পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭૨ ASA SSASAS SSAS SSAS SSASAAA AAAA AAAA AAAA AAASA SAASAASAAAS -.------- --v.م.-بی-- --- উল্লিপিত নিদর্শন হইতে জানিতেছি, পুরাণপানি ত্রয়োদশ খ্ৰীষ্ট শতাদের অধিক পরে অনিতে পারা যায় না । এ বিষয়ে শঙ্কা হইতে পারে যে, (১) পুরাণ-কার প্রাচীন সময়ের কথা লিপিয়াছেন, তাহার সময়ের কথা লেখেন নাই। কিন্তু ধর্মশিক্ষণ দেওয়া এই পুরাণের এত স্পষ্ট উদ্দেশ্ব যে, সে শঙ্কা আদিতে পারে না। (২) ইহাতে যে সকল উপপুরাণের নাম আছে, যেমন বুহল্লারদীয়, বৃহৎ নদীশ্বর, এই সকল পুরাণ কি এই পুরাণের পুর্বে ? ইহার উত্তর এই ঐ সকল পুরাণের নাম আছে বলিয়া উহার পূর্ববতী" কি পরবর্তী তাহ বলিতে পার না। অনেক পুরাণে অষ্টাদশ মহাপুরাণের নাম আছে। এইরপ নামোল্লেখ পরে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে । ভারতবর্গ, বৈশাখ, ১৩৩৭ শ্ৰযোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি বঙ্গনারীর বিশেষত্ব বিশেষত্ব বল্লেই যে শুধু গুণ বোঝার তা নয়, দোষেরও বিশেষত্ব থাকতে পারে—যথা, কতকগুলি দোষ কিম্ব ত্রুটি, দুৰ্ব্বলতা ও অক্ষমত। আমরা বঙ্গনারীর উত্তরাধিকারসূত্রেই হোক কিম্বা দেশাচার, সমাজপ্রথার অনুমোদনেই হোক, নির্বিচারে ভোগদখল করে আসছি । আমরা অধিকাংশ সময়েই দুৰ্ব্বল মাতা, কন্যা, ভগ্নী ও পত্নী। আমরা মনে করি, ভালোবাসা মানে বুঝি আমাদের পুত্র কন্ত স্বামী লীত ও পিতা যা করেন তারই সাহচৰ্য্য করা,--র্তাদের মতের বিরুদ্ধে কিছু না বলা কিম্ব না করাই আমাদের স্নেহপ্রেমের পরিচয় দেবার প্রকৃষ্ট প্রথা । অন্তর্বাণী যপন বলে, এ যে ব্যাপার চলছে, এ তো ঠিক হ’চ্ছে না, তবু দেখি তার পরিবর্তন করবার সাহস, সৎবুদ্ধি কিম্ব মানসিক শক্তিপ্রয়োগে অমির অগ্রসর হইনে, দিনের পর দিন, অন্যায়ের পোষকতা ক’রে, অবিচারের বিধানে সন্মতি ও দুগ্ধৰ্ম্মের শাস্তিবিধান না করে, সেটা অপরের চক্ষু হ’তে আড়াল ক’রে রাগবার জন্তেই চেষ্টত হই। স্বামী মদ্যপ, অথচ তার হৃদয় উদার, স্নেহশীল, অন্য সকল বিষয়ে চরিত্রবান, চাদের কলঙ্কের মত ঐ দোদুকু গেলেই সংসার স্বগের হয় ; আর এই অকণরণ অপরিমিত ব্যয়বহনের ফলে, সংসারে অস্বচ্ছলত, গৃহে অশান্তির সৃষ্টি করে, তবু আমরা কয়জন বঙ্গজননী, ভগিনী, কস্ত। কি পত্নী তার প্রতিবিধানে চেষ্টত হই ? বরং মুখস্বাচ্ছন্দ্য-বিধানে তৎপরতা দেখিয়ে থাকি। চোথের উপর দেখতে পাচ্ছি ছেলেটি অসৎ সংসর্গে নষ্ট হচ্ছে, তাকে সে সম্বন্ধে সতর্ক কিম্ব শাসিত না ক'রে বরং তার দোল ক্রটি স্বামীর চক্ষেয় আড়াল ক'রে তাকে উচিত দণ্ডের হাত হতে রক্ষণ ক’রে ভাবি, মাতার কৰ্ত্তব্যপালন করা হ’ল । আমাদের শাস্ত্রেই বলে, পত্নী স্বামীর সহধৰ্ম্মিণী ও সহকর্শিণী । কিন্তু স্বামী লখন কোন সমাজ-সংস্কার কাজে কিম্বা দেশোদ্ধার ব্ৰত নিয়ে প্রাণপাত করছেন, তখন আমরা কজন উগর সহায় হই ?—উাকে উৎসাহ দিয়ে র্তার ত্যাগধর্মের পোষকতা করি ? স্বামী চান মেয়েটিকে লেখাপড়া শিপিয়ে বড় ক'রে তাকে তার মনোমত বরে বিবাহ দেবেন, স্ত্রী কিন্তু অনেক সময় তার প্রতিকুলাচরণ করেন, জাতিধৰ্ম্ম সব বিনাশ গেল, সমাজে মুখ দেপান দায় ইত্যাদি নানা বাধার স্বষ্টি করে উপর জীবন বরং অতিষ্ঠই ক’রে তোলেন।

  • প্রবাসী--জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭

ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড দোমসংশোধন এবং গুণের সমর্থন করাই স্নেহ-প্রেমের প্রধান কৰ্ত্তব্য, এই কথা আমাদের সর্বদ ও সৰ্ব্বগা স্মরণ রাখা আবগুক । এই যে মধুর মা নাম, এর মূলের ধাতুগত অর্থ—যিনি পরিমাণ করে সব দিয়ে পাকেন, শুধু চাল ডাল তেল নুন লকড়ি নয়, স্নেহ ও শাসন, প্রেমের আতপত্র ও সংযমনের রুদ্র দণ্ড দুইই উার কর-ধূত হওয়া আবখ্যক। প্রকৃতি ও পুরুষের মধ্যে প্রকৃতি অর্থাৎ নারীকেই শক্তিস্বরূপিণী বলা হয় । পুরুষ নিৰ্ব্বিকার, উদাসীন ; সে কথা অন্তে বিস্মৃত হ’লেও আমরা স্বয়ং স্মরণ রাপি ন কেন ? এ বিপুল বিশ্বসংসারে -প্রকৃতিই পরিবর্তনশীল—গঠন-নিপুণ জীবনধারার গতি তিনিই নিয়ন্ত্রণ ক’রে আসেন । তাই আমরা যারা প্রত্যেকেই এই শক্তির আধীর, আমাদের এ হর্মলতায় প্রবল প্রণয় এসে উপস্থিত হয়,-উন্নতি ব্যাহত, গতি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে—জীবনীশক্তির প্রাচুর্ঘ্য স্থগিত হয়ে যায়। তাই সমাজে সংসারে, দেশে কালে আমাদিগকেই অবহিত হয়ে চলতে হয়। দেশে দেশে কালে কালে এ বিশ্বে নারীর দ্বারাই আদর্শ ও ধৰ্ম্ম রক্ষিত ও পালিত হয়ে আসছে—আমাদের দেবীপ্রতিমার হাতে যেমন 'লক্ষ্মীর’ লীলাকমল, তেমনি চণ্ডীর সংহারের প্রহরণ । তাই বলি, আমরা যেন স্মরণ রাপি নারী অবল ন’ল, শক্তিস্বরূপিণী । আমি যে দেীপূৰ্বল্য দোল বলেছি সেইগুলি প্রত্যেকটিই অ্যলার অপরপক্ষে গু৭---স্নেহ, ক্ষমা, ধৈৰ্য্য, সঙ্গ সবই গুণ, বিশেষ করে লঙ্গনীর বিশেষত্ব। তলে সৰ্ব্বমত্যন্ত গহিতং , সীম৷ অতিক্রম করলেই গুণই দোৰ হ’য়ে দাড়ায়---গঞ্জ পেরোতে দিতে নেই—সেই যে পড়েছিলাম ‘গুণ হয়ে দোষ হ’ল বিদ্যার বিদ্যায়।’ স্নেহ করি ল’লেই স্নেহপাত্রকে, প্রিয়জনকে, প্রেমাম্পদ দয়িতকে আদর্শের অমুকুল সৰ্ব্বাঙ্গসেন্দির্য্যে ভূষিত দেপিতে চাই-এবং চাওয়াই কৰ্ত্তব্য, এই কথাটি যেন ইষ্টমন্ত্রের মত অন্তরে জপ করি—আর কাজে 'মস্ত্রের সাধন কিম্বা শরীর পাতন’ করতে অবহেলা না করি। বঙ্গনারীর নমনীয়ত, কমনীয়তা শ্ৰীমণ্ডিত ভীর খাম স্নিগ্ধ মুষ্ঠি কাকে ন মুগ্ধ করে ? তার স্বামীপুত্রের আত্মীয়বন্ধুর জন্তে আত্মত্যাগ, নিৰ্ব্বাক ধৈৰ্য্য, সংসারের স্বৰ্গশাস্তি বিধান করা—স্বদেশে বিদেশে প্রবাসে যেখানেই থাকি না কিম্বা যাই না কেন, জীবনের উধর মরুভূমিতে সলিলশীতল, নির্মরমুখরিত, তরুচ্ছায়ামণ্ডিত মরূদ্বীপের মত মনকে স্বস্তি দীন না করে ? কতই তো সজ্জা দেখি চিত্রকরের চিত্রে, ভাস্কর-গঠিত শিল্পে, সৌন্দর্য্যের চরম আদর্শ গ্রীসীর মুৰ্ত্তিতে, তবু ঐ যে আমাদের গৃহলক্ষ্মীদের সমস্তে গোধুলির রক্তরাগের সিন্দুর-রেখা বালার্ক-বিন্দুর মত ললাটের সিন্দুর-টিপ, লাল ও চওড়া পাড় ঘোমটীপানি, তার পায়ের রাঙা আলত, হাতের কুন্দধবল শাখা ও সোনার কঙ্কনে সজ্জিত অপরূপ শ্ৰীমূৰ্ত্তির মত কিছু ঠো মনকে মুগ্ধ ও অভিভূত করে না। তারা যুগে যুগে বঙ্গলক্ষ্মী হ’য়েই দেশের, দশের, দশার উন্নতি করুন,--আমাদের জীবনের অভীষ্ট-তীর্থে অগ্রণী হয়ে চলুন, এই প্রার্থনা করি ও করব । - বঙ্গলক্ষ্মী, বৈশাখ ১৩৩৭ ঐপ্রিয়ম্বদা দেবী