পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ SAMSAMMMAAASAAA SASA .سrs «-٧٠ সকলেই তেমনই চমকিয়া উঠিল। নীরদ তাহাদের কাছে অপরিচিত—তাহার কণ্ঠস্বরও যেমন অপরিচিত, তেমনি তাহার দীর্ঘ বলিষ্ঠ দেহ ও পুষ্ট বাহুও তাহাদের কাছে সম্পূর্ণ নুতন । নীরদ তাহার চারিদিকের অবস্থা একবার দেখিয়া লইল। একটি লোক অৰ্দ্ধমূৰ্ছিত অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছে। অার একটি মেয়ের কেশাকর্ষণ করিয়া একটি যমদূতের মতো পাইক পায়ের নাগড় খুলিয়া লইয়া প্রহারে উদ্যত । দাওয়ার উপরে একটি হারিকেন লণ্ঠনের সম্মুখে একটি নাতিবৃহৎ সভা। গুড়গুড়ির নল মূপে দিয়া কৰ্ম্মচারী মহাশয় উপবিষ্ট । তাহীদের বিস্ময়ের ঘোরটা একবার কাটিয়া গেলেই সমস্বরে একটি বাক্য উচ্চারিত হইল—আপনি এখানে কেন মশায়—যান যান, নিজের কাজে যান ! নীরদ আর কিছুদূর অগ্রসর হইতেই পাইক তাহাকে লক্ষ্য না করিয়াই বলিল, - বল না—বল—ঐ হতভাগ লোকটা কি না বল—সত্য কথা বল্‌ ! —‘ন, আমি বলতে চাইনে! আমি জানি নে— কণ্ঠের এই স্বর নীরদের পরিচিত। মেয়েটির দিকে ফিরিয়া চাহিতেই সে তাহার দিকে চাহিয়া উচ্চৈঃস্বরে কাদিতে লাগিল—“নীরদ ভাই, আমাকে বাচাও—আমি মলাম ! সঙ্গে সঙ্গে আবার সেই পাদুকা-প্রগর। নীরদের চোখমুখ জালা করিতে লাগিল ! তাহার পর তাহার মাথার মধ্যে আগুন জলিয়া উঠিল—আগাছার দল কোলাহল করিতে করিতে দূরে পলাইয়া গেল। পাদুকাপাণি পাইক রক্তাক্তমূপে ভূলুষ্ঠিত হইল। কৰ্ম্মচারী মহাশয় ঘরের ভিতর গিয়া তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ করিলেন, কেবল স্থূলকায় গুপীদাস পলাইতে পলাইতে প্রবলবেগে পৃষ্ঠদেশে এক ঘা লাঠির মিষ্টত্ব অস্বিাদন করিয়াই ‘বাপ’ বলিয়া বসিয়া পড়িল । - যে লোকটি এতক্ষণ অৰ্দ্ধমূচ্ছিত অবস্থায় পড়িয়াছিল, সে হাতে ভর দিয়া উঠিয়া বসিল। তাহার সর্বাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত—রক্ত ঝরিতেছে। সে উঠিয়া আসিতেই নীরদ তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল—“তোমার নাম কি ? সে বলিল —মতিচরণ। প্রণাম দাদাবাবু বলিয়া সে নত হইয় প্রণাম করিতে ঘাইতেছিল—নীরদ তাঁহাকে ধরিয়া ফেলিয়া প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAAAAAA AAAA AAAA AAAA ASASASA AAAMAAAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSASAMAMAM AAAA AAAA AAAA SAAAA SAAAAA AAAA AAASS বলিল—‘ওসব পরে হবে ; এখন একে নিয়ে যেতে হ’বে—বলিয়া ভূলুষ্ঠিত মূচ্ছিতা হিরণকে দেখাইয়া দিল । তাহার পর দুইজনে ধরাধরি করিয়া হিরণকে বাড়ীর দিকে লইয়া গেল। বহু শুশযায় হিরণের জ্ঞান হইলে মতিচরণের সাহায্যে নীরদ তাহাকে তাহীদের বাড়ীতে রাগিয়া আসিল । আরও কয়েক মাস পরের কথা । নীরদ তাহার ঘরপানিতে বসিয়. একখানি পুস্তকে মনঃসংযোগ করিয়৷ ছিল । দক্ষিণের খোলা জানালীর সম্মুপে একটি তরুণী তাহার দিকে চাহিয়া মৃদু মৃদু হাসিতেছিল ; পুস্তকের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় নীরদ তাহার মনটিকে রাখিতে পারিয়াছিল কি ? তরুণীটি শেষে হাসিতে হাসিতে বলিল,—কি গো বীরপুরুষ, তুমি না কি এক অনেক লোককে যুদ্ধে হারিয়ে দিয়েছিলে । পুস্তক হইতে মুখ না তুলিয়া নীরদ বলিল -কে বললে একথা ! —কেন, আমি কি শুনতে পাই ন৷ ভাব ! তুমি ন৷ বললেও আমি অনেক কথা জানতে পারি ! —ইi, সে একট। ব্যাপার হয়েছিল ; অল্পদিন হ’ল তুমি এসেছ, ভাই আর সে-কথা তোমাকে বলি নি! তুমি কি ক’রে জানলে মীরা ? মীরা বলিল যে, সে এমন অনেক কথা জানে যে নীরদও তাহ এখনও জানে না । তাহার নাকি অনেক গুপ্তচর আছে, তাহাদেরই কাছে এসংবাদ সে শুনিয়াছে। নীরদ মীরার একখানি হাত আপনার হাতের মধ্যে লইয়া বলিল—হঁ্য সে অনেক কথা ; আর একদিন তোমাকে তা বলব ! কিন্তু মীরা কিছুতেই শুনিল না , অগত্য নীরদ বিস্তারিত সকল কথাই একে একে মীরাকে বলিয়া গেল । মীরা সব শুনিয়া বলিল—৪; এই !—আমি এর চেয়ে আরও অনেক কিছু জানি! নীরদ বলিল—কি ক’ের জানলে—কি জেনেছ সব বলে আমাকে ! মীরা কিন্তু একরাশ কালে এলোচুল দুলাইয়া পলাইয়া যাইতেছিল। নীরদ তাহাকে মধ্যপথে ধরিয়া ফেলিল ।