পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

● SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ইংরাজি সমালোচনা বাকের কাছ থেকে নিয়ে পড়েছিলুম। হিন্দু সংস্কৃতির পুনরুদ্ধার যাতে বলিদ্বীপে হয়, তদ্বিষয়ে কারোন সাহেবের পুরা সমবেদন। আর সমর্থন আছে দেখলুম। ভারতবর্য থেকে আগত এদেশের সংস্কৃতির মূল উৎসের সঙ্গে এদের তাবার যোগ সাধন হয়, এটা তিনি সৰ্ব্বাস্ত:করণে চান ৷ শ্ৰীযুক্ত কারোন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শ্রাদ্ধ-মণ্ডপ শ্ৰাদ্ধমণ্ডপগুলির আশে পাশে একটু ঘুরলেন, সঙ্গে ডচ পার্শদ আর বলিদ্বীপের রাজারাও রইলেন, কিন্তু সে ভীড়ের মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করা কবির পক্ষে একটু কঠিন ব্যাপার, আর বঁাশের পথ আর সিড়ি বেয়ে মণ্ডপগুলিতে ওঠা তার পক্ষে আরও কষ্টকর। কবি ফিরে এসে আমাদের বিশ্রামের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে বসলেন, অন্য ডচ ভদ্রলোকদের সঙ্গে আলাপ ক’রতে লাগলেন । এদিকে এই অপূৰ্ব্ব জন সমাগম আর উৎসব অনুষ্ঠান ছেড়ে আমরা থাকৃতে পারলুম না—স্বরেন বাবু, ধীরেন বাবু, বাকের, জামি, ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলুম। ডাক্তার প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ AASAASAASAASAAMMAMMS [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড ممسح~سہم -.ں ہی محمہیہر م۔۔-- খোরিস আর ঐযুক্ত কারোন অল্পগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে এলেন—আমাদের কিছু কিছু ব্যাপার বুঝিয়ে দেবার জন্ত । মুস্থিল হ’ল, ডাক্তার খোরিস সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত আর খুব উদার-হৃদয় দরদী ব্যক্তি হলেও ইংরেজি ভালে৷ ব’লতে পারেন না, আর দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা ডচ বা মালাই ও জানি না। আমাদের সৌভাগ্য ক্রমে শ্ৰীযুক্ত কারোন কিন্তু বেশ ভালো ইংরিজি বলেন । আমরা মঞ্চ বা মণ্ডপগুলিতে একে একে উঠে দেখলুম। মৃতের উদ্দেশ্যে নানা খাদ্য-দ্রব্য আর বসন-ভূত্ৰণাদি একটা মণ্ডপের উপরে আর একটা মাচা ক’রে সাজিয়ে রাখা হ’য়েছে। মণ্ডপের দেয়ালে, চারি দিকে সাদা তাল আর না’রকল পাতার নানা ঝালরের মত অলঙ্কারে এগুলি চমৎকার দেখাচ্ছিল । খাদ্য দ্রব্য কাঠের পাত্রে যা সাজান রয়েছে তার দিকে দৃষ্টিপাত ক’রলুম– মন্দির বা পাহাড়ের আকারে সাজানো ভাত রয়েছে, ভাতের উপরে আবার খোলা-শুদ্ধ সিদ্ধ ডিম, নানা রকমের তরকারী, নানা রকমের ফল রয়েছে ; আর কতকগুলি আস্ত আস্ত শূকর-শবিক শূলপক অবস্থায় দেখা গেল । রঙীন জরী আর রেশমের বুট আর নকশাদার কাপড়ের ছড়াছড়ি, আর মাঝে মাঝে ফুল-লতা-পাতা-তোলা বেশ ভারী দেখাচ্ছে এমন সোনা রপোর বাসন এই সব কাপড় আর থাবারের স্তপের মধ্যে রয়েছে। এই সব খাবার আর কাপড় মনে হ’ল উপহার-স্বরূপ নানা স্থান থেকে আসছে – কতকগুলি মেয়ে আর পুরুষ সারি বেঁধে মাথায় ক’রে এই সব দ্রব্য মণ্ডপে নিয়ে আসছে, কতকগুলি লোক সেখানে মোতায়েন রয়েছে । এই মণ্ডপ দেখিয়ে, মুসলমানদের তাজিয়ার ধরণে বাশ আর চাচাড়ী আর রঙীন কাগজের ‘মেরু বা মন্দ্রির রয়েছে যে মণ্ডপে, ডাক্তার খোরিস আর শ্রযুক্ত কারোন সেখানে আমাদের নিয়ে গেলেন । এখানেও সেই রকম তাল আর না’রকল পাতায় উংসব-সজ্জায় মণ্ডপটা অলঙ্কত। তার পরে তৃতীয় মণ্ডপে উঠলুম— এখানে শ্রাদ্ধের আসল যজ্ঞ বা পূজা আর অন্য অনুষ্ঠান হ’চ্ছে । এই মণ্ডপটার উপরে ঠিক মাঝখানে বঁাশ দিয়ে একটী মাচা ক’রে রেখেছে, তার চার দিক দিয়ে সরু বারান্দার মত একটী পথ। মাচার উপরে