পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

· &ሣ8 ইউরোপীয় দ্রষ্ট উঠে হয় তো পূজায় বা পূজার উপকরণ সঙ্গীকরণে নিরত পদণ্ডের সঙ্গে মালাই ভাযায় বা দেশ ভাষায় দু একটা কথা কইলেন, তার পরে তার সামনে রাখা পিতলের পূজার ঘণ্ট, বা পঞ্চপত্র, বা প্রদীপ বা কপূর জালাবার ছোট বাটা, এই সব তৈজস হাতে ক’রে তুলে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখে আবার রেখে দিলেন, তাতে আপত্তি নেই, ব্রাহ্মণ তাতে কোনও দোষ মনে না ক’রে নিজের কাজ ক’রে যেতে লাগলেন। ছুংমার্গের দেশথেকে আগত ব’লে আমাদের চোখে এটা বিস্ময়কর লাগল—কে জানে, হয় তো প্রাচীনকালে ভারতবর্গেও এই রকম রীতি ছিল, ছুৎমার্গের উদ্ভব তখন হয় নি--- ত না হ’লে আমরা যবন ( গ্ৰীক ) আর শক ইণ প্রভৃতিদের হিন্দুসমাজ ভুক্ত ক’রে নিতে পারতুম না । মণ্ডপগুলি দেখে, আমরা এর পরে নীচে ভীড়ের মধ্যে অবতরণ করলুম। যে শ্রুতি-মধুর তালে বাজনা বাজ ছিল, মনে হচ্ছিল, যেন দূর থেকে কোনও বড়ো পুকুর বা নদীর ওপার থেকে কোনও দেবমন্দিরে তালে তালে নানা রকমের ঘণ্টা বাজছে,—সেই বাজনা প্রথম চোখে দেখলুম, বাজনদারের একটা মণ্ডপের তলায় আসর জমিয়েছে। উলটানো বাটীর মতন কতকগুলি ধাতুর পাত্র, উপবিষ্ট বাদকের তিনদিকে অৰ্দ্ধচন্দ্রকারে কাঠের ফ্রেমে সাজানো রয়েছে, দুটা কাঠির ঘায়ে বাদক বাজিয়ে যাচ্ছে ; এইরূপ একটা যন্ত্র হচ্ছে প্রধান । তা ছাড়া ছোটো ঢোল আছে, বৰ্ম্মদের ধেমন কাঠের ফলকের একটী বাদ্যযন্ত্র আছে – মানা আকারের কাঠের ফলক পাশাপাশি সাজিয়ে একটা ফ্রেমে রাখে, ফ্রেমের উপর কাঠি দিয়ে ঘা মেবে ফলকের দৈর্ঘ্য প্রসার আর স্থূলতার অকুপাতে টং টাং টিং টুং ক’রে উচু নীচু আওয়াজ বা’র হয়,--সেই রকম একটী যন্ত্র অাছে। দ্বীপময় ভারতের বাদ্য আমাদের দেশের বাদ্য থেকে একেবারে অন্য ধরণের । এসম্পর্কে ভারতবর্ষ আর চীন থেকে কিছু কিছু জিনিস পেলেও, এদের বাদ্যট। অনেকট স্বতন্ত্র, মূল ইন্দোনেশীয় জাতির সংস্কৃতি প্রস্থত। আমাদের বীণা আর এসরাজের মত যন্ত্র এদেশে নেই। স্বর আর লয়ের চেয়ে তালেরই আধারের উপর এদের যন্ত্র-সঙ্গীত প্রতিষ্ঠিত। যুবৰীপে প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ AAAAAASA SSASAS SSAS SSASAS SS SAAAAAA AAMAMAMAMAMMASASAMAMSMAMSASAMAMAAA AAAAS AAAMAAASA SAASAASSAAAAAAMAMMMMMMAAMAMMMAAAA ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড এই যন্ত্র-সঙ্গীতের আরও উৎকর্ষ হ’য়েছে। আর যবদ্বীপে এর নাম হচ্ছে gamelan ‘গামেলান’ । বলিদ্বীপেও ‘গামেলান’ বলে—শব্দটা মালাই ভাষায়ও মেলে। এই রকম বাদ্য খালি ইন্দোনেসিয়ায় নয়, ইন্দোচীনে কম্বোজ শুiম আর বর্মীয়ও মেলে –কিন্তু আশ্চর্য্যের কথা ভারতবর্ষে পাওয়া ধায় না । এইখানে ভারতের সঙ্গে দক্ষিণ পূর্বের বহির্ভারতের—ইন্দোচীন আর ইন্দোনেসিয়ার একটী বড়ো পার্থক্য আছে দেখা যায় । নীচে মণ্ডপগুলির আশে পাশে, রাস্তার ওধারের বড়ো প্রাসাদটিতে আর যাত্রার আসরে প্রচুর লোক সমাগম হ’য়েছে । সকলেই উংসবের বস্ত্রে মণ্ডিত হ’য়ে এসেছে, সকলেই প্রফুল্লমুখ । কোথাও বা দূর গ্রাম থেকে আগত একদল মেয়ে পুরুষ আর ছেলে ব'সে বিশ্রাম ক’রছে, এরা মাথায় ক’রে নৈবেদ্য ফল প্রভৃতি নিয়ে সারি দিয়ে মিছিল ক'রে এসেছে, সঙ্গে গামেলান বাদ্যের যন্ত্রপাতি, আর রঙীন আর সাদা ছাতা কতকগুলি ; বহুস্থলে কাজকরা বেতের চুবড়ী আর বাক্স থেকে পান চুন স্থপুরী দোক্তা নিয়ে পান সেজে পাচ্ছে । পানের রেওয়াজ খুবই—আর অধিকাংশ স্থলেই দেখা যায়, পান খেয়ে খেয়ে এদের দfত কালো হ’য়ে গিয়েছে । ভারতবর্ষের ইন্দোচীনের আর ইন্দোনেসিয়ার সংস্কৃতিতে পানের একটা বড়ো স্থান আছে তা নিয়ে দু কথা পরে ব’লবো । এত লোকের আগমন, কিন্তু একটুও ধাক্কাধাক্কি বা চেচামেচি নেই । আমরা এই উংসব-নিরত প্রিয়দর্শন জাতির মধ্যে যথেচ্ছ ঘুরে ঘুরে বেড়াতে লাগলুম। জনকতক ইউরোপীয় লোক ও আছে । এদের মধ্যে একদল মার্কিন এসেছে, সিনেমার ক্যামের নিয়ে । খাকীর কাছ বা হাফ-প্যাণ্ট পরা সাদা টুইলের কামিজ গায়ে সিনেমা-ওয়াল। একজনের সঙ্গে” কথা হ’ল । তার ছবি ভালোই উঠবে ব’লে তার জন্য সে খুশী । এদেশে এই পোষাকে আমাকে সে দেখে আশ্চৰ্য্য হ’ল । রবীন্দ্রনাথেরও ছবি নিলে । অন্য ইউরোপীয়দের মধ্যে জরিমান আর অষ্ট্রিয়ান চিত্রকর জন দুই ছিলেন । ইউরোপীয়দের কেউ কেউ ক্রমাগত ফোটোগ্রাফ নিচ্ছে । লোকজনের তাতে আপত্তি নেই, যদি তাদের নিয়ে সাজিয়ে দাড় করিয়ে