পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] মানুষের মন J&S AASAASAASAA AAAAeS ...... جمعتہ عنہمہم یہی ہست مہاتمہ۔ ക്ഷാം মনোভাব কিরূপ হয় তাহ। লক্ষ্য করিলে মনের অনেক কথা জানা যায় । অস্তদর্শন নিতান্ত সহজ নহে । অভ্যাসের দ্বারা অন্তর্দর্শনের ক্ষমতা বাড়াইতে হয় । কেবল নিজের মন দেখিলেই মনোবিদের চলিবে না । অন্তদর্শনে অভিজ্ঞ বহু ব্যক্তির সাক্ষ্য মনোবিং গ্রহণ করিবেন, তবে সঠিক তথ্য নির্ণীত হইবে । কখন কখন মনোবিদকে যন্ত্রাদিরও সাহায্য লইতে হয়। চিনির মিষ্টতার স্বরূপ কি, অথবা কষ্টের সময় মনোভাব কিরূপ হয় ইত্যাদি জানিবার জন্য অন্তর্দশনই যথেষ্ট । কতটা পার্থক্য থাকিলে দুইটি স্বরের প্রভেদ ধরা পড়ে জানিতে হইলে যন্ত্রসাহায্যে বিভিন্ন স্বর উৎপাদন করিয়৷ অন্তদর্শনের দ্বারা তাহ নির্ণয় করিতে হয় । বোঝার উপর শাকের অঁাটির ভার আমরা টের পাই না, কিন্তু শাকের আঁটিকে যদি ক্রমেই বড় করা যায় তবে এমন এক অবস্থা আসিবে যখন শাকের অঁাটি চাপাইলেই বোঝার ভারের আধিক্য অনুভব করিতে পারিব। কতখানি বোঝায় কত বড় শাকের অঁাটি চাপাইলে টের পাওয়া যাইবে, মনোবিৎ তাহ নির্ণয় করিয়াছেন । এই পরীক্ষাতেও যন্ত্র আবশ্বক। আলোর প্রখরতার তারতম্য কখন চোখে ধরা পড়ে তাহা মনোবিং যন্থসাহায্যেই বুঝিতে পারেন। হাত তুলিতে বলিলে কথা-শোনা ও হাত-তোলার মধ্যে কত সময় যায় তাহাও মনোবিং বিশেষ যন্ত্রের দ্বারাই নিরূপণ করেন। মনে রাখিতে হইবে, মনোবিৎ যন্ত্র ব্যবহার করিলেও অস্তদর্শনই সত্যাসত্য নির্ণয়ে তাহার প্রধান অবলম্বন । উদাহরণ দিলে কথাটা সরল হইবে। আলোর প্রখরতার তারতম্য নির্ণয়কালে যন্ত্রের দ্বারাই আলো বাড়ান বা কমান হয়, কিন্তু এই বাড়া কম আলোর সংবেদনের বাড়া-কমার অনুরূপ না হইতে পারে। পদার্থবিদের কাছে হাজার এক বাতির আলো হাজার বাতির আলো অপেক্ষা অধিক, কিন্তু মনোবিদের কাছে এই দুই আলোকজনিত সংবেদন একই ; অতএব দেখা গেল, মনোবিং পদার্থবিদেরই যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিয়া ভিন্ন সত্যে উপনীত হইতেছেন। অনেকে মনোবিদের যন্ত্রাগারে শারীরবিদ্যার যন্ত্রাদি দেখিয়া মনে করেন বুঝি শারীরবিদ্যার জ্ঞান থাকিলেই মনোবিজ্ঞান ও আয়ত্ত করা যায়, কিন্তু মনে রাখা উচিত, এই দুই বিদ্যার নির্ণীত তথ্য সম্পূর্ণ বিভিন্ন। পদার্থবিদ্য, শারীরবিদ্যা, কিমিতিবিদ্যা ইত্যাদি বহুতর বিদ্যার যন্ত্রাদি মনোবিং ব্যবহার করেন সত্য, কিন্তু এই সকল যন্ত্র-সাহায্যে তিনি যে সিদ্ধাস্তে উপনীত হন, তাহ তাহার নিজস্ব । ব্যবহার পর্য্যবেক্ষ ণ মন-অনুসন্ধানের দ্বিতীয় উপায় আচার-ব্যবহার লক্ষ্য করা। কুকুরকে লেজ গুটাইয় দৌড়াইতে দেখিলে যেমন তাহার ভয় হইয়াছে অকুমান করা যায়, সেইরূপ মানুষের ব্যবহার দেখিয়াও অনেক সময় তাহার মনোভাব বুঝিতে পারা যায়। যেখানে অন্তর্দর্শনের সম্ভাবনা নাই, সেগানেই এই উপায় অবলম্বন করা হয়। সুবিধা হইলে মনোবিং প্রথম ও দ্বিতীয় উপায় একত্র প্রয়োগ করেন, অর্থাং পরীক্ষ্যমান ব্যক্তিকে অন্তর্দশন করিতে বলিয়া তাহার অন্তভূতির বিবরণ সংগ্রহ করেন এবং সেই সঙ্গে তাহার , আচার-ব্যবহারও লক্ষ্য করেন । মাহুষের ব্যবহারের দুইটা দিক আছে,—একটা স্কুল ও একটা সূক্ষ্ম । ভয় পাইলে আমরা বিপদ হইতে দূরে সরিয়া যাই । পলাইয়া যাওয়াটা ভয়জনিত ব্যবহারের স্কুল দিক। ভয়ের সঙ্গে সঙ্গে কতকগুলি শারীরিক পরিবর্তন ঘটে, যথা মুখ শুখাইয়া যাওয়া, বুক ছড়দুড় করা, ঘাম হওয়া ইত্যাদি । এইগুলি ব্যবহারের সূক্ষ্ম দিক । কারণ তাহ বাহিরের লোকের চোথে ধরা পড়ে না । শারীরিক পরিবর্তন ব্যবহারের অঙ্গ বলিয়াই পরিগণিত হয়। যন্ত্র ভিন্ন অনেক সময় এই সকল সূক্ষ্ম শারীরিক পরিবর্তন ধরা পড়ে না। পরীক্ষ্যমান ব্যক্তিকে হুচ ফুটাইয়া কষ্ট দেওয়া হইল। যতক্ষণ কষ্টবোধ রহিল মনোবিৎ নানা যন্ত্রের দ্বারা দেখিলেন কষ্টের সঙ্গে সঙ্গে হৃৎপিণ্ডের গতি দ্রুত হয় কিনা, নিঃশ্বাসে কি পরিবর্তন ঘটে, রক্তের চাপ বাড়ে কি কমে, চক্ষুতারকা বিস্ফারিত হয় কি না ইত্যাদি। এইরূপ পরীক্ষ হইতে কোন মানসিক অবস্থায় কি শারীরিক পরিবর্তন হয় মনোবিং তাহার সন্ধান লন । পরে যদি কাহারও শরীরে ও