পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] AeiMASAMAMAMMAMMMMMSMMMMAMAMiAMMMMMAMMMMMS বাড়ী কোথায় ! কিন্তু কেউ-ই তার বাড়ী চেনে না। ঠিক হ’ল তার স্কুলে গিয়ে বাড়ীর ঠিকানাট জেনে আসা হবে। সে আবার পড়ত এক অদ্ভুত ইস্থলে। স্কুলটির নাম ছিল সৰ্ব্বমঙ্গলা ইন্‌ষ্টিটিউশুন । তার বাবার একজন চেন লোক সেই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন, সেই সুবাদে মতিলালকে সেখানে ভৰ্ত্তি হোতে হয়েছিল । স্কুলটি ছিল নিৰ্ম্মলের বাড়ীর কাছেই । নিৰ্ম্মল বললে যে, কাল সেখানে গিয়ে সে মতিলালের ঠিকান জেনে আসবে। পরদিন নিৰ্ম্মল মতিলালের ঠিকানা জেনে নিয়ে এল। আমরা জন-চার পাচ খেলা ফেলে মতিলালের বাড়ীর উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লুম। গলির গলি তস্য গলি ঘুরে-ঘুরে প্রায় সন্ধ্যার সময় আমরা তার বাড়ী আবিষ্কার করলুম। হরি ! হরি ! এই বাড়ীতে মতিলাল থাকে ! সে একটা খোলার বাড়ী। পঞ্চাশ রকমের লোক হরদম্ বাড়ীর মধ্যে টুক্‌ছে আর বেরুচ্ছে । ধাকেই মতিলালের কথা জিজ্ঞাসা করা যায় সেই বলে জানি না। নিৰ্ম্মল নিশ্চয় ভূল ঠিকানা এনেছে সাব্যস্ত ক’রে আমরা ফিবৃব-ফিরব মনে করছি এমন সময় একটি লোককে ওষুধের শিশি হাতে বাড়ীর মধ্যে ঢুকতে দেখে জিজ্ঞাসা করা গেল—হ্যা মশায়, মতিলাল থাকে এই বাড়ীতে ? সন্ধান পাওয়া গেল। এই বাসাতেই মতিলাল থাকে বটে। লোকটি আমাদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ীর মধ্যে ঢুক্ল । কতকগুলো এদো-পচা নর্দমা ও জাস্তাকুড় পেরিয়ে একটা নীচু ঘরে গিয়ে আমরা ঢুকলুম। ঘরের এক কোণে খাটে একটা স্যাংসেতে বিছানায় মতিলাল পড়ে আছে। খাটের কাছে দু-তিনজন লোক মাটিতে বসে গল্প করছে। এক কোণে মাটির পিলস্থজের ওপরে প্রদীপ জলছে। আমরা গিয়ে খাটের ওপরে বসতেই মতিলাল অদ্ভুত একরকম দৃষ্টিতে আমাদের দিকে চাইতে লাগল। জিজ্ঞাসা করলুম—মতিলাল কেমন আছিস্ ভাই ? মতিলাল চীৎকার করে উঠল—হামারা সৰ্ব্বাঙ্গমে’ বেশ করকে গঙ্গামূত্তিকা আর তুলসীপাত বাটুকে লেপকে লেপকে দেও—জল যাত হয়। মতিলাল XX حیح محمیہحے حیہم۔ মতিলালের মুখে এই রকম হিন্দী কথা শুনে তো আমরা কজনেই হেসে ফেললুম। কিন্তু সে আবার তথুনি চেচিয়ে উঠল—কেয়া ! হামার দুর্দশা দেখকে তোমূলোক্‌ হাস্ত হয় ? নির্দয় কাহাকা— হাসি মিলিয়ে গিয়ে চোখ অশ্রুতে ভরে উঠল । মতিলালের দিকে চেয়ে দেখি তার চোখে আর সেই অদ্ভুত দৃষ্টি নেই—চাহনি বেশ স্বাভাবিক। অতি •#\q•aÇ3 q<5z[f<| Ç»i <[TAİ ü&% z[–Oh how helpless i কথাগুলো বলেই সে চোখ বুজিয়ে ফেললে । রোগ কিংবা রোগ সম্বন্ধে আমাদের কারুরই কোনো অভিজ্ঞতা ছিল ন৷ কিন্তু তবুও মনে হ’ল যে, মতিলালের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। সেখানে যে লোকগুলি বসেছিল তাদের জিজ্ঞাসা করা হ’ল—মতিলালের বাড়ীতে অমুখের খবর দেওয়া হয়েছে কি ? তারা বললে—ন। এখনে জানানো হয়নি, বিকারটা তো আজ দুপুর থেকে স্বরু হ’ল কিনা— - তাদের কাছ থেকে মতিলালের বাবার ঠিকানা জেনে নিয়ে তখুনি তাকে তার ক’রে দিলুম—তার পাওয়া মাত্র চলে আসবেন—মতিলালের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন । পরে খোজ নিয়ে জানতে পারলুম যে মতিলালের এক দূরসম্পর্কের কাকা কলকাতায় থাকেন এবং মতিলাল তারই তত্ত্বাবধানে থাকে। যা হোক, সেদিন তার ক’রে রাত্রে বাড়ী ফেরা হ’ল । পরদিন বিকেলবেলা গিয়ে দেখি মতিলালের বাবা এসে পড়েছেন, খুব ধুম করে চিকিৎসা স্বরু হয়ে গেছে। ভদ্রলোক আমাদের দেখে ভারি খুশী হলেন । আমাদের খেলার মাঠের কাছেই একখানা বাড়ী ভাড় ছিল। সেই বাড়ীটা ঠিক ক’রে মতিলালকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হ’ল । তার মা ও অন্য ভাইবোনের দু-এক দিনের মধ্যেই এসে পড়লেন । আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় গিয়ে তাকে দেখে আসতে লাগলুম। মতিলালের সে-যাত্রা পরমায়ু ছিল । দেড়মাস রোগযন্ত্রণা ভোগ করে সে আরোগ্যের পথে অগ্রসর হোতে লাগল। তার বাবা ফিরে গেলেন বিহারের সেই