পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা গদ্যসাহিত্য বাঙলার আদি গদ্য-লেখকদের মধ্যে দুজন, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যে মেদিনীপুর-জাত, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। জার রামমোহন রায় যদি হুগলি জেলার লোক হন স্ত, সে হুগলি মেদিনীপুরের গা-ঘেঁধ। শুনতে পাই, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের "প্রবোধচন্ত্রিকা" বাঙলা ভাষার প্রথম গ্রন্থ। এ গ্রন্থ লিখিত হয়েছিল, “যুবক সাহেবজাত”গণকে কিঞ্চিৎ শিক্ষা দিবার জন্ত, এবং “চাপ" হয়েছিল লণ্ডন সহরে । সুতরাং বাঙলা গদ্যের যে বিলেতে জন্ম, এমন কথা বললে অত্যুক্তি হয় না।...এই পুস্তক ছিল সেকালের স্কুলপাঠ্য গ্রন্থ। সে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কলিকাগর কেল্লায়, আর সে স্কুলের ছাত্ররা ছিল সব ইংরাজ যুবক, বাঙালী বালক নয় : স্বতরাং ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, একালের স্কুল-বুকের সঙ্গে “গ্ৰবোধচন্ত্রিকা" সম্পূর্ণ বিভিন্নজাতীয় । একালের স্কুলের উদেখ বালক বঙ্গজাতগণকে কিঞ্চিৎ বিলাতী শিক্ষা দান করা ; অপরপক্ষে সেকালের স্কুলের উদেশ্ব ছিল, “যুবক সাহেবজাত” গণকে কিঞ্চিৎ এদেশী শিক্ষা দান করা। বিদ্যালঙ্কার মহাশয় ছিলেন সৰ্ব্বশাস্ত্রে পারদশী ব্ৰাহ্মণপণ্ডিত, গুতরাং ব্যাকরণ, অলঙ্কার, স্বায়, দর্শন প্রভৃতির কিঞ্চিৎ জ্ঞানদান করা তিনি অবখ্যকর্তব্য মনে করেছিলেন ; উপরন্তু কিঞ্চি নীতিশিক্ষণ দেওয়াও তার অভিগ্রেত ছিল । এ কারণ, প্রবোধচত্রিকা দু’ ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে অাছে শাস্ত্রপরিচয়, দ্বিতীয় তাগে নীতিকথা। এ পুস্তক হচ্ছে একাধারে বোধোদয় আর কথামালা। কিন্তু ৰোধোদয় সম্পূর্ণ দুৰ্ব্বোধ্য, আর এই কথামাল। আজকালকার রূচিতে অ-কথা-মালা। কারণ নীতির যুগে যুগে ঐক্য থাকৃলেও, রুচি यूtण बूण बिडिब्र रग्र । दिछालकोब्र भशनग्न हिटलन झैौलठी ७ আীলতার ভেদজ্ঞান থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। ফলে তার কথামালায় রসের অঙ্গৰ নেই, অভাৰ আছে শুধু ভাষা ও ভাবের গুচিতার। কিন্তু এই কথামালার একটি মস্ত গুণ আছে। এ অংশ খাটি বাঙলার লেখা। সে গদ্য যে স্থানে স্থানে কতদূর চমৎকার, আমি পূৰ্ব্বে রাজসাহীর সাহিত্য-সম্মিলনে তার পরিচয় দিয়েছি। সুতরাং এস্থলে তার জায় পুনরুক্তি করব না। আমাদের মামুলি গদ্য এ গদ্যের oyblution নয়, তার রচিত লোধায়েরই পরিবর্ধিত রূপমাত্র। ৰিষ্ঠীলঙ্কার মৰাশয় সংস্কৃত ভাষাকে বাঙলা আকার দিতে চেষ্টা করেছিলেন ; উার পরবর্তী ব্রাহ্মণপণ্ডিতেরা একই পদ্ধতিতেই বাঙলা গড় লিখেছেন । বিদ্যালঙ্কার মহাশয়ের দ্বিতীয় পুস্তক “পুরুষ পরীক্ষা” DD DD BB DDBB SB BB BBB BB BBD DBBBB বলেছেন ! “অভিনব প্রজ্ঞাবিশিষ্ট বালকদের নীতি-শিক্ষার নিমিত্তে এবং কামকলাকৌতুকাবিষ্ট পুরস্ত্রীগণের হর্ষের নিমিত্তে জীশিবসিংহ রাঙ্গার জাজ্ঞানুসারে বিদ্যাপতি নামে কবি এই গ্রন্থ রচনা '्रट्ठिं उ८छ् ।" अश् भूधवक cधकंcबांक यांबcष, '&केभाज मैौडिशिश्री फ्रॉन कब्री नक, cनहे नरत्र :श्र्ष ॐ९°ाणन कबां७ झिल ऊँीज़ छैtणाश्च । cण अंइ (o, "কামকলা-কৌতুকাবিষ্ট পুরস্ত্রীগণের হর্ষের নিমিত্তে" হয়, সেই গ্রন্থ “অভিনব প্রজ্ঞাবিশিষ্ট বালকদিগের” নীতিশিক্ষণ দান করার উপযোগী গ্রন্থ কি না, সে বিষয়ে একালের লোকের সন্দেহ আছে।...সে যাই হোক, লোকে বলে সাহিত্যের উদ্দেশ্ব এক শিক্ষা দান করা, আরেক আনন্দ দান কর। আর এই দুই শ্রেণীর সাহিত্য এ যুগে সম্পূর্ণ পৃথক। আমাদের শিক্ষাপদ্ধতি সম্পূর্ণ নিরানন্দ ; অপরপক্ষে যাতে আনন্দ লাভ করা যায়, তাকে আমরা কু-শিক্ষা বলেই জানি। “পুরুষ পরীক্ষা" গ্রন্থে সাহিত্যের এই উভয় গুণের একত্র মিলন করবার চেষ্টা হয়েছিল, সুতরাং এ গ্রন্থকে যাঙলা গদ্য-সাহিত্যের প্রথম পুস্তক বলে’ গণ্য করা যেতে পারে । এবং এই গ্রন্থের ভাষাই বাঙলা সাধুগদ্যের প্রথম নমুনা। প্রথমেই নজরে পড়ে যে, এ গদ্যে অশ্বয়ের কৌশল লেখকের করায়ত্ত হয়নি। নিম্নলিপিত বাক্যটির প্রতি দৃষ্টিপাত করলে, সকলেই দেখতে পাবেন যে, এর পদসমূহ পরস্পর অস্থিত নয়। “যে রসজ্ঞান দ্বারা নিৰ্ম্মলবুদ্ধি যে পণ্ডিতসকল তাহার নীতিবোধামুবোধক যে এই সকল বাক্যের গুণ তন্নিমিত্তে কি আমার রচিত এই গ্রস্থ শ্রবণ করিলেন না, অর্থাৎ অবশ্য শ্রবণ করিবেণ ?”... আমার বিশ্বাস, সংস্কৃত ভেঙে বাঙলা গড়তে গিয়েই ব্রাহ্মণপণ্ডিত মহাশয়র বাঙলা গদ্য বিশৃঙ্খল করে ফেলেছিলেন। এর কারণ এই যে, বাঙলা ভাষার গঠন যে সংস্কৃত ভাষার গঠনের অনুরূপ নয়, সে জ্ঞান পণ্ডিত মহাশয়দের ছিল না। ফলে তারা সংস্কৃত ভেঙেছিলেন বটে, কিন্তু বাঙলা গড়তে পারেন নি । সংস্কৃত ভাষায় syntax-এর তেমন বাধীবাধি নিয়ম নেই, কারণ *irg\s sC5¢ inflectional language I wtcæj# fèRz3 (:**ttt# যে শৰ বসিয়ে দেও, তাতে কোনও ক্ষতি নেই। পদসমূহের বিভক্তি থেকেই বোঝা বায় যে, কোন পদের সঙ্গে কোন পদ অস্থিত হচ্ছে । ধাতুরূপ ও শব্দরূপ যদি আমাদের মুখস্থ থাকে, তাহলে সংস্কৃত শ্লোকের অর্থ আমরা সহজেই গ্রহণ করতে পারি ; আর সে বিদ্যা যদি আমাদের না থাকে ত সংস্কৃত আমাদের কাছে গ্রীক হয়ে ওঠে,—অর্থাৎ সমান দুৰ্ব্বোধ হয়।••• «»ßwit, ateál <tsw **tä\< a< analytical language, অর্থাৎ বিভক্তিপ্রবণ ভাষা নয়। ইংরাজিতে যদি কেউ বলে Ram struck Sham, oil Sham struck Rani, তাহলে কে কাকে মেরেছে তা বুঝতে কোন মুখস্থ বিদ্যার সাহায্য নেবার আমাদের দরকার নেই। বাক্যের প্রথমেই র্যার স্থান, তিনিই যে শেষোক্ত ব্যক্তিকে প্রহার করেছেন, তা সৰ্ব্বজনবিদিত । বাঙলাও ঐ জাতীয় ভাষা, স্বতরাং বাক্যের ভিতর পদের স্থানের উপরই তাঁর অপর পদের সঙ্গে সম্বন্ধ অনেকটা নির্ভর করে। বাঙলার পদ্যলেঞ্চকদের কমিন্‌কালেও এ বিপদে পড়তে হয়নি। উল্পে সংস্কৃত ভেঙে বাঙলা গড়তে চাননি ; উপর চেয়েছিলেন বাঙালীর মুখ্রেয় ভাষাকে কাব্যের রূপ দিতে। সুতরাং জাতির মুখে যে syntax আপনা হতেই গড়ে উঠেছে, সেই gyntax অমুসারে তঁরা কথার সঙ্গে কথা গেখেছেন। সেই কারণেই নবাবী আমলের বাঙালী কবিদের ভাধ। স্বচ্ছন্দ, কোম্পানী w