পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] কামিথ্যের ঠাকুর . なぐ ാക്ഷാ محمسحمتہ محبت ہی یہی ہے খায়। এই সব । জনরবটি বহুবিস্তৃত না হওয়ায় নুতন আগন্তুকদের কাছে গোপনই ছিল। কিন্তু কেবলরাম বুঝেছিল এখানে আর অধিকক্ষণ বসে অশুভনীশের প্রলোভনে লোককে বাতিকগ্রস্ত করা নিরাপদ হবে না । সে জাল গুটবার সমস্ত বিধিব্যবস্থাই ইতিপূৰ্ব্বে করে রেখেছিল। যাবার বেলায় মোট রকমের একটা শিকার সে খুজছিল। নির্জন কক্ষে প্রবেশ করে কেতকী দেখলে ঠাকুর-বাবা ধোগাসনে ধ্যানমগ্ন । সেখানেও একটা ধুনী জলছিল। ঘরটি গাঢ় ধুমে আচ্ছন্ন। কোথায় কি আছে ভাল দেখা যায় না । সে ত্রাসে সঙ্কোচে বাবার মুখের দিকে চেয়ে রইল । বাবার ধ্যানভঙ্গ হ’লে কেতকীকে তিনি উপবেশন করতে ইঙ্গিত করলেন । ঘরটি তখন নির্জন । চেলাটি চলে গেছে। বাবা বললেন, “তোমার সম্বন্ধে আমার উপর মায়ের প্রত্যাদেশ হয়েছে । আমার সঙ্গে প্রয়াগতার্থে যেতে হবে । সেখানে বিল্বপত্র পাবে। যাত্রার জন্য সকলই প্রস্তুত। তোমার অভিপ্রায় কি, বল ?” কেতকী জিজ্ঞাসা করলে, “আমার স্বামীও ত সঙ্গে যাবেন ?” “তেমন আদেশ নেই। হবে ।” কেতকী ভাবিত হ’ল । বললে, এখানে আছেন । র্তার অতুমতি পারিনে ৷” বাবা মৃদু হাস্লেন । বললেন, “এই জায়গায় গোল বাধে। সংসারী লোকের দৃষ্টি সঙ্কীর্ণতায় আবদ্ধ। মায়ের আদেশ পালন করা যায়—কি যায় না, সে সম্বন্ধে নিজের মনেও জেরা কর, মায়িক লোকের অনুমতিরও অপেক্ষ রাখ। এ তোমার একান্ত নিৰ্ব্বদ্ধিত হ'লেও মায়েরও অবহেলার কারণ। শুধু অম্বলের অসুখ নয়, সকল ইষ্টানিষ্ট সম্বন্ধেই আমার মারফতে মায়ের কাছে একটা আদানপ্রদান তোমার চলছে। তুমি এখন বস্তুজগৎ ছাড়া। যদি ইচ্ছা কর, তোমার স্বামীকে আমি জানাতে পারি। কিন্তু মায়ের কৃপা পাবে কি না সন্দেহ। স্বামীর অস্বীকৃতির দরুণ এ সুযোগ ব্যর্থ হতে পারে। তোমাকে একলাই যেতে “আমার স্বামী ভিন্ন ত যেতে নেই, এ কারণেও ব্যর্থ হতে পারে। ভেবে দেখ, এ সৌভাগ্য ত্যাগ করবে কি না ?” কেতকী বললে, “খবর পর্য্যন্ত না দিয়ে গেলে তিনি যে অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে পড়বেন ?” বাবা হাস্য করলেন । বললেন, “আমার কথায় বোধ করি মনোযোগ করনি । এই প্রশ্নেরই উত্তর কেবলমাত্র দিয়েছি । আমার শক্তি আতি সামান্ত । তোমার সম্বন্ধে তিন দিনের চেষ্টায় কিছু ফল কলেছে। বলেইছি ত তুমি এখন বস্তুজগৎ ছাড়া । অন্ততঃ কিছু সময়ের জন্য সকল আকর্ষণের সকল প্রলোভনের অতীত হও । মঙ্গল হবে। প্রয়াগে গেলেই বিল্বপত্র পাবে, বিলম্ব হবে না । তখন আমার শিষ্যের কেহ গিয়ে তোমাকে ঠিকানায় পৌছে দিয়ে আসতে পারবে । না হয় তোমার স্বামীকেও সে সময় খবর দিয়ে আনতে পারা যাবে।” কেতকী বললে, “আচ্ছা ।” নিজন ঘরের পিছনেই আমর্কাঠালের একটা বাগান। বাবা পিছনের দরজা দিয়ে সেখানে ঢুকলেন। কেতকী পিছু পিছু গেল। তথায় গোযানে জিনিষপত্র সজ্জিত হচ্ছিল । বাবা সকলকে নিয়ে গাড়ীতে উঠলেন এবং অবিলম্বে নিকটবৰ্ত্তী একটা ষ্টেশনে এসে ষ্টীমার ধরলেন। এদিকে কেতকীকে কাছছাড়া করা অবধি বিরাজের মনে উদ্বেগের অন্ত ছিল না। ছম্‌ছমে গুমোট অন্ধকারের ভিতর দিয়ে দুটি ঘণ্ট পার হয়ে গেল—যেন বছরের মত দীঘ । অথচ অম্বলের ঔষধের ফর্দটা তার এ পয্যন্ত মিলল না । বিরাজ আর অপেক্ষ না করে নির্জন ঘরটির দিকে ছুটে গেল। দরজার স্বক্ষ ছিদ্রপথে সে কান পেতে রাখলে । সাড়াশব্দ নেই—মৃত্যুর মত নিৰ্ব্বাক । আকাশের ওই বড় তারাটা বড় একটা বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়ে এখনই যেন সরে পড়বে, সেই উদ্যোগ করছে। বাতাস যেন একটা কুৎসিৎ সংবাদ প্রচার কবৃতে ঘরটার চারিপাশে জোটু পাকিয়ে আটকে রয়ে গেল। বিরাজের মনে কত প্রশ্ন, কত শঙ্ক—সমাধান কিছু নেই। স্বামীজী তিনি—ধৰ্ম্মেরই জীবন তার— ভাবতে আর ভাল লাগছিল না । সে বেড়া টপকিয়ে