পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ২য় সংখ্য ] বিবিধ প্রসঙ্গ—রংপুরের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ర్ఫిరి revolt to civil disobedience P.. If you say, as you have said, that civil disobedience must end in violence, history will pronounce the yerdict that the British Government, not bearing, because not understanding nọn-violence, goaded human naturę to violence which it could...understand and deal with. But in spite of goading. I shall hope God will give the people of India wisdom and strength to withstand overy temptation and provocation to violence. মহাত্মা গান্ধীর এই চিঠি ষ্টেট সমান প্র ভূংি কোন কোন ইংরেজদের কাগজে এবং ভারতীয় অনেক কাগজে মূদ্রিত হইয়াছে । রংপুরের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি আমাকে বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের রংপুর শাপার বাসিক অধিবেশন উপলক্ষ্যে সেখানে যাইতে হইয়াছিল । রংপুর পরিষদের নিজের বাড়ী আছে । তাহাতে অনেক প্রাচীন প্রস্তরমূৰ্ব দগ্ধ মৃন্ময় মূৰ্ব ও অন্যান্ত শিল্প দ্রব্য, পুরাতন মুদ্রিত কিছু পুস্তক ও পত্রিক, হস্তলিখিত অনেক প্রাচীন পুথি, নান। শতাব্দীর পুরাতন মুদ্রা, প্রভৃতি রক্ষিত আছে। অক্ষয়কুমার দন্ত প্রণীত পদার্থবিদ্যার মূল হস্তলিপি সংগ্ৰহ করিয়া পরিষদের গৃহে রাখা হইয়াছে। পরিষদ একটি উৎকৃষ্ট ত্রৈমাসিক পত্রিক বাহির করেন, এবং পুরাতন পুথিও কিছু ছাপাইয়াছেন, অল্পবয়স্ক সাহিত্যিকের ইহাতে উৎসাহের সহিত যোগ দিলে এই প্রতিষ্ঠানটির কৰ্ম্মিষ্ঠত। উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইবে, এবং তাহ। সৰ্ব্বেতোভাবে বাঞ্ছনীয়। রংপুরের মত ছোট সহরে এরূপ একটি প্রতিষ্ঠান থাকা প্রশংসার বিষয় । কারমাইকেল কলেজের বাড়ী দূর হইতে দেখিলাম । সেখানে গিয়া কলেজের অধ্যাপক ও ছাত্রদিগের সহিত সাক্ষাৎ করিবার সময় পাই নাই—রংপুরে ছত্রিশ ঘণ্টা মাত্র ছিলাম । স্থানীয় মহিলাসমিতির শিল্পপ্রদর্শনী দেখিয়া পীত হইয়াছিলাম। আমাদের অন্তঃপুরিকাদের মধ্যে কিরূপ সৌন্দৰ্য্য-বোধ, পরিকল্পনাশক্তি, ও কারুদক্ষতা আছে, তাহা এইরূপ সব প্রদর্শনী দেখিলে বুঝা যায়। প্রদর্শনীতে 8 eーンbr এবং কেবল যে প্রয়োজনীয় সৌর্থীন জিনিষ এবং ঘর সাজাইবার জিনিষই ছিল, তাহী নহে, নিত্যব্যবহার্য্য ছেলেমেয়েদের ও মহিলাদের জামা প্রভৃতিও ছিল। এই সকল জিনিষ প্রস্তুত করাইয়া বিক্রয়ের বন্দোবস্ত করিলে অন্তঃপুরিকাদের ব্যক্তিগত আয়ের একটি উপায় হইতে পারে। এরূপ আয় কেবল যে দুঃস্থা মহিলাদেরই দরকার তাহা নহে। পিতা স্বামী পুত্রের উপার্জনে বা সম্পত্তিতেই র্যাহারা সম্পংশালিনী কিংবা র্যাহীদের নিজস্ব যথেষ্ট স্বাধন আছে, তাহারাও উপাৰ্জন করিতে পারিলে নিজের শক্তির পরিচয় পাইয়া মনুষ্যত্বের গৌরব ভাল করিয়া অনুভব করিতে পারিবেন। উপার্জিত অর্থের যেরূপ ইচ্ছ। সদ্ব্যয় তাহার করিতে পারেন । রংপুরে গোবংশের উন্নতিকল্পে যে প্রতিষ্ঠানটি আছে, তাহা দর্শনীয়। ভিন্ন প্রদেশের ভাল জাতির বুম এখানে রাখা হয়। গাভীও বিস্তর আছে । হালের এবং গাড়ীর গরু এবং দুগ্ধবতী গাভীর উন্নতি কি প্রকারে হইতে পারে, তাহার জন্য নানাবিধ পরীক্ষ। এখানে চলিতেছে । জেলায় জেলায় এইরূপ গোবংশ উন্নতির পরীক্ষাক্ষেত্র প্রতিষ্ঠিত এবং বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়া আবশ্যক । রংপুরের পরীক্ষাক্ষেত্রটি দ্বারা বেশ কাজ হইতেছে। এই জেলার ডিষ্ট্রিক্ট বোডের সভাপতি রায়বাহাদুর শ্ৰীযুক্ত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয় সৌজন্তপূৰ্ব্বক বোর্ডের খাদ্য পরীক্ষার গৃহ ও যন্ত্ৰাদি দেখাইলেন। তখন ইহার কাজ আরম্ভ হয় নাই । বাংলা গবন্মেন্টের স্বাস্থ্যবিভাগের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী সে দিন তৎসমুদয় পরিদর্শন করিতে আসিয়াছিলেন । র্তাহারা সন্তোষজনক রিপোর্ট দিলে কাজ আরম্ভ হইবে। র্তাহারা আমার সম্মুখেই বলিলেন, যে, মফঃস্বলে এরূপ সুন্দর এবং যন্ত্রাদিতে স্থসজ্জিত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগার দেখিতে পাইবেন, তাহার এরূপ . আশা করিয়া আসেন নাই । ইহাদের মধ্যে এক জন আমাকে বুঝাইয়া দিলেন, স্কৃতে ভেজাল, তৈলে ভেজাল কোন যন্ত্রের দ্বারা কিরূপে ধরা যাইবে । গব্য স্বতের সঙ্গে ভয়স দ্বী মিশাইলে তাহাও ধরা পড়িবে। এই