পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*>b" পারিত না। এখন ত চাউলের দাম ও অন্যান্য জিনিষের দাম দেড়গুণ বাড়িয়াছে । যদি বল, চাউলের দাম ও পাটের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে কৃষকদিগের আয়ও সেই পরিমাণে বাড়িয়াছে। কিন্তু সে কত লোকের ? জ্যাক্‌ সাহেব বলিয়াছেন, শতকরা চল্লিশট পরিবারকে ধান চাউল কিনিয়া খাইতে হয় । - জাকৃ সাহেব সচ্ছলতা ও অসচ্ছলতার হিসাবে পরিবারসমূহকে এই চারি শ্রেণীতে ভাগ করিয়া তাহাদের গড়পড়ত বাৎসরিক আয় দেখাইয়াছেন ঃ শতকরা বার্ষিক জনপ্রতি পরিবার সংখ্যা অায় বার্ষিক আয় [2] “Comfort" (nsee)- 8 – రిఅt\ - ఆ [s] "Below comfort (ATBENH Rv – R°N – 8°\ [3] “Above indigence" [FfRR RIK]—ovho— —osov– ses [8] "Indigence [ wfr" }– 8| ۰ - ۹۹ ه سس ) ه داد যাহারা কৃষিকাৰ্য্য করিয়া খায় তাহাদের উক্ত প্রকার আয় দেখান হইয়াছে, অপর শ্রেণীর আয় জনপ্রতি যথাক্রমে ৮০২, ৪২২, ৩১২ ও ২৪২ টাকা । কিন্তু আমরা উপরে যে হিসাব করিয়াছি, তাহাতে দেখা যায় একটি পরিবারের কেবল চাউলের খরচই বংসরে ২০৬০ টাকা । তাহা হইলে কৃষকদিগের মধ্যে অৰ্দ্ধেক লোককে অতিকষ্টে জীবনযাপন করিতে হয় এবং প্রায় সিকি লোকের একবেলার বেশী অন্ন জোটে না । যাহার; কৃষিকাৰ্য্য করে না, ও যাহাদের জমিজমা নাই তাহদের অবস্থা আরও শোচনীয়। কারণ তাহাদের "সচ্ছল” লোকদিগের বাৎসরিক আয় জনপ্রতি ৮০২ টাকা রহিয়া গিয়াছে, অথচ চাউলের দাম পূৰ্ব্বাপেক্ষা দেড় গুণ বাড়িয়াছে। কৃষকের ঋণভার এই কারণে অধিকাংশ লোকেই ঋণ-গ্ৰস্ত হয়। জ্যাক্ সাহেব লিথিয়াছেন : - Athong the cultivators 55 p. c. are free from debt, 39 p. c. in debt, but only to a moderate extent; 6 p. c. heavily indebted. প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড Of non-agriculturists 73 p. c were free from debts. Among cultivators average debt per family was Řs. 12t among non-cultivators. Rs. 258. In the district as a whole the debt amounted to Rs. 11 per head of population, and Rs. 59 for each family.” - যখন চাউলের দাম ৫২ টাকা মণ ছিল তখন কৃষকশ্রেণীর শতকরা ৩৯ জন এবং অপর শ্রেণীর শতকরা ২৭ জন ঋণগ্রস্ত ছিল । চাউলের দর বৃদ্ধি হওয়াতে এই ঋণগ্রস্ত লোকের সংখ্যাও অনেক বাড়িয়াছে সন্দেহ নাই । বিশেষতঃ নির্দিষ্ট অল্প আয়ের মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক শ্রেণীর । মধ্যবিত্ত লোকের আয়ব্যয় এই জেলায় ভদ্রলোক শ্রেণীর মধ্যে প্রায় অৰ্দ্ধেক লোকের [ ১২,৭৭১ পরিবার ] জমিজমা নাই। যাহাদের জমি নাই,তাহাদের অৰ্দ্ধেক লোক কেরাণীগিরি বা মুহুরিগিরি করেন, আর অৰ্দ্ধেক উকীল, মোক্তার, ডাক্তার, কবিরাজ, শিক্ষক ইত্যাদি । জ্যাক্ সাহেব বলেন : “Clerks are ill-paid ; those in Government ..service in Bengal are far better paid than their fellows in most of the countries of Europe. অর্থাৎ যে সকল কেরাণী গভর্ণমেণ্টের চাকুরী করেন, র্তাহাদের বেতন ইয়ুরোপের অনেক দেশের কেরাণীর চেয়ে বেশী। এ কথা কতদূর সত্য জানি না। তবে এ দেশের সাহেব ও অৰ্দ্ধসাহেব কেরাণীগণ গভর্ণমেণ্ট ও সওদাগরী আপিসে যে বাঙ্গালী কেরাণীর চেয়ে অনেক বেশী বেতন পান তাহা ত প্রত্যক্ষই দেখিতেছি । všfgf(WH standard of living [ 5f35FF ] NGRAF GEG. ধরণের বলিয়া কম মাহিনায় তাহাদের পোষায় না। ইয়ুরোপের নানা দেশে যাহার কেরাণীগিরি করে তাহাদের চালচলন কি ইহাদের চেয়ে কম ? গভর্ণমেণ্ট আপিসের কেরাণীদের সম্প্রতি মাহিনী বৃদ্ধি হওয়াতে তাহাদের অর্থকষ্ট অনেকট। দূর হইয়াছে লীকার করি। গভর্ণমেণ্ট স্কুলসমূহের শিক্ষকদিগেরও কপাল খুলিয়াছে, কিন্তু বে-সরকারী স্কুলসমূহের শিক্ষকগণের