পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮২ SAASA SAASAASSAAAAA AAAA AAAA SAS SSAS SSAS SSAS SSAS প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড শাহ সুজার অর্থবল কিছুই ছিল না, কাজেই তাহাকে এই উৎকোচ দান বন্ধ করিতে হইল, এবং উৎকোচ বন্ধ হইবার সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় গোলযোগ আরম্ভ হইল । এতদিন বৃটিশ সৈন্তাই আফগানদের উপর যথেচ্ছ অত্যাচার করিতেছিল, এখন তা হার প্রতিফল আরম্ভ হইল। এই গোলযোগের . প্রারম্ভেই আফগানিস্থানে আফগানিস্তানে গৃহবিবাদ, রাসখঙ্গ ও ব্রিটিশ সিংহ বৃটিশ গভর্ণমেণ্টের প্রতিনিধি ম্যাক্নটেন সাহেব দোস্ত মহম্মদের পুত্র আকবর কত্ত্বক নিহত হইলেন, চারিদিকে প্রবল আক্রমণে সৈন্যদের নানাপ্রকার দুৰ্দ্দশ আরম্ভ হইল । এমন কি এলফিনষ্ঠোমের নেতৃত্বাধীন একটি বাহিনী একেবারে বিনষ্ট হইয় গেল। পরিশেষে শাহ স্বজা ও নিহত হইলেন। আর এই চরম দুইদিবের সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্থানে বুটিশ-শক্তির সম্মান একেবারে বিনষ্ট হইল । এই সময় লর্ড অকল্যাণ্ড ভারতবর্ষ হইতে চলিয়া গেলেন এবং তাহার স্থানে লর্ড এলেনবরা গভর্ণর-জেনারেল হইয়া আসিলেন । তাহার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্থানে বৃটিশ-নীতির পরিবর্তন হইল, বৃটিশ গভর্ণমেণ্ট আফগানিস্থানের আভান্তরিক ব্যাপারে কোনও রূপ হস্তক্ষেপ করিবেন না বলিয়া তিনি ঘোষণা করিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আফগানিস্থান হইতে সমস্ত বৃটিশ সৈন্য ফিরাইয়া আনিবার আদেশ হইল । দোস্ত মহম্মদকে বিনাসর্তে রাজ্য ছাড়িয়া দেওয়া হইল । লর্ড এলেনবরা নানা কথা কহিয়া ভারতবাসীর নিকট প্রথম আফগান যুদ্ধের সফলতা প্রতিপন্ন করিতে চেষ্ট পাইলেন সত্য, কিন্তু তাহাতে সমগ্র জগতের সম্মথে বিনষ্ট বৃটিশ-গৌরবের মৰ্য্যাদা আরও কমিয়া গেল । ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দের ৩০শে মার্চ দোস্ত মহম্মদের সঙ্গে এক সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হইল। তথন এবং তৎপরবর্তী কালেও আমীর এই সন্ধিপত্রের সম্মান রাখিয়াছিলেন। ভারতের সিপাহী-বিদ্রোহ ইহার পরক্ষণেই আরম্ভ হয়। এই গোলযোগের সময় আফগানিস্থানের আমীরের পক্ষে ভারত আক্রমণের পন্থা অত্যস্ত সুগম ছিল, এমন কি পঞ্জাব হইতে র্তাহাকে একরূপ আহবানও করা হইয়াছিল। সেই সময়ে আমীর ভারত আক্রমণ করিলে সিপাহীবিদ্রোহের ইতিহাস অন্যরূপ হইত বলিয়। ধারণ করা একান্ত অন্যায় হইবে না। ইহার পর হইতে অনেককাল ভারতবর্ষের সঙ্গে আফগানিস্তানের বিশেষ কিছু সম্পর্ক ছিল না। লর্ড লরেন্স-এর শাসনকাল হইতে লর্ড লিটনের শাসনকালের পৰ্ব্ব পর্য্যস্ত আফগানিস্থান সম্পর্কে আর বৃটিশ-নীতির কোনও পরিবর্তন হয় নাই অর্থাৎ গভর্ণর জেনারেল আর আফগানিস্তানের কোনও ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন নাই । এই নীতিকে ইংরাজীতে “masterly inactivity"-4 ify বলা হইত। ইহার মূলস্বত্র সংক্ষেপে এই ছিল যে, বৃটিশ গভর্ণমেণ্ট সে দেশের কোনও দলকে সাহাযু করিবেন না ; তাহাদের বিবাদ-বিসম্বাদ নিজেদেরই মিটমাট করিতে দেওয়া হইবে, আর সে দেশে যখন যিনি আমীর হইবেন তাহার সঙ্গেই বৃটিশ গভর্ণমেণ্টের মিত্রতা থাকিবে। ইতিমধ্যে দোন্ত মহম্মদের মৃত্যু হইল। তাহার মৃত্যুর পর সিংহাসন লইয়া তাহার ষোল জন পুত্রের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হইল। অবশেষে তৃতীয় পুত্র শের আলি গদী দখল করিয়া বসিলেন। পূৰ্ব্বডন নীতি