পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ-গান্ধীজীর গ্রেপ্তারে গবন্মেন্টের কৈফিয়ৎ లిed AMAMMMAMAMMMMMMMMMMASMMMAAA AAAA AAAA AAAA AAAAMMAJiAAA S م. - سا.» কর্তৃপক্ষ যাহাকে ধরিতে চাহিতেন, তাহাকেই গ্রেপ্তার করিতে ও বিনা বিচারে আটক রাখিতে পারিতেন । * কিন্তু সাধারণতঃ লোকের এই বিশ্বাস আছে, যে, ঈষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আমলের চেয়ে এখন ভারতীয়দিগের- ব্যক্তিগত অধিকার বাড়িয়াছে । সত্য ন। মিথ্যা ? গান্ধীজীকে রেগুলেশ্বন অনুসারে বন্দী রাখিবার কয়েকটি সহজবোধ্য কারণ অনুমান করা যাইতে পারে । রাজনৈতিক অপরাধের জন্য অভিযুক্ত সাধারণ লোকদের ৪ ছোট ছোট নেতাদের বিচারের সময়ে ও অনেক স্থলে তাহ! আদালত-গুহে ও তাহার বাহিরে জনতা, কোলাহল, চলস্থল এবং মারপিট হইতে দেখা গিয়াছে । ইত ইষ্টতে পারিত। গবন্মেষ্ট কৌশলে তাহ এড়াইয়াছেন । কিন্তু আগে হইতে স্বন্দোবস্ত করিলে কোলাহল আদি নিবারণ করা যায়। এবং গবলোটিকে বন্দোবস্তের কষ্ট স্বীকার করিতে হইবে বলিয়া সাধারণ আইনসঙ্গত বিচারের প্রণালী রহিত করা উচিত নয়। গান্ধীজীকে রেগুলেশ্রম অনুসারে বন্দী করিবার দ্বিতীয় কারণ এই অনুমিত হয়, মে, আইন অনুসারে যে-কোন অভিযোগে র্তাহার বিচার হইত, তাহার জন্য র্তাহাকে নিদিষ্ট অল্প বা দীর্ঘ কালের জন্যই বন্দী রাখা চলিত, অনিদিষ্ট কালের জন্য জেলে রাখা যাইত না ; কিন্তু রেগুলেশ্বন অনুসারে র্তাহাকে গবন্মেন্টের খুশি অনুসারে যতদিন দরকার বন্দী রাখা চলিবে । এই অকুমানের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না । s কিন্তু গুরুতম কারণবোধ হয় রাজপুরুষদের আত্মপ্রত্যয়ের অভাব । প্রকাশ্ব আদালতে গান্ধীজীর বিচার হইলে তিনিও গবন্মেন্টের বিরুদ্ধে তাহার বক্তব্য স্থম্পষ্ট ভাষায় বলিতে ক্ষান্ত থাকিতেন না, এবং তাহার উক্তি সমূহ সভ্যজগতের সৰ্ব্বত্র পৌছিত ও শ্রদ্ধার সহিত শ্রত হইত। গান্ধীজীর ং কথাগুলি এই ঃ– "—or when such (judicial) proceedings may not the adapted to the nature of the case or may for some other reason be unadvisable or improper.” రిసె= a সত্যবাক্য রূপ, অস্ত্রের বার বার সম্মুখীন হইবার সাহস হয় ত রাজপুরুদের হয় নাই । গান্ধীজীর গ্রেপ্তারে গবন্মেন্টের কৈফিয়ৎ গান্ধীজীকে বোম্বাই সরকার কেন বন্দী করিয়াছেন, তাহার কারণ দেগাষ্টয়াছেন । কারণগুলির ভিত্তিহীনতা যদি প্রমাণ করা যায়, তাহাতেও কোন ফল হইবে না ; কেন না, আমাদের যুক্তি অনুসারে কাজ করিতে গবন্মেণ্টকে বাধা করিবার কোন উপায় নাই । তথাপি বোম্বাই সরকারের কৈফিয়ংটি জানিয় রাখা ভাল । প্রথম কারণ এই বলা হইয়াছে :– The campaign of civil disobodience, of which Mr. Gandhi has been the Chief instigator and leader, has resulted in widespread defianço of . law and order and in grave disturbances of the public peace in cvery part of India. Professedly non-violent, it has inevitably, liko every similar, movement in the past, led to acts of violence, which, have as the days pass become more frequent. While Mr. Gandhi has continued to deplore theso outbreaks of violence, his protests against the conduct of his unruly followers have become weaker and weaker, and it is evident that lie is no longer.able to control them. ভারতবর্ষের বর্তমান অবস্থার যে বর্ণনা ও কারণব্যাখ্য উপরে উদ্ধৃত বাক্যগুলিতে দেওয়া হইয়াছে, তাহাতে কিঞ্চিং সত্য থাকিলেও মোটের উপর উহা অযথার্থ ও অঠিক । গান্ধীজীর অসামরিক আইন-লঙ্ঘন অভিযানের ফলে একটি আইন (লবণ আইন ) সকল প্রদেশের লোকে "ডিফাই’ অর্থাৎ অগ্রাহ করিতেছে, ইহা সত্য কথা ; লোকে ঐরুপ করুক, গান্ধীজীর উদ্দেশুই তাহ ছিল । কিন্তু দেশে যত প্রকার উপদ্রব, উচ্ছ স্থলত, দাঙ্গা-হাঙ্গামা হইতেছে, সাক্ষ{ং বা পরোক্ষভাবে গান্ধীজীর প্রচেষ্টা তাহার জন্য দায়ী, ইহা সত্য নহে । ইহা সুবিদিত কথা, মে, ভারতবর্ষের সব লোক রঞ্জনীতিক্ষেত্রে অহিংসায় বিশ্বাসী নহে। অনেক লোক মনে করে, বলপ্রয়োগ ভিন্ন ভারতবর্ষ স্বাধীন হইতে পরিবে না । লাহোরে কংগ্রেসের গত অধিবেশনে, বড় লাটের ট্রেন বোমাম্বার উড়াইয়া দিবীর চেষ্টার মিন্দা করিয়৷ যে প্রস্তাব গৃহীত হয়, তৎসম্বন্ধে তর্কবিতর্কের সময় এবং অন্ত তর্কবিতর্কের সময়ও, ইহা বুঝা গিয়াছিল,