পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ૦૨ مصمم ہی۔ حممہمہمہمبسی۔ রোমাণ্টিক যুগের অস্পষ্টত কাটাইয়া এখন আমরা বিংশ শতাব্দীর বাস্তববাদে উপনীত হইয়াছি । ইহাই যদি সত্য হয় যে জীবনের সহিত আর্টের সম্বন্ধ অবিচ্ছেদ্য, আর্টে যদি জীবনকেই প্রকাশ করিতে হয়, তাহা হইলে কোনোরূপ পক্ষপাত অথবা সংস্কারের ভিতর দিয়া জীবনকে দেখিলে চলিবে না, জীবনকে সমগ্রভাবে নিরপেক্ষভাবে প্রকাশ করিতে হইবে ; কল্পনাগত নরনারী নয়, প্রকৃত মাতুষকে ফুটাইয়া তুলিতে হইবে । ইহাই হইল আটে বাস্তববাদের মূল কথা । তবুও প্রশ্ন থাকিয়া যায়, আর্ট স্বষ্টি না রসঙ্গষ্টি ? আটে রস প্রধান, ন সষ্টিই প্রধান ? মৌলিক অর্থে আট স্বষ্টি । সেই স্বষ্টিকায্যে ভাব অথবা রস উপাদান মাত্র। অতএব দেখিতেছি, ভাবকে রূপায়িত করাই আর্ট । আর্টে হুষ্টি মুখ্য, ভাব গৌণ। মূৰ্ত্ত হইয় না উঠিলে ভাবের মূল্য নাই । আর্টিষ্ট রূপ-বিধাতা । প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ১ম খণ্ড SAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ভাবের শ্রেষ্ঠতার সহিত আর্টের সম্পূর্ণতা যখন মিলিত হয়, আর্টিষ্ট তখন স্রষ্ট । ভাব ও রস প্রায় একই অর্থে ব্যবহার করিয়াছি। ভাব কখন রসে পরিণত হয়, এখানে সে তর্কে প্রবেশ করিবার প্রয়োজন নাই । কাব্যে সাহিত্যে অথবা যে-কোনো কলারচনায় আমরা রস উপভোগ করিতে চাই, অর্থাৎ যে অহুভূতির দ্বারা কবি বা কলাবিং উদ্বুদ্ধ হইয়াছেন, সেই অনুভূতির অস্বিাদ রচনার মধ্যে পাইতে চাই। রচয়িত এই রসকে যেখানে সম্পূর্ণভাবে ব্যক্ত করিতে পারিয়াছেন, আমরা বলি রচনা সেইখানেই সার্থক । আর্টের সার্থকতায় রচনার চরিতার্থতা । কিন্তু রস হইতে প্রকাশকে অবচ্ছিন্ন করিয়| দেখিবার একাগ্র শক্তি মনের নাই। তাই সাধারণ দৃষ্টিতে স্থষ্টি ও রসসঠির মধ্যে বিশেষ পার্থক্য দেখিতে পাই না। এই সঠিশক্তি যখন আনন্দের উদ্বোপনে প্রযুক্ত হয়, রচনা তখন ললিত কলা। ললিত কলায় আর্ট সৌন্দৰ্য্যসন্ধানী । গুজরাটী গরব শ্রীপবিত্ৰকুমার গঙ্গোপাধ্যায় ( শ্রীকছু দেসাই অঙ্কিত রেখাচিত্র ) - গর্ব গুজরাট ও কাথিয়াবাড় অঞ্চলের নিজস্ব একরকম মৃত্যকলা । এ মৃত্য যে কতদূর নিখুত কলাসম্মত তা যিনি এ নৃত্য কখনও দেখেন নাই, তিনি ধারণাও করিতে পারিবেন না। ইহার মনোরম ছন্দবৈচিত্র্য, স্বশী অঙ্গচালনা, ও স্বতঃস্ফূৰ্ত্ত সঙ্গীত গুজরাটা রমণীর অসাধারণ কলানৈপুণ্যের নিদর্শন। যাহাদের পক্ষে এই নৃত্য চক্ষুয দেখিবার সুযোগ ঘটে নাই, তাহাদিগকে গরবা সম্বন্ধে একট। স্পষ্ট ধারণ জন্মাইয়া দিবার জন্য এইখানে সংক্ষেপে কিছু বলা যাইতেছে। মেয়ের বৃত্তাকারে সুত্যের তালে তালে এই গান গাহিয়া থাকে। যতক্ষণ গান চলে তাহারা বৃত্তাকারে ঘুরিতে ঘুরিতে একযোগে ঝু কিয় পড়িয়া তাল দিতে থাকে। দলের যিনি প্রধান, তিনিই প্রথমে গানটি ধরিয়া দেন, পরে সকলে মিলিয়া একসঙ্গে গাহিতে থাকে। গরবার এক অংশের নাম সার্থী । এ অংশ গাহিবার সময় তাল দিতে হয় না, স্থির থাকিয়া বৃত্তাকারে দাড়াইয়া গাহিতে হয়। ঝু কিয় পড়িয়া তাল দিবার সময় তালের ছন্দবৈচিত্র্য, পদবিক্ষেপের সমতা, হস্তের সঞ্চালন, দেহের বিচিত্র লীলায়িত ভঙ্গী ও সাজসজ্জার পারিপাট্য-দর্শকদিগকে অজস্র আনন্দ বিতরণ করিয়া থাকে । ‘গরব নৃত্যকলার এক প্রাচীন ভঙ্গী। নবরাত্রে কালী ও অপরাপর দেবীদের জন্য “গৰ্ববো' নিৰ্ম্মাণের প্রথা হইতেই গর্ব শব্দটির উৎপত্তি। গরবো একটি সাদা গোলাকার মাটির পাত্র, তাহার চারিপাশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র করা হয়, আর সেই পাত্রে একটি ঘৃতের প্রদীপ জালিয়া দেওয়া হয়। দশহরার পূর্বদিন বা নবরাত্রে এই উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়। র্তাহারা উৎসবটি