পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখn-1 २8* এখনও জগতের অনেক জিনিষ বুঝতে রাকি আছে। নিজেরই মনের সঙ্গে কত লড়াই ঝগড় ষে করতে হয়, তা বেঁচে থাকলে বুঝতেই হবে।” - ষ্টেশন নিকটে আসিয়া পড়ায় তাহদের আলোচনা থামিয় গেল । এদিক ওদিক ছড়ানো জিনিষপত্র আবার গুছাইয়া তুলিয়, তাহার ট্রেন থামিবার প্রতীক্ষা করিতে লাগিল। ইন্দু বলিল, “মনে করে গাড়ী যদি পাঠায় তবেই, নইলে সেই গরুর গাড়ী করে যেতে গায়েগতরে ব্যথা হয়ে যাবে। একেই ত বিছানায় শুয়ে পড়ে থেকে থেকে গাটে গাটে ব্যথ ধরে গেছে।” গ্রামে মাত্র দুইখানি ঘোড়ার গাড়ী, আগে হইতে জোগাড় করিয়া না রাখিলে তাহ পাইবার অাশ করা তুরাশ মাত্র । মিনিট পাচের মধ্যে ক্ষুদ্র গ্রাম্য ষ্টেশনে আসিয়৷ ট্রেনটি দাড়াইয় পড়িল । থামিবে মাত্র দুই মিনিট। কাজেই ধীরেস্থস্থে নামিবার সময় পাওয়া যায় না, কোনমতে হুড়াহুড়ি করিয়া, পোটুলী-পুটুলি লইয়। সকলে নামিয়া পড়িল যাত্রী বেণী নামিল না, তবু গ্রামের ষ্টেশনটি যেন সরগরম হইয়া উঠিল । গ্রামের অধিকাংশ বেকার মাহুষই ট্রেন আসিবার সময় ষ্টেশনে আসিয়া বসিয়া থাকে। কে গেল, কে আসিল, ট্রেনের কামরার জানালার পথে সারি সারি অপরিচিত মুখ, এই সকল দেখিয় তাহাদের দৈনন্দিন জীবনের বৈচিত্র্যহীনতার দুঃখ কিছু যেন কাটিয়া ধায় ! : - নিরঞ্জনদের বাড়ীতে যে বিধবা গ্রৌঢ় সপরিবারে: বাস করিতেছিলেম, তাহারই পুত্রকে ঘোড়ার গাড়ী ঠিক করিবার জন্য টেলিগ্রাম করা হইয়াছিল। ইন্দু নামিয় পড়িয়াই ব্যগ্রভাবে চারিদিকে তাকাইতে তাকাইতে. বলিল, “মিস্তার পিসী যদি আক্কেল করে গাড়ী ন পাঠায়, , তা হলেই গেছি। মেয়েটার কষ্টের একশেষ হবে।” মায় বলিল, “তুমি ত বেশ পিসীম। নিজের ভাবনাছেড়ে আমার ভাবনা ভাবতে বসে গেলে ? দু’প হঁটিলে আমি গলে যাব নাকি ? তুমি রোগ মাহুষ, তোমার কষ্ট হবে ঢের বেশী। ছোটকাকা একটু এগিয়ে দেখ না, গাড়ী এসেছে কি না। মাগো, ষ্টেশনটা কি রকম - .\తిని ఆ e - বদলে গেছে। অাগে ত টিনের shed ছাড়া কিছুই ছিল না । - - * - به " . * যাহা হউক গাড়ী খুজিতে আর যাইতে হইল না। খন্দরের ধুতি, পাঞ্জাবী পর একটি যুবক হঠাৎ অগ্রসর হইয়া আসিয়া ইন্দুকে বলিল, “এই যে ইন্দু পিসী, আমি আপনার জন্যে গাড়ী নিয়ে এসেছি।” ইন্দু বলিল, “ওম, প্রভাস যে ! এখনও রয়েছিল ? আমি শুনেছিলাম অনেক দিন আগেই কাজের জায়গায় চলে গিয়েছিস ।” - প্রভাস একবার মায়ার মুখের দিকে চাহিয়া লইয়া বলিল, “গিয়েত ছিলাম, কিন্তু ম আবার অসুখ বাধিয়ে বসলেন, কাজেই কয়েক দিনের জন্যে ছুটি নিম্বে এলাম। আজই আবার যাচ্ছি।” - ইন্দু বলিল, “তাই নাকি ? ভাগ্যে ইষ্টিশানে এসেছিলি, তাই ত.দেখা হল ! ক’টার সময় ট্রেন ?? প্রভাস বলিল, “এই ঘণ্টাখানেক পরে। আমি আর বাড়ী যাচ্ছি না, ষ্টেশনেই ঘুরে ফিরে কাটিয়ে দেব। তোমরা আছে শুনে গাড়ী নিয়ে একটু আগে অাগেই এসেছি । ইন্দু একটু যেন বিরক্ত হইয়া বলিল, “নিস্তার পিসী বুঝি এইটুকু আর করে উঠতে পারলেন না ?” প্রভাস বলিল, “ন, এ ক্ৰটিট বোধ হয় তার ইচ্ছাকৃত নয়। র্তার বড় ছেলেট কয়েক দিন হল জয়ে ভুগছে, তাকে নিয়ে ব্যস্ত আছেন । আমিই নিজে বলে গাড়ী নিয়ে এলাম, নইলে ছোট ছেলেটা আস্ত বোধ হয়.।” মায়। চুপ করিয়া দাড়াইয়া ছিল। প্রভাসকে দেখিয়। কেন জানি না, তাহার গলার কাছটা বেদমায় টনটন করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। সক্ৰিীকে. বড় বেশী - করিয়া তাহার মনে পড়িতেছিল। . এই গ্রামের বাড়ীর - সঙ্গে কি গভীরভাবে তাহার মায়ের স্থতি: জড়ান। সেই বাড়ী, সেই গ্রাম, সেই পথঘাট, কিন্তু ইহাদের মাঝখানের সেই অতিঞ্জিয়, অতিপরিচিত মঙ্গলমূর্তিটি ; কোথায়- মিলাইয়া গিয়াছে ? এ ধেন : শুধু-বহুমূল্য । ফ্রেমখানি পড়িয়া জাছে, ভিতরের ছুবিধানি নাই। - প্রভাসের সঙ্গে তাছার মামায়ার ৰিবাহের কক্ত না চেষ্টা