পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাধীন হিন্দুজাতির বিবাহ-প্রকরণে সঙ্কোচ সাধন –স্বামী ভূমানন্দ কৃত , পৃ: ॥y +৫৯, মূল্য /• । শ্ৰীযুত্ত্ব শারদার বাল্যবিবাহ-নিরোধ আইন বিধিবদ্ধ হইয়া গিয়াছে। এক শ্রেণীর লোকের মধ্যে হুলস্থল বাধিয়া গিয়াছে--রব উঠিয়াছে ‘ধৰ্ম্ম গেল ! ধৰ্ম্ম গেল ! ধৰ্ম্মটা এই—আঁতুড়ঘর হইতে একটা কচি থোকা ও কচি খুকীকে কোন উপায়ে বাহির করিয়া একটা সভাতে আনা হইল, এ সভা বিবাহ সভা। খোকা-খুবী ঈশ্বর ও সমাজকে সাক্ষী করিয়া প্রতিজ্ঞা করিল যে, তাহারা পরস্পরকে স্বামী-স্ত্রীরূপে গ্রহণ করিল। তাহার কথা বলিতে শেখে নাই, তাহীদের পিতাই তাহদের প্রতিজ্ঞ। পাঠ করিলেন। সকলে স্বীকার করিয়া লইলেন, প্রতিজ্ঞ। ধৰ্ম্মসঙ্গতই লটে ও সুতরা বিবাহও ধৰ্ম্মবিবাহ। একটা পয়সার দেনা-পাওনা বিষয়ে যtহাদের কোন অধিকার নাই, তাহাদের অধিকার আছে পতি বা পত্নী গ্রহণ করিবার। সমস্তটাই ফাকি, অথচ ইহাই নাকি ধৰ্ম্ম । ইহাতে বাধা পড়িলেই ধৰ্ম্ম গেল ! সমাজের অবস্থ৷ এই ৷ স্বামী ভূমানন্দের পুস্তকখানি সময়োপযোগী হইয়াছে। তিনি *ঠ ও স্মৃতি হইতে অনেক শ্লোক উদ্ধত করিয়া বিচার করিয়াছেন । তাহার সিদ্ধান্ত এই—রঘুনন্দনের মতে রজস্বল কন্যায় বিবাহ দোষজনক হইতে পারে, কিন্তু “প্রমাণং পরমং শ্রুতিঃ” র্যাস্থার মনে রাপিতে পরিবেন, তাহারা দেখিতে পাইবেন,“শারদ। বিলে" বেদ ও বেদীমুগামী শাস্থের মান্যই রক্ষণ হইয়াছে, বেদদ্রোহিত কেই করেন নাই ।” এই পুস্তকের বহুল প্রচার প্রার্থনীয়। ভাগবত ধৰ্মঃ—শ্ৰীঅবনীমোহন বটব্যাল কর্তৃক সঙ্কলিত এবং অস্তুবাদিত, এবং গ্রন্থকার কর্তৃক প্রকাশিত (ঢাকা, গেণ্ডারিয়া, ফরিদাবাদ ডাকঘর ) । পৃঃ ॥• +৮৪ : মুল্য • । এই পুস্তকে শ্রুতি, স্মৃতি এবং অপরাপর গ্রন্থ হইতে ধর্শ্ব ও নীতি বিষয়ক অনেক উক্তি সংগৃহীত ও অনুদিত হইয়াছে । গ্রন্থের শেষ পৃষ্ঠায় লিখিত আছে, “এতৎ পুস্তক ধৃত মহাজন বাক্যচয় লীমদাচার্য বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয়ের বাক্য ।” পুস্তকে ৩৬টি অধ্যায় ; এক একটি অধ্যায়ে বিশেষ বিশেষ ভাব ব্যাখ্যাত হইয়াছে। প্রাচীনপন্থাবলম্বিগণ ইহা পাঠ করিয়া অত্যন্ত স্বর্থী হইবেন। অনেক উক্তি অসাম্প্রদায়িক, উদার ও অমূল্য । মহাভাগবত রায় মহাশয় ঃ—ঞ্জনরেশচন্দ্র দাশ কর্তৃক লিখিত । প্রকাশক শ্রীদুর্গাকান্তু সেন, উকীল, আরোকান্দ, বরিশাল । পৃঃ ys + ২৮৬ : কাগজের মলাট : মূল্য ১ । বরিশাল জেলার অন্তর্গত থলিসাকোটা গ্রামের পাৰ্ব্বতীচরণ রায় মহাশয়ই “রায় মহাশয়” নামে পরিচিত । জন্ম ১৭৬৯ শক, ২৫ অগ্রহায়ণ ; পরলোক গমন ১৮৪৩ শক, ৩২ আষাঢ়। ইনি একজন স্বচিকিৎসক ও পরোপকারী ব্যক্তি ছিলেন। একদিকে প্রতিভা, অপর দিকে বিনয় । উtহার ধৰ্ম্মভাবে লোকে মুগ্ধ হইয়া গিয়াছিল । গ্রন্থকার কিছু অসহিষ্ণু ও অতি অনুদার ; অনর্থক বিরোধীদিগের মতামতকে অসংযত ভাবে সমালোচনা করিয়াছেন । রাজা রামমোহন রায়ের পঞ্চোপনিষদৃ— শ্ৰীসুধীরলাল বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত । প্রকাশক শ্ৰীজহরলাল সরস্বতী, ১•১ নং আহিরীটোল ষ্ট্রট, কলিকাতা । পৃ: ১• • ; মূল্য ॥•, কাপড়ের বাধাই । - এই পুস্তিকায় রাজা রামমোহন রায়ের ব্যাখ্যা ও অনুবাদসহ কেন, ঈশ, কঠ, মুণ্ডক ও মাণ্ডক্য এই পাঁচখানি উপনিষদ দেওয়া হইয়াছে। রামমোহনই বৰ্ত্তমান যুগে প্রথম উপনিষদের ব্যাখ্যা ও অনুবাদ করেন । এজন্ত সমগ্র ভারত, বিশেষতঃ বঙ্গদেশ, তাহার নিকট ঋণী । কিন্তু তাহার ব্যাখ্যাদি তার বর্তমান যুগের উপযোগী নহে। ভাষা এবং অনুবাদ ও ব্যাখ্যাব প্রণালী অনেক পরিবর্তিত হইয়াছে । মহেশচন্দ্র ঘোম লক্ষ্মীছাড়া-ডাঃ নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত এম-এ, ডি-এল, প্রণীত । প্রকাশক—রাখহরি গ্রীমানী এণ্ড সঙ্গ, । মূল্য দুই টাকা পুঃ সংখ্যা ১৮৬ | * আলোচ্য উপন্যাসখাদিত নরেশ বাবু বিবাহিত জীবনের যে শ্রেণীর সমস্তার অবতারণা করিয়াছেন । তাঁহা উtহার মত চিন্তাশীল লেপকের উপযুক্ত হইয়াছে বটে। স্বামী রমণী ও স্ত্রী ক্ষণপ্রভা উভয়েই ঐশ্বর্ষ্যের ফুলশয্যায় প্রথম বিবাহিত জীবন অতি আনন্দে কাটাইল, পরে পিতার সহিত মনোবিবাদ ঘটাতে তেজস্বী রমণী পিতৃগৃহ পরিত্যাগ করিয়া, এমন কি ভাস্কার সম্পত্তির প্রতি লোভ না রাথিয়া, কলিকাতার আসিয়। সামান্ত বেতনে কোনে আপিসে চাকুরী স্বীকার করিল এবং স্ত্রীকেও আনিল। এইখান হইতেই সমস্তার স্বত্রপাত—যে ভালবাসার জন্তু ঐশ্বর্য্যের আবহাওয়ায়, তাহারই আওতার দিনে দিনে যার বৃদ্ধি, খোলার ঘরের দীনতার মধ্যে শত অভাবের তাড়নার আঁচ সহিয়া তাহা কি টিকিয়া থাকিবে ?--নরেশ বাধু এ প্রশ্নের যে উত্তর দিয়াছেন, তাহ। আমরা এথানে বলিতে চাহি না, সকলকে পড়িয়া দেখিতে অনুরোধ করি । উপন্যাসখানির শেষ পৰ্য্যন্ত পড়িয়া কিন্তু তৃপ্তিলাভ করিতে পারিলাম না—পাঠককে বিশ্বাস করাইবার শক্তি ও নিপুণতার বে অভাব এ বইখানিতে দেখিলাম, তাহ। নরেশ বাবু ত দূরের কথ। একজন সাধারণ শ্রেণীর লেখকের পক্ষেও অপযশের বিষয় । তাহা ছাড়া আখ্যানবস্তুও শেষের দিকে বেশ জমাট বাধিতে পারে নাই—ইহার একটা কারণ এই যে, প্রথম হইতেই লেখকের রচনাভঙ্গিতে পাঠক ধরিয়া লন যে, শেষ পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীর মিলনই হয় তো পুস্তকের বলিবার বিষয় । কিন্তু কেন জানি না এ কথা জানিবার জঙ্ক পাঠকের মনে কোনো কৌতুহলই জাগে না। কয়েকস্থানে ছাপার ভুল আছে। রূপের অভিশাপ—ডাঃ নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত। প্রকাশক— ঐঅভয়হরি গ্রীমানী, ২-৪নং কর্ণওয়ালিস্ ট্রট। পৃঃ ২৪৭ । মূলা झुइँ छैोको ! - পর দরিত্র মুসলমান ঘরের মেয়ে । রূপ লইয়া দরিদ্রের ঘরে জম্মিয়৷