পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] দাড়াইতে হইবে, সব ওলটপালট করিয়া দিবার নিমিত্ত সঙ্ঘবন্ধ হইতে হইবে তাহাদিগকে এবং সে-ই হইবে তাহার অগ্রণী । দিনকতক ধরিয়া অপু ক্লাসে ছেলেদের মধ্যে তাহার স্বভাবসিদ্ধ ধরণে গৰ্ব্ব করিয়া বেড়াইল যে, এমন প্রবন্ধ পড়িবে যাহ কেহ কোনোদিন লিপিবার কল্পনা করে নাই, কেহ কথন ও শোনে নাই ইত্যাদি । লজিকের ছোকরা-প্রোফেসার ইউনিয়নের সেক্রেটারী। তিনি জিজ্ঞাস করিলেন,-—কি ব’লে নোটিশ দেবে তোমার প্রবন্ধের হে, বিষয়টা কি ? পরে নাম শুনিয়া হাসিয়া বলিলেন,—বেশ বেশ ! নামটা বেশ দিয়েছ—but why not পুরাতনের বাণী ? অপু হাসিমুখে চুপ করিয়া রহিল। নির্দিষ্ট দিনে যদি ৪ ভাইসুপ্রিন্সিপ্যালের সভাপতি হইবার কথা নোটিশে ছিল, তিনি কাৰ্য্যবশতঃ আসিতে পারিলেন না—ইতিহাসের অধ্যাপক মিঃ বস্তুকে সভাপতির আসনে বসিতে সকলে অনুরোধ করিল। ভিড় খুব হইয়াছে, প্রকাশ্য সভায় অনেক লোকের সম্মুখে দাড়াইয়া কিছু কর। অপুর এই প্রথম। প্রথমট। তাহার প৷ কঁাপিল, গলা খুব কঁাপিল, ক্রমে সে বেশ সহজ ভাবে আসিয়া পৌছিল, প্রবন্ধ খুব সতেজ – এ বয়সে যাহ। কিছু দোয থাকে উচ্ছ্বাস, অনভিজ্ঞ আইডিয়ালিজম, ভালমন্দনিৰ্ব্বিশেষে পুরাতনকে ছাটিয় ফেলিবার দম্ভ, বেপরোয় সমালোচনা, তাহার প্রবন্ধে কোনটাই বাদ যায় নাই। প্রবন্ধ পড়িবার পরে খুব হৈ চৈ হইল। খুব তীব্র সমালোচনা লইল । প্রতিপক্ষ কড়। কড়া কথা শুনাইয়া দিতে ছাড়িল না । কিন্তু অপু দেখিল অধিকাংশ সমালোচকই ফাক আওয়াজ করিতেছে । সে যাহা লইয়া প্রবন্ধ লিথিয়াছে, সে বিষয়ে কাহার ও কিছু অভিজ্ঞতাও নাই, বলিবার বিষয় ও নাই, তাহার তাহাকে মন্মথের শ্রেণীতে ফেলিয়া দেশদ্রোহী, সমাজদ্রোহী বলিয়। গালাগালি দিতে স্বরু করিয়াছে। নুতনভাবে জীবনকে দেখিবার জন্য তাহার নবীন মনের এই যে আমন্ত্রণ,—কেহ তাহ ধরিতেও পারিল না তো ! অপু মনে মনে একটু বিস্মিত হইল। হয়ত সে আরও পরিস্ফুট করিয়া লিখিলে ভাল করিত। জিনিসট। অপরাজি৬ SSASAS SSAS SSAS SSASMMSSAS SSAS SSAS SSASMMAMMAAA AAAAS A SAS SSASAMeSASAMAMASASAMAAA AAAAS AAAAA AAAAMA AMMA AMAMMMMMAAAA ج وانات পরিষ্কার হয় নাই ? অপু আশ্চয্য হইল যে এত বড় সভার মধ্যে তাহার নিতান্ত অন্তরঙ্গ দু’ একজন বন্ধু ছাড়া সকলেই তাহার বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছে – টিটুকারী গালাগালির অংশের জন্য মন্মথকে হিংসা করার তাহার কিছুই নাই। শেষে সভাপতি তাহাকে প্রতিবাদের উত্তর দিবার অধিকার দেওয়াতে সে উঠিয়া ব্যাপারট। আরও খুলিয়া বলিবার চেষ্টা করিল । দু' চারজন সমালোচক—যাহীদের প্রতিবাদ সে বসিয়া বসিয়া নো করিয়া লইয়াছিল তাহাদিগকে উত্তর দিতে গিয়া যুক্তির খেই হারাইয়া ফেলিল । অপর পক্ষ এই অবসরে আর এক পালা হাসিয়া লইতে ছাড়িল না। অপু রাগিয়া গিয়াছিল, এইবার যুক্তির পথ না ধরিয়া উচ্ছ্বাসের পথ ধরিল, সকলকে সঙ্কীর্ণমন বলিয়া গালি দিল, একটা বি দ্ধপায়ুক গল্প বলিল, অবশেষে টেবিলের উপর একট। কিল মারিয়৷ এমাসনের একটা কবিতা আবৃত্তি করিতে করিতে বক্তৃতার উপসংহার করিল। ছেলের দল খুব গোলমাল করিতে করিতে হলের বাহির হইয় গেল । বেশীর ভাগ লোকে তাহাকে য|-তা বলিতেছিল—নিছক বিদ্য জাহির করার চেষ্টা ছাড়া যে তাহার প্রবন্ধ অন্য কিছুই নহে, ইহা ও অনেকের মুখে শোনা যাইতেছিল, সে যে শেষের দিকে এমাসনের কবিতাটি আবৃত্তি করিয়াছিল— I am the owner of the sphere Of the seven stars and the solar year. তাহাতেই অনেকে তাহ;কে দাম্ভিক ঠাওরাষ্টয় নানারূপ বি দ্রুপ ও টিটুকারী দিতে ও ছাড়িল না। কিন্তু অপু ও কবিতাটায় নিজেকে আদৌ উদ্দেশ করে নাই,করিয়াছিল সম্পূর্ণ অবাস্তব ও ধরা-ছোয়ার বাহিরের একটা সম্মিলিত তারুণ্যের শক্তিকে—যদি ও তাহার নিজেকে জাহির করার স্পৃহা ও কিছু কম ছিল না, বা মিথ্য গৰ্ব্বপ্রকাশে যদিও সে ক্লাসের কাহার ও অপেক্ষা কম নহে, বরং বেশী । তাহার নিজের দলের কেহ কেহ তাহাকে ঘেরিয়৷ কথা বলিতে বলিতে চলিল - ভিড় একটু কমিয়া গেলে সে সকলের নিকট হইতে বিদায় লইয়া কলেজ হইতে