পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যl ] জীবের নিয়তি "రిస్చిరి م-۔دمی-صیباہمیت-بی. ইতিহাস । আমরা সংক্ষেপে এই ইতিহাসের ইঙ্গিত করিব । আমরা দেখিয়াছি উপনিষদের মতে জীব ব্রহ্মখণ্ড, চিদ-অণু, ব্রহ্মসিন্ধুর বিন্দু । ঐ ব্রহ্ম অনন্তবিধ শক্তিথচিত । অনন্তশক্তি-খচিতং ব্রহ্ম সৰ্ব্বেশ্বরেশ্বরম্। ব্রহ্মে যে সমস্ত শক্তি স্বব্যক্ত, ব্রহ্মাংশ জীবে তাহা অনাদি কাল হইতে বিদ্যমান থাকিলেও অব্যক্ত। সত্যং জ্ঞানমনন্ত চেত্যস্তীহ ব্ৰহ্মলক্ষণমূ—পঞ্চদশী জীবের ঐ সকল স্বপ্ত শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করিবার জন্ত, ঐ সকল অব্যক্ত সম্ভাবনাকে বিকশিত করিবার জন্য জীবকে প্রকৃতির ক্ষেত্রে বপন করা হয়। মম যোনিম হদ ব্রহ্ম তস্মিন গর্ভং দধাম্যহম্—গীত। ১৪।৩ খৃষ্টানেরা এই কথা অন্য ভাষায় বলেন— He is sown in weakness so that he raised in power. may be মাতার কুক্ষিতে যেমন সস্তান-বীজ ধীরে ধীরে বিবদ্ধিত হয়, তেমনি প্রকৃতি-ক্ষেত্রে উপ্ত জীবের স্বপ্ত শক্তি-সমূহ ক্রমে ক্রমে বিকাশ লাভ করে । ইহাই তাহার ক্রমবিকাশ—যাহাকে Evolution বলে— ( e == out, volvo - roll ) ! Cz# #xIfRRFIć-I# qRI! এইরূপ । প্রথম খনিজ বা স্থাবর (mineral ), তাহার পরে ক্রমে ক্রমে স্বেদজ, উদ্ভিজ্জ, অণ্ডজ ও জরায়ুজ অবস্থা । জীব কিরূপে ক্রমবিকাশের ফলে স্থাবর রাজ্য অতিক্রম করিয়া জঙ্গম রাজ্যে উপনীত হয় এবং জঙ্গম রাজ্যে প্রবেশ করিয়া প্রথমে স্বেদজ ( amoeba প্রভৃতি ), তারপর সরীসৃপ, তারপর জলজ, স্থলজ, খেচর, ভূচর, উভচর, লক্ষ লক্ষ পক্ষীর ও পশুর দেহে বসতি করিয়া অবশেষে মনুষ্যদেহ গ্রহণ করে—সে এক বিচিত্র কাহিনী । এই ক্রমবিকাশের পর্বগুলির স্পষ্ট নির্দেশ করিয়া ২ফি সাধক জালালুদিন রুমি বলিয়াছেন – I died from the mineral and became a plant. I died from the plant and re-appeared in an animal.. I died from the animal and became a man. Wherefore then should I fear 2 When did I grow less by dying 2 এইরূপে ক্রমবিকাশের ফলে জীব স্বদীর্ঘকালে মহন্ত-উপাধি লাভ করে । * মানুষের মধ্যে প্রবেশ করিয়া জীব প্রথমে অসভ্য, তাহার পর অৰ্দ্ধসভ্য, তাহার পর সভ্য হয়। তখনও সে প্রবৃত্তিমাগে । কিন্তু একদিন এক শুভ মুহূৰ্ত্তে, সে ব্ৰহ্মচক্রের মধ্যবিন্দু অতিক্রম করিয়া স্বসভ্য মানুষে বিকশিত হয়। এই সমস্ত ব্যাপারটাকে এ দেশের ভাষায় বলে 'চৌরাশীর চক্র । বৃহৎ বিষ্ণুপুরাণ এই বিষয়ের বিস্তার করিয়া বলিয়াছেন :– স্থাবরং বিশতেলক্ষং জলজং নবলক্ষকম্। কুৰ্ম্মাশ্চ নবলক্ষং চ দশলক্ষং চ পক্ষিণঃ ॥ ত্রিংশল্পক্ষং পশুনাঞ্চ চতুলপং চ বানরাঃ । ততো মমুহূতাং প্রাপ্য ততঃ কৰ্ম্মাণি সাধয়েৎ ॥ এতেষু ভ্ৰমণং কৃত্বা দ্বিজত্বমুপজায়তে । সৰ্ব্বযোনিং পরিত্যজ্য ব্রহ্মযোনিং ততোহভ্যগাৎ ॥ অর্থাৎ "স্থাবর ২০ লক্ষ, জলজ ৯ লক্ষ, কুৰ্ম্ম ৯ লক্ষ, পক্ষী ১০ লক্ষ, পশু ৩০ লক্ষ, বানর ৪ লক্ষ- ইহার পরে জীব মমুম্ভধোনিতে প্রবেশ করে এবং ক্রমশ: দ্বিজত্বে উপনীত হয়। দ্বিজের শ্রেষ্ঠ ব্রহ্মবিৎ । সমস্ত যোনি ভ্রমণ করিয়া জীব শেষে ব্রহ্মযোনি প্রাপ্ত হয়।” বিষ্ণুপুরাণ যাহাদিগকে ‘দ্বিজ বলিলেন, তাহারা ঐ নিবৃত্তি-মাগস্থ জীব। ঐ রূপ জীব সাধারণ মন্থয্যের পদবী অতিক্রম করিয়া অতিমানবতার উচ্চস্তরে ক্রমশঃ উন্নীত হইয়া চরমে জীবন্মুক্তির তুঙ্গ চূড়ায় অধিরূঢ় হন । বিষ্ণুপুরাণ ঐরূপ উন্নত সাধককে ‘ব্রহ্মবিং বলিলেন । ‘দ্বিজ না হইলে ব্রহ্মবিং হওয়া যায় না । যিশুখৃষ্টও ঐরূপ দ্বিজের উল্লেখ করিয়াছেন— Verily verily I say unto you, unless you be

  • এ স্থলে লক্ষ্য করিবার বিষয় এই যে, উপাধির তারতম্যেই জীবগত শক্তির প্রকাশের তারতম্য হয়। স্বাবরে যে চিদ্ব-অণু নিরন্ধচেতন হইয়া আচ্ছন্ন অবস্থায় ছিল, উদ্ভিদে যে চিদ-অণু জ্ঞানশক্তির স্তম্ভনে প্রাণের স্পন্দন মাত্র অনুভব করিয়াছিল, পশু-পক্ষীতে যে চিদঅণু স্বথ দুঃখের অনুভূতি লাভ করিয়াও প্রজ্ঞা ও প্রেমের উচ্চতর স্পন্দনে সাড়া দিতে পারে নাই, সেই চিদ্ব-অণুই মানব-শীর গ্রহণ “করিয়া ক্রমশঃ প্রজ্ঞা ও প্রেমের অধিকারী হয়। ঐতরেয় আরণ্যকে এ সম্বন্ধে স্পষ্ট ইঙ্গিত আছে । ওষধিবনস্পতয়ে যচ্চ কিঞ্চিৎ প্রাণভূৎ স আত্মানমবিস্তরাং বেদ । ওষধি বনস্পতিৰুহি রসে দৃষ্ঠতে, চিত্তং প্রাণভূৎস্থ । প্রাণভূৎস্ন ত্বেব আবিস্তরামু আত্মা ; তেষু হি রসোইপি দৃপ্ততে । ন চিত্তং ইতরেযু ইত্যাদি।—২৩২