পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९२४~ AMMMAMAM MSMSMAASAMAMMAM MMAMMMMMAMA AMAMAMMMMS থেকেও ভীরু ও অসহায়। আমাদের দেশে শক্তির দেবতাকে নারীরূপে পূজা করা হয়, আর শক্তির জীবন্ত স্বরূপগুলিকে কি করা হয় ? তাদের কি আত্মরক্ষা করতে শিক্ষা দেওয়া হয় ? না তাদের আত্মরক্ষায় পটু করা হয় ; না তাদের রক্ষণ করবার কোনও উপায় করা হয়। বিপদ আসলে তখন আদালতে যাওয়া আর নাকে কঁাদুনীই সার। কবে আমাদের মেয়ের মহারাষ্ট্র, অন্ধ, গুজরাট, কেরল ও তামিল দেশের হিন্দু মেয়েদের মত গা তুলে চোখ মেলে ঘোমটার আবরণ ত্যাগ করে বাইরে এসে দাড়াবে ? কবে তারা আত্মরক্ষায় সমর্থ হবে ? দেশের কোনও কাজে স্বেচ্ছাসেবিকার দরকার হলে পাওয়া যায়, কিন্তু যেই অভিভাবক শোনেন দল বেঁধে প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড বাইরেওঁ বের হতে হবে অমনি তখন পিছিয়ে যান “যদি কোনও বিপদ হয়”—যেন বাইরে বের হতে না দিলেই বিপদকে ঠেকাতে পারবেন। আমাদের মেয়েরা যে বাইরে বের হন না তা নয়, কিন্তু তার যে-রকম ঘোমট টেনে, ভীতচকিত দৃষ্টিতে জড়িত চরণে বের হন, সেরকম ভাবে বের হলে কিছুই হবে না, তাতে দুষ্টদের দমনে কিছুমাত্র সাহায্য হবে না। পরিচ্ছদে পূরামাত্রায় শালীনতা রক্ষণ করে, সাহসের সঙ্গে নিঃসঙ্কোচে বের হতে পারলে তবেই বাইরে বের হওয়া সার্থক হবে । দেশের বর্তমান সমস্তাগুলির মধ্যে অন্ততঃ একটির কিছু পরিমাণে সমাধান হবে । মাতাপিত এই বিষয়গুলি ভেবে দেখবেন ও কন্যাদের এই সকল শিক্ষা দেবেন, এই তাদের কাছে প্রার্থনা । অপরাজিত ঐবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন ছেলে পড়াইবার পর অপু ভাবিল, এইবার সে কোনো মেসে আলাদাভাবে থাকিবে । অখিল বাবুর মেসে পরের বিছানায় শুইয়া থাকা তাহার পছন্দ হয় না। কখনো সে ও ভাবে থাকে নাই। কিন্তু কলেজ হইতে ফিরিবার পথে কয়েকটি মেসে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিল পনেরো টাকা মাত্র আয়ে কোনো মেসে থাকা চলে না । তাহার ক্লাশের কয়েকটি ছেলে মিলিয়া একখানা ঘর ভাড়া করিয়া থাকিত, নিজেরাই রাধিয়া খাইত, অপুকে তাহারা লইতে রাজী হইল। কলেজের কাছে হয়, তাহা ছাড়া এখানে সকলেরই নিজের নিজের বিছানা পাতিবার জায়গা আছে, বিশেষ করিয়া আরও সেইজন্য অপু অখিল বাবুর মেস হইতে ইহাদের কাছে আসিল । খরচও কম, পনেরো টাকাতে কুলাইবার আশা বন্ধুর দিয়াছেন । ষে তিনটি ছেলে একসঙ্গে ঘর ভাড়া করিয়া থাকে, তাহাদের সকলেরই বাড়ী মুর্শিদাবাদ জেলায় । ইহাদের মধ্যে স্বরেশ্বরের আয় কিছু বেশী, এম-এ ক্লাশের ছাত্র, চল্লিশ টাকার টিউশনি আছে । জানকী কোথায় ছেলে পড়াইয়া টাকা কুড়ি পায়। নিৰ্ম্মলের আয় আরও কম। সকলের আয় একত্র করিয়াও যে মাসে যাহা অকুলান হয়, স্বরেশ্বর নিজেই তাহ দিয়া দেয়, কাহাকেও বলে না । অপু প্রথমে তাহ জানিত না, মাস দুই থাকিবার পরে তাহার সন্দেহ হইল প্রতি মাসেই স্বরেশ্বর পচিশ ত্রিশ টাকার দোকানের দেন শোধ করে, অথচ কাহারও নিকট চায় না কেন ? সুরেশ্বরের কাছে একদিন কথাটা তুলিলে সে হাসিয়া উড়াইয় দিল । সে বেশী এমন কিছু দেয় না, যদিই বা দেয়-তাতেই বা কি ? তাহাদের যখন আয় বাড়িবে তখন তাহারাও অনায়াসে দিতে পারে, কেহ বাধা দিবে না তখন । নিৰ্ম্মল রবিঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করিতে করিতে