পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] কামিথ্যের ঠাকুর "రిస్సి কেবলরাম যে একজন সিদ্ধপুরুষ এ বিষয়ে কারও মতভেদ ছিল না । এখানকার ফেরৎ ঝন্টুর মা একদিন বিরাজ ঘোষের স্ত্রী কেতকীকে এসে বললে, “ম, এই অমুখে ভুগছে, একবার কামিথ্যের ঠাকুরের কাছে যাও। বললে পেত্যয় যাবে না,-আমার বন্টর কি আর বঁাচার পিত্যেশ ছিল ? যা খায়, পেটে পড়লেই গড় গড় — গড় গড়—টে কুর আর ঢেকুর । একবিন্দু ভৰ্ম্মিতে ত সব জল হয়ে গেল।” কেতকীরও এই ঢ়ে কুরের রোগ । যা খায়, অস্ত্র হয় ; হজম হয় না । ঝন্টর মা বললে, “সবাই কি আর তার রূপ পায়, মা ? কত লোকে হা-পিত্যেশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে । পয়সাকড়ির ত অভাব নেই, একবার ঘুরে এস।” এইরূপে কেতকীর প্রাণে বেশ একটু ক্ষুধ বাড়িয়ে দিয়ে সে চলে গেল । বিরাজ বাজার করে ঘরে ফিরলে। বললে, “কুম্ড়োর ফরমাস ছিল, বলে কিনা—আটগণ্ডী পয়সা । পুজি ত সবে একটি টাকা । অৰ্দ্ধেক যদি তোর গেজেয় গেল, বাড়ীর লোকের আর নিরনববইট আইটেম ঠেকাই কি দিয়ে ? এনেছি গলা সরু, পেটুটায় একটা ফ্যাকৃড়া— যেন ম্যালেরিয়ার পিলে । তা’ তরকারীতে বলন দেবে। তিন পয়সা সেলামী । ছোড়া হাবাগোব। তাই রক্ষে ।” স্বামীর হাতের মাছের খারাটায় নজর পড়তে কেতকী রেগে উঠল । বললে, “আজ আবার চিংড়িমাছ এনেছ ? ও ঘুষোচিংড়ি খেতে লোকের মুখে কতকাল রোচে ? ছেলেরাও থেতে চায় না ।” বিরাজ হাতের বোঝাট মাটির উপর ধপাস করে ফেলে রেখে রুক্ষম্বরে জবাব দিলে, “ন। চায়, এনে নিয়ে খেতে পারে ? দর করলাম ত রুইমাছ। বলে,— পাচসিকে সের। বললাম,—পয়সাটা আমরাও কপাল ঘামিয়ে আনি। এই দশগও পয়সা নে, বরফ দিয়ে মাছের জেতের কি আর ইজ্জত রেখেছিস্ ? বেটী দাত খিচিয়ে এল, যেন ক্ষ্যাপা কুকুর। যেই পিছন ফিরেছি -مبہم رومہمیم অমনি বললে,—‘মিনসে বাবার কালে কখনও মাছ চোখে দেখেছে ? ও আবার মাছ কিনে খায় !” - একটু দম নিয়ে বিরাজ বললে, “নগদ টাকার মাছ কিনে স্নখ দেখ । ঘরে এনে কড়ায় ছাড়লে ঘণ্ট, তেলের কড়ি গেল উড়ে, পেটে পড়লে বদির কড়ি গেল বেড়ে, তার ওপর ছোট জেতের মুখের এই চোঁদপুরুষ । বাবার কালটা আমিই দেখিনি, আর ও-মাগী কি না মেছোহাটায় বসে দেখে ফেললে । বাজারে কি মানুষ আসে তুমি ভাবে ? সব হাঙ্গর—কুমীর—কর্কট ।” কেতকী জবুস্থর হয়ে দাড়িয়ে রইল। ভাবলে, মাছে দরকার নেই, এখন থাম্লে বাচি । বিরাজ আবার স্বরু করলে । বললে, “চিংড়ীমাছটাও মুফোতের জিনিষ নয়। পয়সায় গণ্ডা দিক্ আর এগুই দিক, কিনতে সুবিধে আছে। মার্কামারা দু’পয়সার ভাগ। চারটে ভাগ তুলে নিয়ে—আটটি পয়স তক্তাখানার উপর বাজিয়ে রেখে চলে এলাম— ঝঞ্চাট নেই। নিজেও বাচলাম, বাপ-ঠাকুরদা ও বেঁচে গেল।” কেতকী নির্ববাক হয়ে দাড়িয়ে রইল । বিরাজ বললে, “তুমি যে একেবারে কাঠ হয়ে গেলে ? বেটা পাঞ্জাবী মোটর ভে ভো করে রাস্তার সমস্ত জল কাদী ছড়িয়ে দিলে জামাটায়, সেদিকে তোমার দৃষ্টি নেই। এক্ষুণি আবার গিয়ে চার পয়সার একথান। সাবান—এই সব দম্কা খরচ । তা তোমারও যে সুবিধে । এর আর ল্যাজামুড়ে বাছাবাছি নেই। ছেলেদের চেচামিচি নেই। রাধ তেও স্ববিধে । লঙ্ক কেটে সাতলে দাও— তোফ ’ বিরাজের একটি ছেলে সেখানে দাড়িয়েছিল । জিজ্ঞাসা করলে, “বাবা, বেগুন কি মোটে দুটো এনেছ ? বেশ বড় বড় ত, একসের ?” “হ্য।” “আমিও সেদিন একসের এনেছিলাম । ਕ੍ਰੋਨੇ " বিরাজ মুখ ভেঙচিয়ে বললে, “আরে গাধা ! সেই সঙ্গে বোটাও আনলি ছ’টা । তার বুঝি ওজন নেই ?” সে কিন্তু