পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vo প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড “And Jesus stood before the governor : and the governor asked him, saying, Art thou the king of the Jews 2 And Jesus said unto him, the u sayest. And when he was accused of the chief priests and elders, he answered nothing. Thon said Pilate unto him, Hearest thou not how many things they witness against thee Y And he answered him to never a word ; much that the governor marvelled greatly.” [ ইতিমধ্যে যীশুকে দেশাধক্ষের সম্মুখে দাড় করান হইল। দেশাধক্ষ উtহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি যিহুদীদের রাজা ? যীশু তাহাকে কছিলেন, তুমিই বলিলে । আর যখন প্রধান যাজকের ও প্রাচীনবর্গ তাহার উপর দোষারোপ করিতেছিল, তিনি কিছুই উত্তর করিলেন না। তখন পীলাত উাহাকে কহিলেন, তুমি কি শুনিতেছ না, উহার তোমার বিপক্ষে কত বিষয়ে সাক্ষ্য দিতেছে ? তিনি তাহাকে এক কথারও উত্তর দিলেন না ; ইহাতে দেশাধ্যক্ষ অতিশয় আশ্চৰ্য্যজ্ঞান করিলেন । ] * inso বিচারের সহিত ধীশুখৃষ্ট কোন সংস্রব রাগিলেন না। ইহাই ননকোঅপারেশন । মহাত্মা গাধির দেশহিতব্ৰত তপস্যার নামান্তর মাত্র । জগতে সৰ্ব্বত্র স্বীকৃত হইয়াছে যে, তাহার তুল্য মহচরিত্রবান ব্যক্তি পুথিবীতে বিরল। পাশ্চাত্য জগতেই র্তাহাকে ধীশুখৃষ্টের সহিত উপমিত করা হইয়াছে। ননকোঅপরেশন কাহাকে বলে ফরাসী বিপ্লবের পূৰ্ব্বে কাউণ্ট মিরাবো তাহা নির্দেশ করিয়াছিলেন। সেই প্রসিদ্ধ বাগ্মী বলিয়াছিলেন যে, রাজ্য পরিচালন রহিত করিবার জন্য প্রজাকে অস্ত্র ধারণ করিতে হয় না, প্রজা হাত গুটাইয় দাড়াইলেই বন্ধ ঘড়ীর মতন রাজকাৰ্য্য অচল হইয়া উঠিবে। মহাত্মা গাধিও বলপ্রকাশের সম্পূর্ণ বিরোধী। রাজকাৰ্য্যে সহযোগিতা নিবারণই র্তাহার একমাত্র অমোঘ বল । অনেকে বলেন কেবল থদর প্রচার করিলে দেশের কল্যাণ হইবে না। হইবে কি না তাহা নিরূপণ করিবার সময় উপস্থিত হয় নাই । যদি দেশের লোক সকলে বিদেশী বস্ত্র পরিত্যাগ করিয়া খন্দর ব্যবহার করে, সকলেই যদি খাদীর গান্ধীর টুপি মাথায় দেয়, তাহু হইলে আর কিছু না হউক দেশের লোকের একতা স্বছিত হইবে । সেটা কি সামান্য লাভ ? গবমেন্টের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিবার পূর্বে বিবেচনা করিতে হইবে দেশে একতা আছে কি না । ম্যাগনা চার্টার উল্লেখ করিয়াছি । যে সময় কয়েকজন লোক রাজা জনকে স্বাক্ষর করিতে বলে সেই সময় যদি আর একদল লোক উপস্থিত হইয়া বলিত, ম্যাগনা চাটায় আমাদের প্রয়োজন নাই, আমরা যে অবস্থায় আছি সেইরূপ থাকিব, তাহ হইলে কি রাজা স্বাক্ষর করিতেন ? কাউন্সিলে এসেমব্লিতে নানা রকম দল। স্বরাজী, লিবরাল, ন্যাশনালিষ্ট আরও কত দল। কেন ? ইংলণ্ডে সচরাচর দুই দল দেখিতে পাওয়া যায়, যাহাঁদের সংখ্যা বেশী তাহারাই সাম্রাজ্য শাসন করে। এখন তিন দল হইয় বড় গোল বাধিয়াছে, সম্ভবতঃ কিছুদিন পরে আবার দুই দল হইয়া যাইবে । এখানে দলের স্পষ্ট ইংলণ্ডের অন্তকরণ, তা ছাড়া দলাদলি ত চিরকাল আছেই, নহিলে বিদেশী রাজার সুবিধা হইবে কেন ? অনুকরণ করিলেই কিছু বাড়াবাড়ি হয়, সেইজন্য দুই দলের পরিবৰ্ত্তে এখানে পাঁচটা দল হইয়াছে। কোন দল কি রাজ্যশাসনের ভার পাইবার আশা করে ? প্রথমে প্রজাতন্ত্র হউক, দেশ শাসনের ভার দেশের লোকের হাতে আসুক তখন না হয় ভিন্ন ভিন্ন দুল হইবে, কিন্তু এখন এরূপ মতভেদে কি ফল ? একে ত আমরা দুৰ্ব্বল তাহাতে এরূপ পাচ সাত দল হইলে দুর্বলতা আরও বাড়িয়া যায়। দেশের মতিগতি কোন দিকে তাহার লক্ষণ চারিদিকে দেপিতে পাওয়া যাইতেছে। রাজদ্বারে প্রবেশ-পথ অবারিত থাকিবে, রাজদরবারে সম্মান হইবে, উপাধি লাভ হইবে, প্রচুর অর্থ উপার্জন করিব, এদিকে পেটিয়ট বলিয়া গলাবাজি করিয়া গগন ফাটাইব, সে কৌশল এখন আর চলে না। এইজন্তু কলিকাতায় ও বোম্বেতে লিবরাল দল প্রকাশু সভা করিতে পারেন না । একজন বাঙালী বড় কৰ্ম্মচারী কলিকাতায় হিন্দু মুসলমানদের বিবাদ মিটাইতে গিয়াছিলেন ; তাহাকে হাস্যাম্পদ হইয়া ফিরিয়া আসিতে হইয়াছিল। আর একজন বেঙ্গল কাউন্সিলে-প্রবেশ করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন ; তাহার ভোটসংখ্যা এত অল্প হইয়াছিল যে র্তাহার জমা টাকা বাজেয়াপ্ত হইয়া গেল। আগে কনগ্রেসের সভাপতির