পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা l বাঙ্গালীর অন্নসমস্যা శి)సి দুরবস্থার একশেষ। অনেক স্কুলেই গ্রাজুয়েট শিক্ষক গণের মাহিনী ৩০২৷৪০২৷৫০২ টাকার বেশী নহে। আইন ব্যবসায়ীদের উপর জ্যাক সাহেবের অত্যন্ত রাগ । তিনি বলেন : The lawyers are the spoilt children of Bengal. They make an income entirely disproportionate to their abilities. অর্থাৎ উকীল মোক্তারগণ “আলালের ঘরের দুলাল”। তাহাদের গুণপনার তুলনায় রোজগার অনেক বেশী। আমি মনে করি আধুনিক কালে অনেক average civilian সম্বন্ধে বরং এই মন্তব্য বেশী খাটে। মফস্বল কোর্টের কয়জন উকীল জজ ম্যাজিষ্ট্রেটদের চেয়ে বেশী রোজগার করেন ? আমি মনে করি একট। জেলায় বিশ লক্ষ লোকের মধ্যে মাত্র দুই তিনটি উকীল ও হাকিমের মাসিক আয় হাজার টাকা ও তাহার উপরে এবং ৫০০ টাকা হইতে ১০০০ টাকা আয়—১৫২০ জনের ৫০ ০< ,, আয়—৫০৬০ জনের 39 আয়—১৫ ০২০০ ,, ف ہ ہن\ , अग्नि-8००l¢०० و وی ۵ گاد o$ و وی هم دا ইহার মধ্যে হাকিম, উকীল, মোক্তার, ডাক্তার, কেরাণী, পুলিশ, প্রফেসর, মাষ্টার ইত্যাদি সব রকম মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোক পড়িতেছে। জমিদার ও তালুকদারদিগকে ধরা হয় নাই । ফরিদপুর জেলায় বাষিক ৫০,০০০ টাকা আয়ের জমিদার ৩৪টির বেশী হইবে না [ অবশ্ব বিদেশবাসী জমিদার বাদে ] ; ১০২০৷২৫ হাজার টাকা আয়ের জমিদার ২০২৫টি হইবে ; অধিকাংশ ভূম্যধিকারীই ক্ষুদ্র তালুকদার তাহাদের মধ্যে অল্প লোকেরই আয় ৫০০২ হইতে ২০০০ টাকা হইবে। প্রজার নিকট হইতে বৎসরে ৫০২ কি ১০০ টাকা খাজনা আদায় করিয়া তাহার অৰ্দ্ধেক গবর্ণমেণ্টের রাজস্ব দেয় এবং ২০২৫ বিঘা খামার জমির উপস্বত্ব ভোগ করে, এইরূপ ক্ষুদ্র তালুকদারের সংখ্যাই এ জেলায় হাজার হাজার। ব্যবসাদারদিগের অবস্থা এই জেলায় মাদারীপুর, পালং, গোপালগঞ্জ, ভাঙ্গা, কাশীয়ানি, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী, পাংশ প্রভৃতি বন্দরে 琼公 39 ,, ف ہ ہاتھ $3 وو ی هگ) دا অনেক ব্যবসাদার আছে, তাহাদের কাহারও কাহারও কারবার খুব বড়। ইহার ধান, চাউল, পাট, কাপড়, বাসন, টান, কাঠ প্রভৃতি জিনিষের ব্যবসা করে । এই সকল ব্যবসাদারের মধ্যে প্রায় ৫০০ লোক ইনকামট্যাক্স দেয়, অর্থাৎ তাহাদের বাৎসরিক আয় দুই হাজার টাকার । উপরে। এতদ্ভিন্ন বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র ব্যবসাদরি ( petty traders ) আছে, যাহারা ধান, চাউল, কাপড়, বেনেতি মসলা, তেল, চুন, তামাক, চিনি মনিহারী দ্রব্য ইত্যাদি হাটে হাটে বিক্রয় করিয়া মাসে ১৫/২০ টাকা লাভ করে। এই সকল ব্যবসাদার অধিকাংশ জাতিতে তেলি কিংবা সাহা। আজকাল অনেক নমঃপূত্রও এই ব্যবসা ধরিয়াছে। বারুই জাতি বরোজে পান উৎপাদন করিয়া হাটে হাটে বিক্রয় করে । তাহদের অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভাল। এ জেলায় মাড়োয়ায়ী ব্যবসাদারের সংখ্যা খুব কম। ব্রাহ্মণ কায়স্থাদি জাতি ব্যবসা ভাল বুঝে না, এই সকল ব্যবসায় চালাইতে হইলে যেরূপ শিক্ষার দরকার স্কুল কলেজে তাহার সেরূপ শিক্ষা পায় না, বরং আধুনিক স্কুল কলেজের বিলাসিতার আবহাওয়ার মধ্যে বদ্ধিত হইয় তাহারা ঐ সকল ব্যবসায়োচিত শারীরিক পরিশ্রম ও কষ্টসহিষ্ণুতাতে সম্পূর্ণ অপটু হইয় পড়ে। একজন সাহা মহাজন বা মাড়োয়ারী তাহার দৈনিক বেচাকেনার হিসাবে একটি পয়সার গরমিল হইলে তাহা মিলাইবার জন্য হয়ত রাত্রি ১২টা পৰ্য্যন্ত খাটিবে, কিন্তু একজন কলেজেপড়া বাব *একপয়সা ত জানে দাও” বলিয়া তাহা উপেক্ষা করিবে, এবং সেইরূপ অভ্যাস হওয়াতে পরে একশত টাকাকেও “don’t care”করিয়া অবশেষে একহাজার টাকা লোকসান দিয়া বসিবে। ব্যবসায় ব্যাপারে এক পয়সাও একশত টাকার সমান মূল্যবান মনে করিতে হইবে, অর্থাৎ habit of mind ( অভ্যাস )ই আসল বস্তু। ইংরেজীশিক্ষিত যুবকদিগকে ব্যবসায়ে কৃতকাৰ্য্য হইতে হইলে সেই মনের অভ্যাস অর্জন করিতে হইবে। কারুকার্য্য এ জেলায় শিল্পকাৰ্য্য অতি সামান্তই আছে। মুসলমান কারিগরেরা তাত বোনে, ছুতারমিস্ত্রীর কাঠের