পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శి48 ہم امیہ مہم مہ .می. عام جمعہ جعفر ইক্ষুবলিল, “তারাচুক, স্বামী পুত্র সব ঘর জুড়ে রয়েছে, এখনি ত বেঁচে থাকার সময় । পা দুটো ব্যথা করছে আর উঠতে পারি না, যা না একটু ডেকে নিয়ে अग्नि ।” জয়ন্তী উঠিয়া গেল । মায় বলিল, “আমার ইচ্ছে করছে। অন্য ঘরে পালাতে ৷ এখনি ত তোমাদের যত বিয়ের গল্প সুরু হবে।” ইন্দু বলিল, “তোকে দেপতেই আসছে, আর তুইই চলে যাবি ? বোস না, তোকে ত আর খেয়ে ফেলবে না ? জয়ন্তীর সঙ্গে সঙ্গে প্রভাসের মা আসিয়া ঢুকিলেন। মায়া তাহাকে যেমন দেখিয়া গিয়াছিল, তাহার তুলনায় অনেকখানি রোগ হইয়া গিয়াছেন, বয়সও যেন দশ পনেরো বৎসর বাড়িয়া গিয়াছে । সে উঠিয় তাহাকে প্রণাম করিল। প্রভাসের মা জাশীৰ্ব্বাদ করিয়া বলিলেন, “৪ম, মায়! আর সে মায়। নেই । দিব্যি জগদ্ধাত্রীর মত চেহারা হয়েছে । যে ঘরে যাবে, সে ঘর আলো হয়ে উঠবে।” জয়ন্তী চিরকালই ঠোটকাট, সে চট করিয়া বলিল, “আমাদের বোন আর কাল কুৎসিং ছিল কবে জ্যাঠাষ্টমা ? চিরকালই ত তার ঘর-আলো-কঁরা রূপ।” ইন্দু বলিল, “তোর এক কথা। একেবারে উকীলের মত কথার খুটিনাটি ধরতে বসে গিয়েছি। ” প্রভাসের মা জয়ন্তীর মন্তব্যে একটু অপ্রস্তুত হইয়া পড়িয়াছিলেন, এখন ইন্দুর কথায় একটু হাসিয়া বলিলেন, “আমরা বুড়ে মানুষ বাছ, তোমাদের সহরের মেয়েদের সঙ্গে কি আর কথায় পারি ? মায়। যে দেখতে ভাল চিরকালই তা’ত জানিই । ছোটবেলা তোমরাই বরং তাকে কম দেখেছ, আমাদের ত সে ঘরের মেয়ের মতই ছিল।” মায়া বলিল, “আপনার চেহারা কিন্তু অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছে।” প্রভাসের মা বলিলেন, “আর বুড়ীমুড়ি হয়ে গেলাম মা, চেহারাজার কতদিন ভাল থাকবে ? তোমার মা বেঁচে থাকলেও এতদিন বুড়ী হয়ে যেত। মায়ের নামে নাকি পুকুর পিতিষ্ঠে করবে শুনছি ? এই ত মেয়ের মত কাজ।” প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ ബാബു. AAAAAASA SAAAAA AAAA AAAA AAAAMA MMMMAAASA SAAAS AAAAA AAAAA [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড بی بی حس مبرهایی به همراه دخمهها ইলু বলিল, “তোমার ছেলে ত আবার পরামর্শ দিয়ে গেছে মেয়ে-ইস্কুল করতে।” - প্রভাসের মা বলিলেন, “ওটা এক পাগল, ওর কথা শুনো না। যত-সব আজগুবি খেয়াল ওঁর মাথায় । বয়স হল ত বুদ্ধি হল না। রাতদিন আছে কেবল দেশোদ্ধার আর পরোপকার নিয়ে, নিজের কথা একবার ভুলেও ভাবে না। এত যে বিয়ে করবার জন্তে মাথা খুড়ে মরছি, তা কেবা শোনে কার কথা ।” জয়ন্তী বলিল,“স্বভাষের বিয়েই আগে দেবেন নাকি ? প্রৌঢ় বলিলেন, “অগত্য তাই করতে হবে। একটা সন্ন্যাসী হয়ে যাচ্ছে, তা বলে ত সব ক’টাকে সন্ন্যাসী করে দিতে পারি না ? দুটো একটা সম্বন্ধও আসছে, কাল একটি মেয়েকে দেখতে যাবার কথা আছে । তা এ ছেলেও আবার জেদী কম নয়।” ইন্দু জিজ্ঞাসা করিল, “এ আবার কি নিয়ে জেদ করছে ?” স্বভাষের মা বলিলেন, “আজকালকার ছেলেদের ষ? রোগ। লেখাপড়। জান চাই, বয়েস বেশী হওয়া চাই, এই সব আর কি ?” জয়ন্ঠী বলিল, “ত। ছেলের যেমন পছন্দ, তেমনি মেয়ে দেখুন, নইলে পরে আবার ঝগড়াঝাটি বেধে যাবে।” স্বভার্মের মা বলিলেন, “তা ত বটে, তবে কিনা শুধু ছেলের দিক দেখলেই ত হবে না। পাড়াগায়ের গেরস্তঘরে দিন কাটাতে হবে, পাচ জনের সঙ্গে, সেটাও ভাবতে হবে । একেবারে সহরের শিক্ষাদীক্ষা হলে ত চলবে না ?” জয়ন্তী বলিল, “আমার যেমন দশা হয়েছে। শ্বাশুড়ী চান এক রকম, তার ছেলে চান এক রকম । মাঝ থেকে দোটানায় পড়ে আমার প্রাণ যেতে বসেছে।” ইন্দু বলিল, “এখন ঘরে ঘরেই এই । দিশি শিক্ষা, বিলিতি শিক্ষা দুইয়ের খিচুড়ী হয়ে, কোনোদিকই রক্ষ হচ্ছে না। মা-বাপ ভাবে ছেলে আমাদের মানে না, ছেলে ভাবে ম৷ বাবা একটু আমার দিক দেখে না। মাঝ থেকে .বউগুলো মরে ভূগে।” প্রভাসের মায়ের বোধ হয় কথাগুলি বিশেষ পছন্দ