পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$$b* প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড যুদ্ধের আমদানী হইতে নির্বাহিত হইত তাহা নহে ; অপেক্ষাকৃত অল্প আয়াসসাধ্য জয়লাভে রাজপুতদের আত্মক্ষমতায় বিশ্বাস বিশেষভাবে বৃদ্ধি পাইয়াছিল। যুদ্ধে না হারিলেও ঔরঙ্গজেব আশাভঙ্গজনিত পরাজয়ে ম্ৰিয়মান হইয়াছিলেন। রাজপুতজাতির এক বিশেষ সঙ্কটপূর্ণ সময়ে তিনি তাহাদিগকে রক্ষা করিয়াছিলেন । তাহার যুদ্ধনীতি অবলম্বন করিয়া রাজপুত দুর্জয় হইয়া উঠিয়াছিল ; যে হারিয়াও হার মানে না, পৃথিবীর কোন শক্তি তাহাকে পরাজিত করিতে পারে না ; প্রবলতর শত্রু দ্বারা নিষ্পেষিত হইয়া মরিলেও সে জয়োচ্ছাস অনুভব করে । রাজসিংহ রাজপুতের মনোবৃত্তিকে এইভাবে দৃঢ়ীভূত করিয়াছিলেন। মহারাণ রাজসিংহের প্রারব্ধ কাৰ্য্য মহাবীর দুর্গাদাসের নেতৃত্বেই বহু বৎসর পরে সম্পূর্ণ হইয়াছিল। জীর্ণ অক্ষয়বটের মত সপ্তদশ শতাব্দীতে মৃতপ্রায় হিন্দুজাতির যে কয়েকটি নূতন শাখার উদগম হয়, মহারাণ রাজসিংহ তাহারই অন্যতম। পাখী—হাজার বছর পরে অধ্যাপক শ্ৰীহৃষীকেশ ভট্টাচাৰ্য্য S স্বাক্টর রহস্যপটে কালের তুলিকা আজো অঁাকে নাই রূপটি তোমার, ওগে। মোর অনামিকা পাখি ! উযার বরণ-ছন্দ গভীর স্পন্দনে তব বাধে নাই কাকলি ঝঙ্কার, আলো তোমা যায় নাই ডাকি । তবু অস্তরের কোন গুঢ়তম অমৃভূতি ভবিষ্কোর অন্ধকার শেষে জাগাইছে তোমার বারতা ; তবু কোন নামহীন-বিরহ-বেদন-ঘন হৃদয়ের বাষ্পাকুল দেশে ফুটি ওঠে দীর্ঘ ব্যাকুলত । ૨ তোমারে দেখেছি বুঝি তরুণ-বিশ্বের বুকে নবদীপ্ত অরুণ-কিরণে - ক্ষীণ স্মৃতি জাগে মোর প্রাণে, শুনেছি তোমার গীতি, জ্যোতিষ্কবিন্দুর রূপে যবে তুমি বরণে বরণে আকাশ ভরেছ গানে গানে । অযুত যুগের মৈত্রী হৃদিরক্ত মাঝে মোর তাই আজি তোলে চঞ্চলত, —স্বমুখে পিছনে শুধু চাই ; অনাগত বন্ধু মোর ! অনাহত স্বর তব আনে যেন কোন আকুলতা ; তোমারে নন্দিব আজি তাই । \L সহস্ৰ বৎসর পরে যবে নীল নভোতলে স্পদিবে তোমার পক্ষরেখা, গানের ঝরণা যাবে ঝরে, তব স্বথ-কলতান-মুখরিত উপবৃনে ফুলের অক্ষরে রবে লেখা ' স্বাগত বচন তব তরে ;– তখন এমনি ধারা ধরণীর অস্তরেতে ফুলিবে ফুলিবে মুখ দুখ, অযুত প্রাণের হবে মেলা ; মিলন-গীতিকা কত গুঞ্জরিবে কুঞ্জবনে, বিরহে ভরিবে কত বুক, হবে কত প্রণয়ের খেলা ।