পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ? আফগানিস্থানের নবযুগ ২৭১ - --১৬:৫৮, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~~ সন্ধোবেলায় বিয়ে-বাড়ীর আঙিনায় দুইখানা পান্ধী এলো । কত লোকের গোলমাল ; কত অালো ; কত বাতি ; কত বাজীপোড়ানর ধূম ; কত হুলুধ্বনি, কত শ স্বধবনি কত ফুল ছড়িয়ে দেওয়া হ’ল তাদের পথে পথে । ঐ দিক্কার জানালা খুলে ও একবার উকি মেরে দেখলে—পান্ধী থেকে কার! নামল ; ও ভাবলে তারা বুঝি সাতসমূদ্র পারের রাজকুমার। অনেক রাত্তির । বিয়ের গোলমাল থেমে গিয়েছে। ওর মা ঘরে ফিরে এসেছেন । দেখেন, মেয়ের ঘরের প্রদীপটা তেলের অভাবে নিবু নিবু। মেয়ে পড়ে রয়েছে ঘরের মেঝের ওপরে। ওর রাত্তিরবেলাকার খাবার খই, চিড়ে চারিদিকে ছড়ানো। দুধের বাটি উপুড় করা। সেই নিবন্ত প্রদীপের আলো আঁধারের মাঝখানে, ওর মা খানিক্ষণ ওর মুথের দিকে চুপ কোরে চেয়ে রইলেন। তার পরে ধীরে ধীরে নিজের ঘরে চ’লে গেলেন । ওকে জাগালেন না । ভোরবেল উঠে ওর বাবা ওকে দেখতে না পেয়ে ডাক দিয়ে বল্পেন—ওরে পাগলী আজ এখনও উঠণি কেন ? পুজোর ফুল তুলতে হবে না ? ওর মা তাড়াতাড়ি এসে বল্লেন—অtহ থাক্ থাক্ । ওকে এখন জাগিয়ে না। আমিই তোমার পূজোর ফুল তুলে দেব। হিমের হাওয়া দেওয়া সকাল । তেমনি শিশির-ভেজ বাগান । তেমনি আকাশের অীলে । মা স্নান সেরে পূজোর ফুল তুলছেন । এতক্ষণ ওর ঘুম ভেঙে গেছে; উঠে এসে বসেছে এই কোণের শিউলিগাছ তলায়। ওর চারিদিকে ঝর শিউলি ফুল। ওর সাদা কাপড়ে আর শিউলি ফুলের পাপড়ীতে এক সঙ্গে মিশিয়ে গিয়েছে । ওকে ঐ ভাবে বসে থাকতে দেখে ওর মা বল্লেন – ওঠ, মা, মুখ হাত ধুয়ে কিছু মুখে দে। কাল সারারাত্তির শুকিয়ে র’য়েছিস যে । ও কোনো উত্তর দেয় না । পায়নি । ওর মা আবার ডাকেন –শেফালি ! যেন কিছু শুনতে আফগানিস্থানের নবযুগ শ্ৰীসতীন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায় ছরাণী রাজত্বের প্রতিষ্ঠাতা আহমদ শাহ আবদালীর মৃত্যুর পর আফগানিস্থানের ইতিহাসের এক নূতন অধ্যায় আরম্ভ হয় । পুত্র তৈমুর অকৰ্ম্মণ্য না হইলেও পিতার অসাধারণত্বের দাবী করিতে পারিত না । কিন্তু এই শক্তির অভাব তাহার অপরিমিত আকাঙ্ক্ষাকে দমন করিতে পারে নাই । পিতার মত তাহারও বাসনা ছিল যে, তাহার রাজত্ব হিন্দুস্থানের গঙ্গানদী পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হইবে। এই ইচ্ছাকে কাৰ্য্যে পরিণত করিতে তৈমুর যে দুই চারি বার চেষ্টা না করিয়াছিল তাহাও নহে, তবে সাফল্য তাহার ভাগে ঘটিয়া উঠে নাই। তাহার মৃত্যুর পর আভ্যন্তরীণ গোলযোগ ক্রমশঃ বাড়িয়া চলিতে থাকে। ইহার প্রধান কারণ একজন শক্তিমান শাসকের অভাব । ক্রমশ: এই গোলযোগ পরিপুষ্ট হইয়া অন্তবিপ্লবে পরিণত হইল এবং ক্রমাগত যুদ্ধবিগ্রহের পর আফগানিস্থানের সিংহাসনে পুনরায় বারাকৃজই বংশ প্রতিষ্ঠিত হইল। দোস্ত মহম্মদ ইহাদের অধিনায়ক । এই অন্তর্বিপ্লবের সময় তৈমুরের দুই তিন জন পুত্র পর পর কিছুদিন রাজত্ব করিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু রাজ্যভোগ তাহাদের বেশীদিন ঘটে নাই । ক্রমাগত ভ্রাতৃবিরোধের