পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TM☾Ꮼ تمامی سیس দেখতে দেখতে শুকিয়ে গেল ; দুচার দিন মুখ দিয়ে উঠল রক্ত, তার পরেই— সেদিন বনলতার মত দুরবস্থ৷ বোধ করি আর কারো নয়। বৰ্দ্ধমানের ওধারে কোন এক অজ পাড়াগায়ে ওদের দেশ। কলকাতায় আসতে লাগে দু’দিন, কারণ একদিন গরুর গাড়ীতে কাটিয়ে তারপর রেল । সেখানে চিঠি লিখে দিয়ে, পাড়ার ছেলেদের ডেকে এনে হাবু মামার সৎকার করা হয়েছিল । বনলতার এয়ন্ত্রীর চিহ্ন মুছে গেল, থান উঠলো পরণে,—ষোল বছরের বিধবা বনলতা,- যেন শ্বেতাম্বরী উষা । দিন-পাচেক পরে এল ওর ভাই । তারপর একদিন উপরের ঘর দু’খানা খালি হ’ল । যাবার সময় বনলত মা'র পায়ে প্রণাম ক'রে বলেছিল,—আর বোধ হয় দেখা হ’বে না দিদি, পঙ্কজকেও কোনো দিন যেতে বলবার উপায় নেই, কারণ সে দেশে মানুষ সহজে যায় না। মা বলেছিলেন,-ম্যালেরিয়ায় ভুগে আর উপোস করে যদি বেঁচে থাক বউ, তা’ হ’লে পঙ্কজ মান্তষ হ’লে আবার দেখা নিশ্চয়ই হবে । গাড়ীতে উঠে বনলত অদ্ভুতভাবে একটু হেসেছিল ; বলেছিল,—দিদি কি বললেন, মনে থাকবে ত পঙ্কজ ? মনে আছে, সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি। উত্তর দিলেও সেটা মিথ্যা হ’ত । কারণ, তার ঠিক ছ'মাস পরেই হঠাৎ বিস্তুচিকায় মা’র মৃত্যু এবং তার কিছুদিন পরেই দেশে অসহযোগের বন্যা, ফলে লেখাপড়া ত্যাগ । ভেবেছিলাম, তুষার-কিরীটিনী ভারত তাতে স্বর্ণ-কিরীটিনী হবে, বারকয়েক আলিপুরেও আতিথ্য স্বীকার করা গিয়েছিল সেই উদ্বেগে ; কিন্তু কিছুই হয়নি। জীবনের হাটে আজ আর আমার দাম নাই। অসহযোগের সেই বিরাট চাঞ্চল্যের মধ্যে বনলতার কোনে কথাই মনে ছিল না, মনে ছিল না,—বাংলার ম্যালেরিয়ার জীর্ণ কোনো গ্রামের প্রাস্তে আজও তার জীবন-নাট্যের উপর যবনিক হয়ত পড়েনি । তারপর আজ এই আকস্মিক সাক্ষাং । কিন্তু কণর সঙ্গে ও এখানে এল, কিছুই জানা হ’ল না । হঠাৎ ওর প্রবাসী—অষাঢ়, రికి AASAASAASAASAAAS [ ৩eশ ভাগ, ১ম খণ্ড SAASAASAASAASAASAAMMAAAS সঙ্গে ওরকম ব্যবহারই বা কেন করলাম তাই ব{ কে জানে ! তখনও সুৰ্য্যোদয়ের বিলম্ব ছিল, অন্ধকার স্বচ্ছ হয়নি । ছোট ছেলেমেয়েগুলি বালির উপর ছুটে বেড়াচ্ছে, সমুদ্রের জল হঠাৎ পা ছুয়ে সরে যাচ্চে বলে’ ওদের খুলীর অবধি নেই। কতকগুলি মেয়ে অন্ধকারের মধ্যে ঝিতুক খুজে বেড়ায় । আকাশে শ’ত রঙের সমারোহ ! লক্ষ্য স্থির ছিল না, হঠাৎ চোখ পড়ল বনলতার অস্পষ্ট মুক্তির উপর ; একখানি মোট এণ্ডির চাদর ভাজ করে গায়ে দিয়ে জলের ধারে দাড়িয়ে আছে । কি বলে ডাকা ওকে সঙ্গত হ’বে তাই মনে মনে ভাবছিলাম, এমন সময় ও নিজেই ফিরে দাড়াল । —সমস্ত রাত কি সমুদুরের ধারেই ছিলে না কি ? —ঠিক তা নয়, এই আসছি। কিন্তু তুমি কার সঙ্গে এ দেশে এলে সেইটেই কাল জিজ্ঞাসা করা হয়নি। বনলতা মুচকে একটু হাস্লে,—তবু ভাল ! কাল ধেভাবে বিদেয় করে দিলে, তা’তে একটুও আশা করতে পারিনি । এসেছি দাদাকে নিয়ে, তার অসুখ । অবস্থাও খুব ভাল নয়। সমস্ত রাত্রি চীৎকার করে এইমাত্র ঘুমিয়ে পড়লেন । ক’দিন উপরি উপরি রাত জেগে ভারি ক্লাস্তি বোধ হচ্ছিল, বেরিয়ে এলাম এখানে । বনলতার মুখের দিকে চাইলাম। সিন্দুত্বহীন সীমন্ত, পাংশু দুটি ওষ্ঠাধর, নিম্প্রভ দুটি চোখ ! সূর্য্যোদয় হ’ল, কিন্তু সেদিকে চাইতে ভুলে গেলাম । হঠাৎ মুখ ফিরিয়ে বনলতা বললে,-ওকি, তুমি ধে দেখলেই না ! কি আশ্চৰ্য্য ! ভাবছ কি ? --তাই ত ! না, কতদিন এখানে আছ ? –দিন বাইশ । —এক ? —নইলে আর কে ? বেী-দি বছর দুই আগেই মারা গেছেন। কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য, আমার সব খবরই ত’ একে একে জেনে নিলে, কিন্তু তোমার —দেবার মত একটা খবরও নেই।