পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫ్చిtషి این مجموعه میبیعی مهمی এখন লোক ধয়ে না। জয়ন্তী ছেলেমেয়ে লইয়া জাসিয়া জুটিয়াছে, তাহার মাও সঙ্গে আসিয়াছেন । মেয়ের শরীর ষড় খারাপ, গ্রামের খোলা হাওয়ায় তাহার স্বাস্থ্যের অবগুষ্ট উন্নতি হইবে ইত্যাদি নানা অছিলায় জয়ন্ত্রীকে উদ্ধার কর হইয়াছে। অবশ্য পিছনে নিরঞ্জনের চিঠির জোর না থাকিলে কতদূর কি হইত বলা যায় না। নিস্তারিণী ঠাকুরাণী কিঞ্চিং কোণঠাশা হইয় পড়িয়াছেন, তাহাকে আরো একখানি ঘর ছাড়িয়া দিতে হইয়াছে। যাহাদের বাড়ী তাহাদের উপর - ত আর জোর করা চলে না, কিন্তু বৃদ্ধ মনে মনে অত্যন্তই চটিয়৷ গিয়াছেন । * মায়। ক্রমেই বুঝিতেছে এই সামান্ত কয়েকটা বৎসরের অনভ্যাসে সে পল্পীজীবন হইতে কতখানি দূরে সরিয়া গিয়াছে। পদে পদে তাহার কত রকম যে অসুবিধা হইতেছে, তাহার ঠিক-ঠিকানা নাই। সকলেই যে তাহাকে লইয়া ব্যতিব্যস্ত, ইহাতে তাহার লজ্জারও সীমা নাই। ইন্দু রোগের বালাষ্ট সব ঝাড়িয়া ফেলিয়া সারাদিন কোমর বাধিয়া ঘুরিতেছে যদি মায়ার অস্থবিধ খানিকটাও দূর করিতে পারে সেই চেষ্টায়। ছুপুরেই সে খাইয়া দাইয়া বাহির হইয়াছে মজুরের সন্ধানে, উঠাণের মধ্যে অস্থায়ী-মত একটা স্বানের ঘর মায়ার জন্য না বাধিয়া দিলেই নয়, বেচারীকে এ কয়দিন রাত থাকিতে উঠিয়া পুকুরে গিয়া স্নান সারিয়া আসিতে হইয়াছে। বিকালে হাত-মুখ ধুইতে হয় শোবার ঘরের মধ্যেই, তাহার পর সে ঘরমোছার আরো এক পৰ্ব্ব চলে । জয়ন্তী বসিয়া বসিয়া সব দেখে আর হাসে । মাঝে মাঝে বলে, “থাক, তোর কল্যাণে আমরাও রাজার হলে আছি, একলা এলে কেউ কি আর এত যত্ন করত ? এর সিকির সিকিও করত ন! * ভিজা গামছা মাথায় জড়াইয়া ইন্দু যেই ফিরিয়া বাড়ীর চৌকাঠ ডিঙাইয়াছে, নিস্তারিণী ঠাকুরাণীর সঙ্গে তাহার সাক্ষাৎ হইল । বৃদ্ধ নিতান্তই অপ্রসন্নমুখে নিজের ঘরের দরজার সামনে দাড়াইয়া ছিলেন। ইন্দুকে দেখিয়া বলিলেন, “হ্যারে, এই ভরা দুপুরে কোথায় টৈ টৈ করে বেড়াচ্ছিল ? ফের যে ক্ষরে পড়বি দেখছিল না প্রবাসী--জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ [ ७०*ं एअंशं, भक्ष &७ আমার ছেলেটার দশা, একদিন ভাল হয় ত্ব ফের দশ দিন শোয় ।” - - . . ইন্দু বলিল, “না বেশী ঘূরিনি, মধুকে বলে এলাম জনকয়েক মজুর জোগাড় করে নিয়ে আসতে।” নিস্তারিণী বলিলেন, “আবার মজুর কিসের জন্তে ? ভাইঝিয় চীনের ঘর ?—ন্নক্ষে কর, এ সব মেমসাহেব নিয়ে গীয়ে আসা কেন বাছা ? তাদের সহরে থাকাই ভাল !" ইন্দু বলিল, “ত তাদেরই বাড়ী তাদেরই ঘর, তারা কি একবার অস্েিব না ? নিজেদের ব্যবস্থা ত তার নিজেরাই করছে, অন্য কাউকে ত করে দিতে হচ্ছে না ?” তাহার কণ্ঠস্বরে বিরক্তির স্পষ্ট আভাস পাইয় নিস্তারিণী খানিকট দমিয়া গেলেন । বলিলেন, “তা ত ঠিকই বাছ, তোমাদের বাড়ীঘর তোমরা আসবে যাবে বৈকি ? তবে কিনা রোগ শরীর নিয়ে তোমাকে দৌড়ে বেড়াতে হচ্ছে, এই জন্যেই আমাদের বলা। মইলে কণর গরজ পড়েছে বল ?” বৃদ্ধ কথা বলিতে বলিতে ঘরের ভিতর ঢুকিয়৷ পড়িলেন । ইন্দু ভিতরে ঢুকিয় দেখিল, ঘরের মেঝেতে মাছর পাতিয়া মায়া আর জয়ন্তী শুইয়| গল্প করিতেছে, জয়ন্তীর ছেলেমেয়ে তক্তাপোষের উপর দিব্য নিদ্রা দিতেছে। ইন্দু বলিল, “একটু বুঝি ঘুমতেও নেই, রাত্রে ত মশা আর গরম বলে ঘুম হয় না, দিনেই ন হয় একটু ঘুমিয়ে নিতিস্ ?” e +. মায়া বলিল, “যাদের ঘুমনো দরকার তারাই মূখন পাড়াময় দৌড়ে বেড়াচ্ছে, তা আমাদের কি দরকার ? নিস্তারিণী বুড়ি তোমায় কি বলছিল পিসিমা ?” : ইন্দু বলিল, “ও বুড়ীর কথায় কবি কি এসে যায়? নিজে কোথা থেকে এসে উড়ে জুড়ে বসেছে তার ঠিকানা নেই, লম্বা লম্বা কথা আছে খুব । তোমাদের দুই বোনের কি পরামর্শ হচ্ছে শুনি ।” । - জয়ন্তী বলিল, “খুড়ীমার নামে সেই ইস্কুল করার কথা । আমি বলছিলাম, পুকুর প্রতিষ্ঠাই কর, ইস্কুল-টিস্থল ত খুড়ীমা বড়-একটা পছন্দ করতেন না। নয়তো ত্রন্ধোত্তর জমি কিছু দান কর। ঐসবোর্তার খুব ভক্তি ছিল। .