পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"ల్ఫి8 MAMMAMMAAASAAAA AAAA AAAAMMAAA AAAA AAAA AAAA ASAS A SAS SSAS SSAS SSASAAA AAAAMMAAA SAAAAA AMAMA AA MAeeMAeeeSMAAA AAAA AAAAMMMMMS বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারটির দ্বার: রংপুরবাসীদের খাটি খাদ্যদ্রব্য পাইবার পক্ষে সাহায্য হইবে । স্বরাজ্যলাভের চেষ্টা র্যাহারা রংপুরে করিয়া থাকেন, . তাহদের আশ্রমে প্রাতে আমাকে বক্তৃত করিতে হইয়াছিল। আমি স্বরাজ লাভ কেন আবশ্যক এবং আমরা যে তাহার যোগ্য, তদ্বিষয়ে কিছু বলিলাম। কোন ও স্বাধীন দেশের লোকেই নিজেদের দেশের সব কাজ আদর্শের সম্পূর্ণ অতুযায়ীরূপে করিতে পারে না ; আমরা ও তাহ না করিতে পারি । তথাপি কেন আমাদের স্বরাজ পাওয়া আবশ্যক ও উচিত এবং আমাদের তাহার মোগাত! কিরূপ, তাই আমি খুলিয়৷ বলিয়াছিলাম । এই প্রতিষ্ঠানটির নিকটে শ্রমুক্ত পঞ্চানন বৰ্ম্ম মহাশয়ের পরিচালিত ক্ষত্রিয় ব্যঙ্গ ও অন্য ক্ষত্ৰিয় প্রতিষ্ঠান আছে । স্বরাজ্য সম্বন্ধে ব তুত করিবার পর আমি উহ; দেপিতে ঘাই । ইহার; অন্যান্য কাজের মধ্যে অত্যাচারীদের হস্থ হইতে নিগৃহীত নারীদের উদ্ধারকল্পে বিশেষ চেষ্টা করিয়া থাকেন । তাষ্ঠী অপেক্ষা ও সন্তোষের বিষয় এই, যে, কয়েকটি ঘটনায় দুবৃত্তি লোকেরা অত্যচারের উপক্রম করিতে গিয়। কয়েক নারীর দ্বার। হত বা গুরুতররূপে আহত হইয়াছিল। বৰ্ম্ম মহাশয়ের ক্ষত্রিয় প্রতিষ্ঠান, আদালতে এই বীরাঙ্গনার। অভিযুক্ত হইলে, তাহাদের পক্ষ সমর্থনের বন্দোবস্ত করিয়! থাকেন। অতঃপর আমি স্থানীয় ব্রাহ্মমন্দির দর্শন করিতে যাই । সেখানে সমবেত মহিল ও ভদ্রলোকদের সহিত ব্রহ্মোপাসনা করি । মহিলা সমিতির শিল্প প্রদর্শনী যথন দেখিতে গিয়ছিলাম, তখন সেখানে মহিলারা আমার সম্বন্ধে যাহা পড়িলেন বলিলেন, তাহ উপলক্ষ্য করিয়া আমাকে বক্তৃতা করিতে হইয়াছিল। প্রধানত: পরিষদের কাজের জন্য রংপুর গিয়াছিলাম। তাহার বাষিক অধিবেশনে আমি লিখিত অভিভাষণ পাঠ করি। সামাজিক সম্মেলনের আগে লাঠি খেলা প্রভৃতি দেখান হয়। সম্মেলনে ছেলের আবৃত্তি করে ও পুরস্কার বিতরিত হয়। কিছু সঙ্গীত হয়। শেষে আমি কিছু বলি । প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড বরিশালে বঙ্গীয় শিক্ষক সম্মেলনের অধিবেশন রংপুর হইতে আসিবার পর বঙ্গীয় শিক্ষক সম্মেলনে সভাপতির কাজ করিবার নিমিত্ত, বরিশাল যাইতে হইয়াছিল । অশ্বিনীকুমার দত্ত মহাশয়ের স্মৃতিপত এই সহরটির সব প্রতিষ্ঠান দেখিবার সময় পাই নাই । দত্ত মহাশয়ের বাসভবনের ফটকের একটি স্তন্তে মৰ্ম্মর প্রস্থর ফলকে ইংরেজীতে লেখা আছে, যে, তিনি সেই বাড়ীতে বাস করিতেন। এবিষয়ে আমাদের অন্তরোপ ইংরেজীতে যখন লেখা হইয়াছে, তখন তাহ থাকু, কিন্তু বাংলা ভাষায় ও বাংল। অক্ষরে ও সেই কথাটি লিখিত হউক । প্রাতে বরিশাল পেী ছিবামাত্র আমাকে সঙ্গরের নদীভটব ষ্ট্র রাস্ত দিয়া লইয়ু ধাওয়া হইল এবং সৰ্ব্বসাধারণের প্রমণোদ্যান দেখান হইল। এখন নদী রাস্ত। হইতে দরে গিয়া পড়ায় এই স্থানটির সৌন্দৰ্য্য আগেকার মত নাই । অতঃপর যথাস্থানে পৌছিয়া জলঘোগের পর সহর হইতে কয়েক মাইল দূরবর্তী মাধবপাশা নামক স্থান দেপিতে গেলাম। রবীন্দ্রনাথের “বৌঠাকুরাণীর হাট” চন্দ্রদ্বীপের যে রাজবংশের আখ্যায়িক লইয়া রচিত, তাহার বংশধরেরা এখন ও এখানে আছেন । আগেকার শ্ৰীসম্পদ নাই । তাহারা পুরাতন প্রাসাদাদির ধ্বংসাবশেষের নিকটে গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়া বাস করেন। রাজবংশের বয়োজ্যেষ্ঠ এখন ঘিনি আছেন, আমাদের মাধবপাশা দর্শনের সময় তিনি জরে ভূগিতেছিলেন। তথাপি আমাদের নিষেধ সত্ত্বেও তিনি সৌজন্য সহকারে আমাদিগকে ধ্বংসাবশেষের প্রাসাদের দেবমন্দির, রাজকোষ, হস্তিশালা প্রভৃতি কোথায় কুি ছিল দেখাইলেন । তিনি চন্দ্রদ্বীপের যে ইতিহাস লিখিয়াছেন, তাহার হস্তলিপি দেখাইলেন । চণ্ডীমণ্ডপের দেওয়ালের ভিতরের পিঠে কোন কোন স্থানে নানা রঙের ছবির রং এখনও ফিক হইয়া যায় নাই। বরিশাল হইতে মাধবপাশা যাইবার পথে রাজবংশের খনিত একটি বড় দীঘি আছে। অন্য একটি দীঘির পাড়ে কয়েক রাজা ও রাণীর সমাধি দেখিলাম । -