃতি স্কুল দেহের পানে পুনৰ্ব্বার চাহিয়া বলিলেন,—এমনি খাটো খোটে। —গায়ে পায়ে—? কর্তী বলিলেন,—না না তোমার চেয়ে মাথায় ঢেঙা । —দেবে থোবে কত ? --ঘর-বসত সবস্থদ্ধ হাজার টাকা । গৃহিণী আর বাঙনিষ্পত্তি করিলেন না। বিনিময় বিবাহ এ বংশের প্রচলিত প্রথা । ‘পণ' বলিয়া কেহ কখনও এক পয়সা পায় নাই,—তাহার পুত্রের বিবাহে মাত্র এতবড় অঘটন সংঘটন হইল। ইহা সত্যই গৌরবময় । অবিলম্বে বিবাহের উদ্যোগপৰ্ব্ব আরম্ভ হইল । আনন্দনাডু, এ বংশের চিরপ্রচলিত প্রথা। একমণ ন হউক—আধমণ চাল গুড়া করিতে হইবে । নহিলে আত্মীয়স্বজন পাড়াপ্রতিবেশী,—শিয়াসেবকের নিকট বড়ই নিন্দ হইবে । বৌভাতের মৃশলা পেষা, বরণের শ্ৰী তৈয়ারী, কুলাডাল সাজান, বাহিরের ভাঙ রান্না ঘরথানি মেরামত করা, সাম্নের বনজঙ্গল সাফ ও পুষ্করিণীর পঙ্কোদ্ধার এবং সৰ্ব্বোপরি বৌভাতের উদ্যোগ আয়োজন ; শ্রম এবং অর্থ জুয়েরই আবশ্বক । কঙ্কাপক্ষ নগদ ২০০২ টাকা দিবে বলিয়াছে সত্য, কিন্তু উপস্থিত তাহাদের নিকট অর্থ চাওয়া যায় না। কোন স্থান হইতে কঙ্গ করিয়া শুভকার্ধ্যের শুভ উপকরণ সংগ্ৰহ করিতে হইবে। তারপর,—পণের অর্থে ঋণ পরিশোধ । হইবে। প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ులు SAASAASAASAA AAAA SAAAAA AAAAMASAAAAASA SAASAASSAAAAAAMAMMAMMA SMMMMAAAA [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড সনাতন পাড়ার একমাত্র উত্তমণ যজ্ঞেশ্বরের নিকট গিয়া হাত পাতিলেন । যজ্ঞেশ্বর ভক্তিতে গদগদ হইয় তাহার পায়ের ধূলা মাথায় তুলিয়া লইয়া বলিল,—এ আর বেশী কথা কি দা'ঠাকুর । আপনাদের শ্ৰীচরণের ধুলো নিয়েই আমার য কিছু ধূলোগুড়ে। তবে সময়টা বড় মন্দা ; তালপুকুরের বসরুদিন তিন বছর হ’ল টাক কৰ্জ নিয়েছে, স্বদে আসলে সেটা দাড়িয়েছে প্রায় ২৫০২ টাকা । তিন চার দিনের ভেতর তার টাকা শোধ করবার কথা আছে, সেই টাকা পেলেই— সনাতন যজ্ঞেশ্বরকে ভালরূপেই জানিতেন। বৃথা বাক্যব্যয় না করিয়া পকেট হইতে বাড়ীর দলিলখনি বাহির করিয়া তাহার সম্মুখে রাখিলেন ও কহিলেন,— কিন্তু ভাই তিন চার দিন অপেক্ষ তো করতে পারবে না । অজেই টাকাটা চাই । এদিকে সময় সংক্ষেপ । যজ্ঞেশ্বর দলিল দেখিয়া হৃষ্টমনে আর একবার তাহার পায়ের ধূলা লইল, বলিল,—সেকি দ-ঠাকুর, আপনার বাস্তুর দলিল বাধা দিয়ে ? অারে রাম, রাম ! সনাতন হাসিয়া বলিলেন,– শরীরের কথা তো বলা যায় না ভাই, কাজটা পাকা হওয়াই ভাল। তা’হলে, দশটায় খাওয়া- দাওয়া করে আপিসে গিয়ে রেজেষ্টারী করে দিয়ে আসবো, কি বল ? যজ্ঞেশ্বর বলিলেন,—তা আপনি যখন বলছেন দা’-ঠাকুর, কিন্তু এ-ও বলে রাখছি, সুদ আমি ওর এক পয়সাও নেব না—বলিয়া ভক্তিতে অবনত হইয়। আর একবার তাহার পায়ের ধূলা গ্রহণ করিল। সনাতন বলিলেন,—না ভায়া, ন্যায্য মুদ আমি দেব, বেশী দেব না। তবে টাকাটা বোধ হয় বেশীদিন ফেলে রাখতে হবে না, এই মাসেই শোধ করবো । শুনিয়া যজ্ঞেশ্বরের প্রফুল্ল মুখে ছায়া পড়িল। সে কাষ্ঠ হাসি হাসিয়া বলিল,—ত শোধবার জন্যে এত তাড়া به هد কেন দা’-ঠাকুর ! যখন গিয়ে আপনার স্ববিধে হবে, তখন দেবেন। - সনাতনের বাগান-বাগিছ-সমন্বিত বাস্তখানি বহুদিন হইতেই যজ্ঞেশ্বরের লুন্ধ দৃষ্টিকে আকর্ষণ করিয়াছিল।