পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՎԶ0:Հ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড AASAASAASAASAASAA MSMSMSAMAMMAMMMMMAMAMMA AMMMAMMS ব্যবহারে এই সকল পরিবর্তন দেখা যায়, তখন মনোবিং অহমান করেন যে, তাহার মনেও তদনুরূপ বৃত্তি জাগিয়াছে । অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংজ্ঞানের অচল মনের তথ্যসমূহ অন্তর্দর্শনের দ্বারাই নির্ণীত হইয়াছে। ব্যবহার পর্য্যবেক্ষণে সচল মন ও নিজ্ঞানের কিছু কিছু সংবাদ পাওয়া যায়। কাহারও ব্যবহারে হয়ত কোনো বিশেষ ব্যক্তির প্রতি আক্রোশের লক্ষণ প্রকাশ পাইল, কিন্তু মনে হয়ত তাহার কোনো আক্রোশই জাগিল না। এরূপ স্থলে মনোবিং অনুমান করেন যে, সংজ্ঞানে আক্রোশ না থাকিলেও নিজ্ঞর্ণন মনে আক্রোশ আছে এবং তাহা হইতে আক্রোশের লক্ষণ উৎপন্ন হইয়াছে। জ্ঞানতঃ আমি সাধু হইলেও যদি আমার ব্যবহার চোরের মত হয়, তবে বুঝিতে হইবে, আমার নিজ্ঞানে চুরি করিবার ইচ্ছা আছে। নিজ্ঞানের সচল দিকটাই এই সব লক্ষণে ধরা পড়ে । অবাধ-ভাবানুষঙ্গ ব্যবহার পর্য্যবেক্ষণ ব্যতীত অন্য উপায়েও নিজ্ঞানের সংবাদ পাওয়া যায়। এই উপায়ের নাম “অবাধ-ভাবাতুষঙ্গক্রম” বা Method fosবিশ্লেষণে মনোবিদের ইহাই তৃতীয় অস্ত্র। পরীক্ষ্যমান ব্যক্তিকে বিছানায় শোয়াইয়া তাহার মনে যে চিন্ত উঠে তাহা অকপটে প্রকাশ করিতে বলা হয়। পরীক্ষ্যমান ইচ্ছা করিয়া কিছু ভাবিবেন না, আপনা হইতে তাহার মনে যে চিন্ত উঠিবে তাহাই তিনি বলিবেন । তিনি কোনো কথা মিথ্যা করিয়া বলিবেন না রী কিছু গোপন করিবেন না। এরূপ অবস্থায় পরীক্ষ্যমানের মনে যেসকল চিন্তার উদয় হয়, মনোবিং তাহার সমস্তই লিখিয়৷ লন। অনেক সময় এই চিন্তাগুলি আপাতদৃষ্টিতে পরস্পরবিযুক্ত ও অর্থশূন্ত মনে হয়। মনোবিং জানেন কোনো চিন্তাই অর্থশূন্ত হইতে পারেন এবং পর-পর চিন্তাগুলির মধ্যে একটা যোগস্থত্র নিশ্চয়ই আছে। এই যোগসূত্র বাহির করিতে পারিলেই নিজ্ঞানে কি আছে বুঝা যাইবে । ধরা যাক, একজনের অবাধ-ভাবাহুষঙ্গ দ্বারা পাওয়া গেল— Free Association “কোকিল—বসন্ত —মড়ক—থিয়েটার—জগন্নাথ বিষয় নষ্ট করছে---অস্বখে পড়বে---ডাক্তার — বাবার অস্থখ–ভাবিত আছি।” বলা বাহুল্য, এই চিন্তাগুলি সবই সংজ্ঞানের চিস্তা ; কিন্তু মনোবিং দেখিয়াছেন অবাধ-ভাবানুষঙ্গে যেসকল কথা মনে উঠে নিজ্ঞানের রুদ্ধ প্রবৃত্তির দ্বারাই তাহারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ‘কোকিলের’ চিন্তার সহিত ‘বসন্ত’ এবং বসন্তের’ সহিত ‘মড়কের চিন্তা কেন উঠিয়াছে বোঝা সহজ । মড়কের পর ‘থিয়েটার’ কেন উঠিল তাহ। হয়ত পরীক্ষ্যমানও বলিতে পারিবেন না। এই দুই ভাবের যোগস্থত্র নিজ্ঞানে অবস্থিত । “থিয়েটার—বিষয় নষ্ট— অস্থখ---ডাক্তার-বাবার অসুখ-ভাবিত আছি”— এই চিস্তাগুলির পরস্পর যোগ সংজ্ঞানেই রহিয়াছে। অনেক সময় পর পর যে চিস্তা উঠে তাহাদের যোগসূত্র ংজ্ঞান ও নিজ্ঞর্শন উভয় মনেই দেখা যায়, অর্থাৎ একাধিক যোগস্থত্রের দ্বারা এই ভাবগুলি পরস্পর ংযুক্ত। সংজ্ঞানে এক একটি ভাবের বহুমুখী অনুষঙ্গ থাকে। "পেন্সিল” মনে উঠিলে কাগজ, কলম, লেখা, ছবি, ছুরি, ইত্যাদি যে-কোনো বিষয়ের কথা মনে আসিতে পারে । অর্থাৎ, এই সকল বিভিন্ন বিষয়ের সহিত *পেনসিল” কথাটার ভাবানুষঙ্গ রহিয়াছে। কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে কোন ভাবটি পেন্সিল কথার পর মনে জাগিবে তাহ নিজ্ঞর্ণন মন নিয়মিত করে। উদাহরণের “থিয়েটার” কথাটার পর “বিষয় নষ্ট” করার কথা মনে না আসিয়া “নাচ-গান” ইত্যাদি মনে আসিতে পারিত । কিন্তু এই সমস্ত কথা না আসিয়া “বিষয় নষ্ট” কর। কেন আসিল বুঝিতে হইলে নিজ্ঞানে সন্ধান লইতে হইবে । পরীক্ষ্যমানকে জিজ্ঞাসা করিলে হয়ত জানা যাইবে যে, পরীক্ষার সময় কোকিল ডাকিতেছিল বলিয়া তাহার মনে কোকিলের কথা আসিয়াছে । পরের ভাবগুলি কেন উঠিল পরীক্ষ্যমান তাহ জানেন না। নিজ্ঞর্ণন মনোবিং দেখিবেন “কোকিল" কথাটার পরেই “রোগ ও মৃত্যুর” কথা আছে। তাহার পর আমোদ-প্রমোদ ও টাকা খরচের কথা; তাহার পরে পিতার অন্বখের জন্ত চিন্তা। বুঝিতে হইবে, পরীক্ষ্যমানের নিজ্ঞর্ণনে এমন এক ভাব আছে যাহারই প্রভাবে এই সমস্ত চিন্তা পর পর সংজ্ঞানে