পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sఏ8 অধিকার তাহাদের নাই। মহারাণা প্রমাদ গণিলেন ; তিনি মোগল-সম্রাটের ক্রোধ-প্রশমনের জন্য হিন্দুর একমাত্র আশ্রয় দারার শরণাপন্ন হইলেন। ১৬৫৪ খৃষ্টাব্দের ৪ঠা অক্টোবর ( ২ জিলহজ্জ, ১০৬৪ হিজরী ; Waris, ii. żs ) মহারাণার পক্ষ হইতে রাও রামচাদ চৌহান, রঘুদাস হাড়, সাহু দাস রাঠোর, গণপং দাস পুরোহিত দারার সহিত দেখা করিলেন। কিন্তু দুইদিন পরেই মোগল-সৈন্ত মন্ত্রী সাদুল্লা খার সেনাপতিত্বে চিতোর অভিমুখে যাত্রা করিল ; তাহার প্রতি সম্রাটের কঠোর আদেশ ছিল,— যেন অগ্নিতে অসিতে মহারাণার রাজ্য ধ্বংস করা হয়। উভয়পক্ষে শাস্তিস্থাপন ও রাণাকে আশ্বস্ত করিবার জন্য দারা প্রথমে নিজের ইমারত-বিভাগের দেওয়ান চন্দ্রভান ব্রাহ্মণকে মিবারে প্রেরণ করেন ; কিছুদিন পরে তাহার রাজস্ব-বিভাগের দেওয়ান আবদুল করিমকেও তথায় পাঠাইলেন। এদিকে সম্রাট স্বয়ং যুদ্ধের তত্ত্বাবধান করিবার জন্য দারাকে সঙ্গে লইয়া আজমীঢ়ের দিকে অগ্রসর হইলেন । এই সময়ে দার মির্জা রাজা জয়সিংহকে যে-সমস্ত চিঠি লিখিয়াছিলেন তাহাতে মহারাণীর সম্বন্ধে উল্লেখ আছে। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে স্তর যদুনাথ সরকারই সর্বপ্রথমে এই সমস্ত চিঠি জয়পুর-দরবারের সরকারী দলিল-বিভাগ হইতে খুজিয়া বাহির করিয়াছেন । ২২শে অক্টোবর,১৬৫৪ (২৯ জিলকাদ, ১০৬৪ হি: ) দারা জয়সিংহের কাছে লিখিতেছেন, “দ্বিতীয় সংবাদ সম্রাট আজমীঢ়ের দিকে যাত্রা করিয়াছেন ; আপনার বাড়ীর কাছ দিয়াই যাইবেন । আমি আপনার ওখানে অতিথি হইব ; বাদশাহী ফৌজ মহারাণার রাজ্য আক্রমণ করিয়াছে। আমি সৰ্ব্বদাই রাণার শুভানুধ্যায়ী। রাণার রাজভক্তি ও সন্ধুদ্দেশ্বের কথা সম্রাটের কাছে নিবেদন করিয়া তাহার রাজ্য যাহাতে বাদশাহী ফৌজের পায়মাল হইতে রক্ষা পায় সে চেষ্টা করিব o - শাহ জাহানের কাছে দারার সব আবদার চলিত ; শাহজাদা রাতকে দিন করিতে পারিতেন। তিনি মহারাণার জন্ত রুপাভিক্ষা করিলেন, মিবার-রাজ্য রক্ষা পাইল ; চিতোর-ত্বর্গের নবনির্শিত প্রাকার ভূমিসাৎ প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ SAASAASAASAASSAAAAAAS AAAAA AAAA AAASA SAASAASSAAAAA AAAA AAAAMAAASA SAASAASAAASAAA S আম্বেরধিপতি - ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড --- করিয়া সাদুল্লা খ ফিরিবার আদেশ পাইলেন । নবেম্বর মাসেই সমস্ত গোলমাল মিটিয়া গেল। সম্ভবতঃ এই মাসের শেষদিকে লিখিত অন্য একখানি পত্রে দার জয়সিংহকে জানাইতেছেন, “রাণ। মহা বিপদগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন। অনেক চেষ্টায় তাহার মামলা মিটাইয়া দিয়াছি ; তাহার রাজ্য ও সম্মানের কোন হানি হইতে পারে নাই। রাজপুত জাতি জামুক আমি তাহাদের কিরূপ হিতৈষী এবং তাহারা সৰ্ব্বদা আমার বিশেষ, অনুগ্রহ-ভাজন।” টড সাহেব লিখিয়া গিয়াছেন, রাজসিংহ শিশোদিয়াবংশের লুপ্ত প্রথা “টিক-দেীর” (অভিষেকের পর পররাজ্য আক্রমণ ) পুনঃপ্রবর্তিত করিয়া মোগল সাম্রাজ্যের অধীন আজমীঢ় প্রাস্তস্থিত মালপুর নামক জনপদ লুট করেন। এ সংবাদ শাহ জাহানের কানে পৌছিলেও তিনি রাণার কোন শাস্তি বিধান না করিয়া বলিলেন, “এটা ভাই-পোর [ নাতি ? ] বুদ্ধি।” ওয়ারিসের পাদশানামায় মালপুরলুটের কোন উল্লেখ নাই ; চিতোর-দুর্গ সংস্কার অপেক্ষ অকারণ মোগল-রাজ্য আক্রমণ গুরুতর অপরাধ। সত্যই যদি এ রকম কোন ব্যাপার ঘটিত সম্রাট শাহ জাহান কখনও রাণাকে এত সহজে অব্যাহতি দিতেন না। টড সাহেব রাজবিলাস হইতে নিশ্চয়ই মাল পুরা-লুটের কথা গ্রহণ করিয়াছেন। রাজবিলাসে মালপুরা-লুটের কথা আছে ; শাহজাহানের সদাশয়তা, কিংবা মোগলের সহিত সংঘর্ষের কোন উল্লেখ নাই। রাজ্যারোহণ অধ্যায়ের অব্যবহিত পরেই মালপুর-লুটের বর্ণনা থাকায় টড বোধ হয় এই ভ্ৰমে পড়িয়াছেন। নাগরী প্রচারিণী সভা কর্তৃক প্রকাশিত রাজবিলাসে মালপুরালুটের সময় নির্দেশ আছে — ‘ “সম্বত প্রসিদ্ধ দহ সত্ত [ সপ্ত ] ভাস। বৎসর স্ব পঞ্চদশ জিঠ মাস ॥” অর্থাৎ, ১৭১৫ সম্বতের ( ১৬৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দে ) জ্যৈষ্ঠ মাস। মালপুর-লুট সত্য ঘটনা বলিয়া গৃহীত হইতে পারে ; কিন্তু টড, কথিত টকা-দোঁর প্রথার পুনঃপ্রবর্তন এবং শাহ জাহানের ভাইপোর উৎপাত নীরবে সঙ্ক করা ३उानि उिखिशैन जनर्थङि भाज। ०७*> धूटेरिक