পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা میامی.مه میسیمیایی به پسته মানুষের মন J8 S প্রাণিবিদের আপত্তি প্রাণিবিদের আপত্তি বিচার করিয়া দেখিলে বুঝা যাইবে যে, মনোবিদ্যার স্বাতন্ত্র্য দানে আপত্তির প্রধান কারণ, মন-পৰ্য্যবেক্ষণের সম্ভাবনা সম্বন্ধে অনিশ্চয়তা। একথা স্বীকার করিতেই হইবে যে, একমাত্র নিজের মন ব্যতীত অপরের মন প্রত্যক্ষের বিষয় হইতে পারে না। মন স্বতঃই চঞ্চল এবং তাহার পৰ্য্যবেক্ষণও দুরূহ ব্যাপার সন্দেহ নাই। কিন্তু দুরূহ বলিয়াই তাহা অসম্ভব নহে। প্রত্যেকেই নিজ নিজ মন পর্য্যবেক্ষণের ফলাফল জানাইতে পারেন এবং এই সমস্ত “দক্তি” (data) লইয়। মনোবিজ্ঞান গড়া সম্ভব । কেবল মাত্র প্রত্যক্ষের উপরেই যে বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত হইবে এমন কথা নহে। যুক্তিযুক্ত অকুমান সকল বিজ্ঞানেই স্থান পাইয় থাকে। অপরকে চিমটি কাটিলে তাহার যে লাগে তাহা অনুমানমাত্র । কারণ বেদনাটা আমরা দেখিতে পাই না, – অপরের কথা শুনিয়া ও তাহার মুখভঙ্গী দেখিয়া বেদনার অস্তিত্ব অকুমান করিতে হয়। কিন্তু এই অনুমানের মূল্য যে প্রত্যক্ষেরই অনুরূপ তাহা বলাই বাহুল্য । অতএব মনোবিং প্রাণিবিদের আপত্তি গ্রাহ করিবেন না । শারীরবিদের আপত্তি শরীরের পরবর্তনে মনের পরিবর্তন হয় একথা সত্য বলিয়া পৃথকভাবে যে মনের পর্য্যবেক্ষণ করা চলে না তাহ নহে । এমন অনেক অবস্থা আছে, যেখানে শরীরের কোন পরিবর্তন লক্ষিত না হইলেও মনের গুরুতর পরিবর্তন হওয়া সম্ভব। কি অবস্থায় মনের কি পরিবর্তন হয়, মনোবিং তাহ অবখ্য লক্ষ্য করিবেন, কিন্তু অবস্থাটাকেই বড় মনে করিয়া মন-পৰ্য্যবেক্ষণকে নিষ্ফল মনে করা ভুল । রোগে শারীর-ক্রিয়া বিপৰ্য্যস্ত হয়, কিন্তু সেজন্য কেহ শারীরশাস্ত্রকে রোগবিজ্ঞান মনে করেন নাঅতএব শারীরবিদের কথায় মনোবিদের লক্ষ্যভ্রষ্ট হইবার কোনই কারণ নাই। অপরপক্ষে শারীরবিদের আপত্তির উত্তরে মনোবিং বলিতে পারেন, মনে পরিবর্তন হইলে শরীরে পরিবর্তন হয়, অতএব শারীরশাস্ত্র মনোবিদ্যার অস্তর্গত হওয়া উচিত । দার্শনিকের আপত্তি দার্শনিকের আপত্তি ভিন্ন প্রকারের । তিনি বলেন, মানসিক ব্যাপার লইয়া আমরা কারবার করি। অতএব, মনোরাজ্যে আমাদেরই অধিকার । দার্শনিক চরমতথ্যের বিচার করেন, বৈজ্ঞানিক তাহা করেন না । কি প্রকারে পরমপদ লাভ হয়, মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য কি, ইত্যাদি প্রশ্ন দার্শনিক সমাধান করিবার চেষ্টা করেন। মানসিক ব্যাপারের পর্য্যবেক্ষণ র্তাহার চরমলক্ষ্য নহে। মানসিক প্রবৃত্তি ইত্যাদি বিচার করিয়া, কি করিয়া পরমসত্যে উপনীত হওয়া যায় তাহাই তিনি নির্দেশ করেন। মানসিক ব্যাপার তাহার কাছে এই সত্যে পৌছিবার, করণ মাত্র। পদার্থবিদ্যার তথ্যও তিনি করণক্সপে ব্যবহার করেন। মনের পর্য্যালোচনাই মনোবিদের চরমলক্ষ্য। দার্শনিক-বিচারে তাহার অধিকার নাই। শিল্পী, পেন্সিল তুলি ইত্যাদি লইয়া কারবার করেন, কিন্তু পেন্সিল তুলি নিৰ্মাণ ও তাহাদের গুণাগুণ পরীক্ষা তাহার আয়ত্বাধীন নহে। একাজ অন্য লোকের । ডাক্তার ছুরি ব্যবহার করেন, কিন্তু তিনি যে ছুরি-সম্পৰ্কীয় সমস্ত ব্যাপার জানিবেন তাহা আশা করা ভুল। সেইরূপ দার্শনিকের নিকট মনোবিদ্যার তথ্য প্রত্যাশা করা সমীচীন নহে । কেবলমাত্র মনোবিদই মনোবিদ্যা অনুশীলনের পূর্ণ অধিকারী, অপরে নহে। মনোবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় মনোবিদ্যার সহিত অন্যান্য বিজ্ঞানের সম্পর্ক থাকিলেও বিজ্ঞান-হিসাবে মনোবিদ্যার আসন যে পৃথক তাহা আর অস্বীকার করা চলে না। মনোবিদ্যার আলোচ্য বিষয়ে বৈশিষ্ট্য আছে এবং তাহারও একটা গণ্ডী আছে। এই গণ্ডী মনোবিদ্যাকে অন্যান্য বিজ্ঞান হইতে পৃথক করিয়া রাখিয়াছে। একটা উদাহরণ লওয়া ধাকৃ। ঘণ্টা বাজিতেছে। পদার্থবি, শারীরবি, প্রাণিবিং, দার্শনিক, মনোবিং, সকলেই সেই শব্দ শুনিতেছেন। পদার্থবিদের কাছে